কথা কিছু কিছু না বলাই ভাল। ছবি: সংগৃহীত।
পেটে কোনও কথা থাকে না! বন্ধুমহলে, চেনা-পরিচিতের ভিড়ে, সহকর্মীদের মধ্যে খুঁজলে এমন স্বভাবের কাউকে না পাওয়া যাবেই। গোপন কথাটি গোপনে রাখতে পারেন না অনেকেই। পরে তা নিয়ে হয়তো আফসোস হয়। কিন্তু তত ক্ষণে অনেকটা সময় পেরিয়ে যায়। নানা রকম জটিলতাও তৈরি হয়। অনেক সময়ে বিশ্বাস করে কাউকে কিছু বলে বিপদে পড়ার ঝুঁকিও থাকে। তাই কিছু কথা প্রকাশ্যে না আনাই শ্রেয়। কোন কথাগুলি নিজের মনে তালাবন্ধ করে রাখবেন?
পাসওয়ার্ড
এটিএম-এর পিন যেন অন্য কেউ জানতে না পারে। কাছের মানুষ হলেও নয়। মোবাইল, ল্যাপটপেও পাসওয়ার্ড দেওয়া থাকে অনেকেরই। সেগুলিও অন্য কারও সঙ্গে ভাগ করে নেওয়ার দরকার নেই। ফোন, ল্যাপটপে ব্যক্তিগত তথ্য থাকে। সে সব অন্যের হাতে তুলে দেওয়ার ভুল না করাই শ্রেয়।
ব্যক্তিগত সমস্যা
সমস্যার কথা কারও সঙ্গে ভাগ করে নিলে মন হালকা হয়। মনের ভার খানিকটা হলেও কমে। কিন্তু সমস্যার সমাধান হয় না। তাই ব্যক্তিগত সমস্যার কথা প্রকাশ্যে যত কম আনা যায়, ততই ভাল।
আর্থিক পরিকল্পনা
ব্যাঙ্কে সঞ্চয়ের পরিমাণ কত, কিংবা কত টাকার বিমা করিয়েছেন, এগুলি সকলের সঙ্গে আলোচনা করার বিষয় নয়। একান্তই ব্যক্তিগত ব্যাপার। তা প্রকাশ্যে না আনাই শ্রেয়। তা হলে আর নিজের বলে কিছু থাকবে না।
অন্যের গোপন কথা
এক জন বিশ্বাস করে আপনাকে কিছু জানিয়েছেন। সেই কথা আবার অন্যের কাছে গিয়ে না বলাই শ্রেয়। এতে বিশ্বাসভঙ্গ হয়। যিনি বিশ্বাস করে বললেন, আপনার প্রতি তাঁর খারাপ ধারণা জন্ম নেবে। পরবর্তী ক্ষেত্রে আপনাকে কোনও কথা বলার আগে তিনি দু’বার ভাববেন।
ভবিষ্যৎ ভাবনা
আগামী দিনে কী করবেন, বা কী করতে চান নিজের মনের মধ্যে রাখুন। কাউকে বলার দরকার নেই। তাতে বিশেষ কোনও লাভ হয় না। বরং বিভিন্ন পরামর্শের ভিড়ে নিজের পরিকল্পনা হারিয়ে যেতে পারে। তার চেয়ে সময়ের উপর ভরসা রাখুন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy