—প্রতীকী চিত্র।
বকখালি থেকে ফেরার পথে অনেকগুলি মাছের আড়ত পড়ে। সেখানে ঢুঁ মারতে গিয়ে আর লোভ সামলাতে পারেননি। নানা ধরনের মাছ কিনে বাড়ি ফিরেছেন। বরফ দিয়ে, বাক্সবন্দি করে মাছ নিয়েও এসেছেন। কিন্তু মাছগুলি কাটা হয়নি। সেই সব মাছ কাটবে কে? এত মাছ বাজারে নিয়ে গিয়ে কাটিয়ে আনাও সম্ভব নয়। তবে, ছোটবেলায় দিদিমার পাশে বসে বহু বার মাছ কাটা দেখেছেন। অভিজ্ঞরা বলছেন, মাছ কাটা এমন কিছু ভয়ঙ্কর ব্যাপার নয়। নীচে দেওয়া কয়েকটি উপায় পড়ে নিলেই সহজে মাছ কাটতে পারা যায়।
১) প্রথমেই মাছগুলি ভাল করে ধুয়ে নিতে হবে। মাছের আকার, আয়তন অনুযায়ী বড় একটি পাত্রের মধ্যে বেশ অনেকটা জল নিয়ে তার মধ্যে মাছগুলি ভিজিয়ে রাখুন। মাছের গায়ে লেগে থাকা নোংরা, জীবাণু ধুয়ে যাবে। জ্যান্ত মাছের গায়ে যে পিচ্ছিল পদার্থ থাকে, তা-ও ধুয়ে যাবে।
২) এ বার টিস্যু দিয়ে মাছের গায়ে লেগে থাকা জল ভাল করে মুছে নিন। মাছ কাটতে সুবিধে হবে। মাছের গা থেকে সহজে আঁশ খুলে যাবে। বঁটি বা ছুরি দিয়ে মাছ কাটতে গেলে হাত ফসকে যাবে না।
৩) গোটা মাছটিকে প্রথমেই মধ্যিখান থেকে কেটে অর্ধেক করে ফেলবেন না। আগে মাছের আকার দেখে-বুঝে নিন, তা থেকে কটি টুকরো পাওয়া সম্ভব। সেই আন্দাজ করে মাছ কাটতে হবে। মাছ যদি আঁশযুক্ত হয়, বঁটির গায়ে ঘষে পরিষ্কার করে নিতে হবে।
৪) বঁটিতেই কাটুন বা ছুরিতে— গোটা মাছ অর্ধেক না করে প্রথমে ইংরেজি ‘ভি’ অক্ষরের মতো কায়দা করে ধড় থেকে মাথা আলাদা করে নিলে সুবিধা হবে। তার পর পেটের মাঝামাঝি জায়গা থেকে কেটে নিতে হবে।
৫) পেটের ভিতর থেকে নাড়িভুঁড়ি বার করে নিন। তার পর আবার এক বার ভাল করে জল দিয়ে ধুয়ে নিন। মাছের পেটে ডিম থাকলে তা-ও আলাদা করে বার করে নেবেন। খেয়াল রাখবেন পেটের ভিতর যেন পটকা না থাকে। না হলে মাছ ভাজার সময়ে ফেটে গিয়ে বিপদ ঘটতে পারে।
৬) এ বার মাছের আকার, আয়তন বুঝে মাছ ছোট টুকরো করে কেটে নিন। মাছের লেজ যদি বড় হয়, তা হলে ল্যাজার শেষ প্রান্ত ছোট করে কেটে নিতে হবে। আশপাশের পাখনাগুলিও কেটে নেওয়াই ভাল।
৭) পাবদা, পার্শে, ট্যাংরা কিংবা চারাপোনা মাছের মাথা বাদ দেওয়ার প্রয়োজন পড়ে না। মাথার নীচে এবং পেটের উপর দিকে একটা অংশ ছোট করে কেটে ভিতর থেকে নাড়িভুঁড়ি বার করে নিতে হয়।
৮) মাছের বড় মাথা থাকলে সেগুলি আড়াআড়ি করে করে কেটে নিন। কানকো তুলে ভিতর থেকে মাছের ফুলকো কেটে বাদ দিয়ে দিন।
৯) মাছ কাটা হয়ে গেলে আবারও পরিষ্কার জল দিয়ে ভাল করে ধুয়ে নিন। জল ঝরিয়ে ফ্রিজে তুলে রাখুন। না হলে নুন, হলুদ মাখিয়ে ভেজে নিন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy