শরীরের ক্যালোরিতেই নয়, বিদ্যুতের খরচেও আনতে হবে ডায়েটের চুলচেরা হিসাব। ছবি: সংগৃহীত।
ফেব্রুয়ারির মাঝপথেই ইতি শীতের মরসুমের। আর গরম মানেই বিদ্যুতের খরচ এক লাফে অনেকটা বেড়ে যাওয়া। মাসের শেষে বিল দেখলে মনে হয়, বেশির ভাগ সময় তো বাড়িতেই থাকি না, তবে এতখানি বিল উঠছে কী করে?
শুধু আলো, পাখা সময় মতো নেভানোর উপরেই বিল নির্ভর করে না। প্রতি দিন কিছু ভুলচুকের হাত ধরেই আসলে বাড়ে বিলের অঙ্ক। তাই শরীরের ক্যালোরিতেই নয়, বিদ্যুতের খরচেও আনতে হবে ডায়েটের চুলচেরা হিসাব। কোন কৌশলে সহজেই পকেটসই করে তুলতে পারবেন প্রতি মাসের বিদ্যুৎ খরচ? রইল উপায়।
১) মোবাইল চার্জার থেকে খোলার পর সুইচ বন্ধ করার অভ্যাস নেই অনেকেরই। এই ভুলে বাড়ে বিদ্যুতের বিল। এসির ক্ষেত্রেও রিমোট দিয়ে বন্ধ করার পর সুইচ বন্ধ করি না অনেক সময়। এতেও অতিরিক্ত ইউনিট পোড়ে। আলোর ক্ষেত্রে ব্যবহার করুন সিএফএল বা এলইডি। এই সব আলোয় ফিলামেন্টের তুলনায় সার্কিট ব্যবহার হওয়ায় বিদ্যুতের খরচ কমে। যে কোনও বৈদ্যুতিক যন্ত্র কেনার সময় স্টার রেটিংয়ে ভরসা রাখুন। কোনও যন্ত্রের স্টার রেটিং বেশি হলে তার ইউনিট বাঁচানোর ক্ষমতাও ততটাই বেশি।
২) পুরনো তার, পুরনো যন্ত্র বেশি পরিমাণে ইউনিট খরচ করে বিলের অঙ্ক অনেকটা বাড়িয়ে দেয়। তাই দশ-পনেরো বছরের পুরনো যন্ত্র বা তার ব্যবহার না করে তা বদলে আধুনিক ও কম ইউনিট খরচের যন্ত্র ও তার কিনুন।
৩) এসির তাপমাত্রা ২৪ ডিগ্রির নীচে নামাবেন না। তাতে বেশি ইউনিট খরচ হয়। ইনভার্টার এসি কিনতে পারলে সবচেয়ে ভাল, একান্তই তা না পারলে এনার্জি সেভিং মোড অন করে রাখুন।
৪) ফ্রিজের বেলাতেও মেনে চলতে হবে কিছু নিয়ম। দিনে এক ঘণ্টা করে বন্ধ রাখুন ফ্রিজ। যন্ত্রও বিশ্রাম পাবে, বিদ্যুৎও বাঁচবে। ফ্রিজের ভিতর ঠান্ডা থাকায় এই এক ঘণ্টায় খাবারদাবারও নষ্ট হওয়ার ভয় নেই।
৫) নিয়ম করে সব যন্ত্রেরই সার্ভিসিং করান সময় মতো। এতে যন্ত্র ভাল থাকে ও কম বিদ্যুৎ টানে। সামান্য টাকা বাঁচাতে সার্ভিসিং করান না অনেকে। এতে কিন্তু পরবর্তী সময় খরচটা উল্টে অনেক বেশি পড়ে যায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy