সারা রাত এসি চালিয়েও ইলেকট্রিক বিল কম আসবে কী করে? ছবি: সংগৃহীত।
তাপমাত্রা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গেই বাড়তে থাকে ঘরের ভিতরের বৈদ্যুতিক যন্ত্রের ব্যবহার। অবশেষে মাসের শেষে এক মুখ হাঁ করে বিল হাতে নিয়ে অবাক বিস্ময়ে তাকিয়ে থাকতে হয়। বাইরে থেকে বাড়িতে ফিরেই হাত চলে যাচ্ছে এসি-র রিমোটে। মাসের শেষে বিলের কথা ভেবে এখন থেকেই মাথায় চিন্তার ভাঁজ পড়তে শুরু করেছে? শীতাতপ নিয়ন্ত্রক যন্ত্র লাগানোর পর খরচ সামলাতে হিমশিম খায় বেশির ভাগ মধ্যবিত্ত পরিবার। রইল এমন কিছু টোটকা, যাতে এসি-র খরচ থাকবে নাগালের মধ্যেই।
১) শীতকালে এসি-র তেমন ব্যবহার হয়নি। গরমে চুটিয়ে এসি ব্যবহার করার আগে এক বার সার্ভিসিং করিয়ে নিন। খরচের ভয়ে সার্ভিসিং করানো এড়িয়ে যাবেন না, তা হলে কিন্তু প্রতি মাসে বিদ্যুতের বিল চড়চড়িয়ে বাড়বে।
২) অনেক দিন ধরে ব্যবহার করার ফলে এসি-র ফিল্টারে অনেক ময়লা, ঝুল জমে থাকে। বিদ্যুৎ সাশ্রয় করতে ফিল্টার পরিষ্কার রাখা জরুরি। ১০ দিন অন্তর অন্তর করলে খুব ভাল হয়।
৩) শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত এই যন্ত্রের তাপমাত্রা অবশ্যই ২৪ থেকে ২৬ সেন্টিগ্রেডের মধ্যে রাখুন। রাতে ঘুমোনোর আগে এসি স্লিপ মোডে দিয়ে রাখুন। বিদ্যুৎ কম পুড়বে। তাপমাত্রা যত কমিয়ে রাখবেন বিদ্যুতের বিল ততই বাড়বে। তাপমাত্রা কম করে ঘর ঠান্ডা করে নিয়ে পরে ঘুমোতে যাওয়ার আগে বাড়িয়ে দিন।
৪) ঘরের তাপমাত্রা যত বেশি হবে, কুলার বা শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্রের ঘর ঠান্ডা করতে তত বেশি সময় নেবে। সে ক্ষেত্রে বেশি সময় ধরে এসি চালানোর প্রয়োজন পড়ে। বিলও বাড়তে থাকে চড়চড় করে। ঘরে মোটা পর্দা লাগালে বাইরের গরম হাওয়া ও আলো কম আসবে। ফলে ঘর তাড়াতাড়ি ঠান্ডা হবে।
৫) ঘুমোনোর সময়ে এসি-তে টাইমার লাগিয়ে রাখুন। রাতে এই যন্ত্রটি চালিয়ে ঘুমিয়ে পড়ার ঘণ্টা দুয়েকের মধ্যে ঘর ঠান্ডা হয়ে যায়। তার পর আর দরকার হয় না। কিন্তু গভীর ঘুমে তা নির্দিষ্ট সময়ে বন্ধ করা হয় না। ফলে সারা রাত এসি চলতে থাকে। সেই জন্য টাইমার দিয়ে রাখলে ভাল। দুই থেকে আড়াই ঘণ্টার টাইমার লাগিয়ে রাখলে নির্দিষ্ট সময়ের পর তা নিজেই বন্ধ হয়ে যাবে। বিদ্যুৎ ও অর্থ— দুই-ই সাশ্রয় হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy