ক্রিস মিরামাইল। ছবি: সংগৃহীত।
বয়স পিছোনো কি আদৌ সম্ভব? সারা বিশ্বে কিন্তু ‘রিভার্স এজিং’ আর ‘স্লো এজিং’ প্রক্রিয়া ধীরে ধীরে বেশ জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। ৩৯ বছরের ক্রিস মিরামাইল নামে এক যুবক দাবি করেছেন, তাঁর ‘বায়োলজিক্যাল বয়স’ আসলে ২৬। সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানিয়েছিলেন তিনি তাঁর বয়স ৩৭ শতাংশ কমিয়ে আনতে সফল হয়েছেন।
১৬ বছর বয়সে মস্তিষ্কে টিউমার হয়েছিল ক্রিসের। তার পরেই নিজের আয়ু বৃদ্ধি করতে উদ্যোগী হন তিনি। তার পরেই তিনি নোভোস নামে একটি সংস্থার খোঁজ পান যাঁরা মানুষের বয়স কমিয়ে দিতে পারে বলে দাবি করে। ক্রিস বলেছেন তিনি ‘ডিউনডিনপেস’ নামে একটি পরীক্ষা করিয়েছিলেন। এই পরীক্ষায় রক্তের নমুনা পরীক্ষা করেই জৈবিক বয়স জেনে ফেলা যায়। এই পরীক্ষা পদ্ধতিটি ডিউক এবং কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা তৈরি করেছেন। কী ভাবে নিজের বয়স কমিয়েছেন ক্রিস, নিজেই জানিয়েছেন সে কথা।
ক্রিসের কথায় যাপনে বদল আনলেই বয়স ঠেকিয়ে রাখা সম্ভব। এক ধাক্কায় অনেকটা ওজন কমিয়ে আনা কখনওই স্বাস্থ্যকর নয়। বয়স ধরে রাখতে ডায়েটে সঠিক ভারসাম্য রাখা জরুরি। মাছ, ডিম, প্রোটিন স্মুদির পাশাপাশি বেশি করে শাকসব্জি রাখেন তিনি ডায়েটে। সকাল ১১ টা থেকে সন্ধে ৭ টার মধ্যেই তিনি সারা দিনের খাবার সেরে ফেলেন। প্রিয় খাবারকে বাতিলের তালিকায় রাখা না-পসন্দ ক্রিসের। মাঝেসাঝে অল্প পরিমাণে হলেও তিনি পিৎজ়া, তিরামিসু, সুইস রোল খান। উৎসব বা কোনও বিশেষ অনুষ্ঠানের দিনে অল্প মাত্রায় মদ্যপানও করেন। এ ছাড়া নোভোসের দেওয়া কয়েকটি সাপ্লিমেন্টও খান ক্রিস। ক্রিসের মতে, শরীরে জলের পরিমাণ কমে গেলে মুখ শুকনো হয়ে যায়। তাতে বয়সের ছাপ বেশি করে বোঝা যায়। পর্যাপ্ত জল পান করাটা তাই দরকারি। শুধু তাই নয়, দরকার পর্যাপ্ত ঘুমও। মেদের কারণে বয়সের ছাপ পড়ে চেহারায়। বাড়তি মেদ কমিয়ে ফেলতে পারলে এই চাপ কমে। এ জন্য দরকার শরীরচর্চা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy