— প্রতীকী চিত্র।
শিশুদের খাবার যেমন আলাদা করে তৈরি করতে হয়, তেমন ভাবেই তৈরি করা হয় বাড়ির পোষ্যের খাবার। কিন্তু বাড়ির অন্য সদস্যদের খাওয়ার সময়ে পোষ্য কুকুরটি এমন জুলজুল চোখে তাকিয়ে থাকে যে, বড় মায়া হয়। তাই আপনি যা খান, একটু একটু করে তার মুখে দেন। খারাপ অভ্যাস তৈরি করছেন জেনেও নিজেকে আটকাতে পারছেন না। তবে পশু চিকিৎসকেরা বলছেন, এতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয় তাদের স্বাস্থ্যের। কারণ, সব খাবার খেয়ে তারা হজম করতে পারে না। ফলে ঘন ঘন পেটের রোগে আক্রান্ত হয়।
কোন কোন খাবার খেলে তাদের শারীরিক সমস্যা বাড়তে পারে?
১) পেঁয়াজ-রসুন
স্যালাডে কাঁচা পেঁয়াজই হোক বা পেঁয়াজ-রসুন দেওয়া রান্নার কোনও পদ— দুই-ই পোষ্যের জন্য ক্ষতিকর। পশু চিকিৎসকেরা বলছেন, এই ধরনের খাবার খেলে পোষ্যের শরীরে রক্তাল্পতার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে।
২) অ্যাভোকাডো
অ্যাভোকাডোয় রয়েছে পারসিন নামক এক ধরনের ফ্যাটি অ্যাসিড। এই ফল খেয়ে পোষ্যেরা সহজে হজম করতে পারে না। ফলে পেটখারাপ, বমি হতে পারে। ডায়েরিয়ার খুব খারাপ পর্যায়ে পৌঁছে গেলে শরীর ক্রমশ জলশূন্য হয়ে যায়। শরীর অতিরিক্ত ডিহাইড্রেটেড হয়ে পড়লে হাসপাতালে ভর্তি করতে হতে পারে।
৩) চকোলেট
চকোলেটের মধ্যে রয়েছে থিয়োব্রোমাইন নামক একটি যৌগ। যা পোষ্যের হার্ট সংক্রান্ত সমস্যা বাড়িয়ে তোলে। কখনও কখনও তা পোষ্যের মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
৪) আধসেদ্ধ ডিম
সহজে হজম হবে বলে ছোট বাচ্চাদের অনেক সময়ে আধসেদ্ধ ডিম খাওয়াতে বলেন পুষ্টিবিদেরা। বাড়ির পোষ্যটিকেও আপনি শিশুর চোখেই দেখেন। তাই বলে তার পুষ্টির জন্য আধসেদ্ধ ডিম খাওয়াতে যাবেন না। তাতে ব্যাক্টেরিয়াবাহিত রোগের প্রকোপ বাড়তে পারে।
৫) কিশমিশ
আঙুর শুকিয়ে কিশমিশ তৈরি করা হয়। আঙুরে যে ধরনের অ্যাসিড থাকে, তা পোষ্যের জন্য যথেষ্ট ক্ষতিকর। কিশমিশ খেলে তাদের কিডনির ক্ষতি হতে পারে। তাই আপনার অগোচরে যদি পোষ্য মুখের মধ্যে কিশমিশ বা আঙুর ঢুকিয়েও ফেলে, তা হাত দিয়ে বার করে দেওয়ার চেষ্টা করুন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy