ছবি: সংগৃহীত
এক এক জনের পায়ের গঠন এক এক রকম। তবে আপনার পায়ের আঙুল ব্যক্তিত্বের বিশেষ প্রকাশ। বহু দিন আগে থেকেই বিভিন্ন দেশে এই নিয়ে বিশেষ চর্চা ও গবেষণা হয়ে আসছে। পৃথিবীতে যত মানুষ আছেন, তাদের পায়ের আকার প্রধানত চার ধরনের।
১) রোমান পা
২) পিজেন্ট বা বর্গাকার পা
৩) গ্রিক পা
৪) মিশরীয় পা
১) রোমান পা
এই ধরনের পায়ের আঙুলের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে বুড়ো আঙুল থেকে পর পর তিনটি আঙুল একই মাপের হয়ে থাকে এবং বাকি দুটো আঙুল ক্রমান্বয়ে ছোট হতে থাকে। এঁদের ব্যক্তিত্ব ও দেহের আকার মধ্যে একটা সামঞ্জস্য থাকে। এঁরা জন্মগত ভাবেই ঘরের থেকে বাইরের জীবনে বেশি সময় দেন। এঁরা বেশ অ্যাডভেঞ্চারপ্রিয়, ভ্রমণকারী ও আবিষ্কারক প্রকৃতির হয়ে থাকেন। এই ধরনের মানুষরা প্রতিকূল পরিবেশে মানিয়ে নিতে ও নতুন সংস্কৃতিও আপন করে নিতে পারেন।
২) গ্রিক পা
এই ধরনের পায়ের বৈশিষ্ট্য, বুড়ো আঙুলের পর যে দ্বিতীয় আঙুলটি আছে, সেই আঙুলটি পায়ের সব আঙুলের থেকে আকারে বড় হয়। সারা পৃথিবীর যত মানুষ আছেন, তার প্রায় ১৩ শতাংশ এই পায়ের অধিকারী। এই ধরনের বৈশিষ্ট্যযুক্ত মানুষ সবার সঙ্গে মানিয়ে চলতে পারেন। বিভিন্ন গবেষণা ও পরিসংখ্যা দেখা যায় এঁদের বুদ্ধি এবং আইকিউ অন্যদের চেয়ে বেশি। এই ধরনের পায়ের অধিকারী মানুষেরা খুব আবেগপ্রবণও হয়ে থাকেন।
৩) মিশরীয় পা
পরিসংখ্যান বলছে, শতকরা ৫৫ ভাগ মানুষ এই জাতীয় পায়ের অধিকারী হয়ে থাকেন। এই পায়ের বৈশিষ্ট্য হল এই ধরনের পায়ে বুড়ো আঙুল সব আঙুলের চেয়ে বড়। তার পর ক্রমান্বয়ে আঙুলগুলি ছোট হতে থাকে। সাধারণত প্রকৃতিগত ভাবে পায়ের এমন বৈশিষ্ট্যযুক্ত মানুষেরা খুব চাপা স্বভাবের হয়ে থাকেন। অন্যের দ্বারা খুব কম প্রভাবিত হন। সৃষ্টিশীল কাজেও জড়িত থাকেন এই ধরনের মানুষেরা।
৪) পিজেন্ট বা বর্গাকার পা
এই পায়ে পর পর পাঁচটি আঙুল একই মাপের হয়ে থাকে। ফলে পা দেখতেও খানিক বর্গাকার লাগে। এই ধরনের পায়ের অন্য একটি নাম হল পিজেন্ট পা। এই ধরনের বৈশিষ্ট্যযুক্ত পায়ের অধিকারী মানুষেরা অত্যন্ত উপকারী হয়ে থাকেন। খুব স্পর্শকাতর প্রকৃতিরও হয়ে থাকেন। ধৈর্যশীল, বাস্তববাদী হন। গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত খুব দ্রুততার সঙ্গে নিতে পারেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy