মাসিক খরচ কমাবেন কী ভাবে ছবি: সংগৃহীত
টাকা-পয়সা খরচ করার ব্যাপারে সকলে সমান নন। কারও খরচের হাত বেশি, কেউ বা আবার মিতব্যয়ী। যাঁরা খুব দ্রুত টাকা-পয়সা খরচ করে ফেলেন, মাসের শেষ আসতে না আসতেই পকেটে টানাটানি পড়ে যাওয়া তাঁদের কাছে নতুন কিছু নয়। কেউ কেউ আবার অল্প বেতনেই সংসার চালাতে বাধ্য হন। তবে খরচের হাত মানেই কিন্তু সব সময় অপব্যয় করার কথা বলা হচ্ছে না। অনেক সময়ে বাজে খরচ না করার পরেও ফুরিয়ে যায় মাস মাইনের টাকা। রইল এমন পাঁচটি টোটকা যা মেনে চললে মাস শেষ হওয়ার আগেই পকেট গড়ের মাঠ হওয়ার সমস্যা থেকে মুক্তি মিলতে পারে।
১। বাইরের খাবার নৈব নৈব চ: বাইরের খাবার কিনে খাওয়ায় যে কত দ্রুত কত বেশি টাকা খরচ হয়ে যায়, তা বোঝা যায় না সহজে। বিশেষত যখন মোবাইলের একটি স্পর্শেই প্রিয় রেস্তরাঁ থেকে বাড়ির দরজায় হাজির হয়ে যায় খাবার তখন তো আরওই বেড়ে যায় এই খরচ। তার উপর মাঝেমধ্যেই থাকে নানা রকম ছাড়ের প্রলোভন। মাসে কয়েকটি দিন নির্দিষ্ট করুন বাইরের খাবারের জন্য। অতিথি এলেও বাইরের থেকে খাবার আনার বদলে বাড়িতেই খাবার বানিয়ে ফেলার চেষ্টা করুন।
২। ছাড়তে হবে ছাড়ে বাজার করার অভ্যাস: বিভিন্ন সংস্থা বিভিন্ন সামগ্রী বিক্রি করার জন্য হরেক রকমের ছাড় দিয়ে থাকে। কিন্তু এই ধরনের ছাড়ের ফাঁদে পা দেওয়া চলবে না একেবারেই। অনলাইন কেনাকাটার যুগে নিত্যনতুন ছাড়ের টান উপেক্ষা করা সহজ নয়। কিন্তু এই ধরনের কেনাকাটা অভ্যাসে পরিণত হয়ে গেলে আত্মনিয়ন্ত্রণ হয়ে ওঠে কঠিন।
৩। সহজে নয় ক্রেডিট কার্ড: ক্রেডিট কার্ড অনেকের কাছেই অতি প্রয়োজনীয় একটি বস্তু। কিন্তু প্রয়োজন ছাড়া এই কার্ড ব্যবহার করা অভ্যাস খারাপ করে দিতে পারে। মুক্তি খোঁজার চেষ্টা করুন ক্রেডিট কার্ড থেকে। এটি প্রয়োজনের জিনিস হলেও ক্রেডিট কার্ডের বদলে সরাসরি টাকা খরচ করে কিছু কিনলে খামখেয়ালি কেনাকাটা কিছুটা হলেও কমে বলেই মত বিশেষজ্ঞদের।
৪। ভ্রমণ হোক পরিকল্পনা মাফিক: বেড়াতে যাওয়া মানেই খরচ। কিন্তু তাই বলে ভ্রমণকে উপেক্ষা করা বাঙালির পক্ষে অসম্ভব। তা ছাড়া জীবনের একঘেয়েমি দূর করতে ভ্রমণের প্রয়োজনও রয়েছে। বরং বেড়াতে যাওয়ার আগে একটু ছক কষে নিন। যাঁরা বেড়াতে যেতে ভালবাসেন, তাঁরা একটানা খরচসাপেক্ষ ভ্রমণ না করে কাছাকাছি ঘুরে আসার চেষ্টা করতে পারেন। এতে টাকাও বাঁচবে, আবার কাটবে একঘেয়েমির সমস্যাও।
৫। মোবাইলের হরেক রকম অ্যাপ ব্যবহার নয়: বিনোদনমূলক অনলাইন মাধ্যমগুলি থেকে বেরিয়ে আসুন। একাধিক ওটিটি প্ল্যাটফর্ম থেকে বেরিয়ে এসে চেষ্টা করুন সেগুলি বন্ধু কিংবা আত্মীয়দের সঙ্গে ভাগ করে নিতে। যেগুলি সচরাচর দেখা হয় না, সে ওটিটিগুলিতে আর টাকা না দিয়ে সাময়িক ভাবে বন্ধ করে দিন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy