‘তামাশা’ ছবির দৃশ্যে দীপিকা পাড়ুকোন ও রণবীর কপূর। ছবি: সংগৃহীত।
এক বার সম্পর্ক ভাঙার পর দ্বিতীয় বার সম্পর্কে জড়াতে ইতস্তত করেন অনেকে। একাকিত্ব এক দিকে যেমন কষ্ট দেয়, তেমনই নতুন করে কাউকে বিশ্বাস করার আগে মনে চেপে বসে অজানা ভয়, অনিশ্চয়তা। আপনারও কি সদ্য প্রেম ভেঙেছে? পুরনো সম্পর্কের ঘেরাটোপ থেকে বেরিয়ে আসতে পারছেন না? বিচ্ছেদের পর সেই যন্ত্রণা থেকে বেরিয়ে আসতে অনেকেই অনেক রকম কাজে মন দেন। এই সময় নিজের অন্দরের ডামাডোল আর পাঁচজনের থেকে লুকিয়ে রাখতে নতুন নতুন পথের হদিস খোঁজেন কেউ কেউ। তবে সব পথে হাঁটলেই যে আপনি যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাবেন, এমনটা নয়। জেনে নিন, বিচ্ছেদের পর কোন কাজগুলি করলে শেষমেশ আপনার ক্ষতিই হবে।
১) কড়া ডায়েট বা অতিরিক্ত শরীরচর্চা
বিচ্ছেদের যন্ত্রণা ভুলতে অনেকেই স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনে মন দেন। স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করতে গিয়ে হয় কড়া ডায়েট কিংবা অতিরিক্ত শরীরচর্চা শুরু করেন। তবে এই অভ্যাস মোটেও স্বাস্থ্যকর নয়। সুস্থ হতে চাইলে পুষ্টিবিদের পরামর্শ মেনে ডায়েট করতে পারেন। আর শরীচর্চার ক্ষেত্রেও ফিটনেসবিদের নজরদারিতে ধীরে ধীরে সময়ের মাত্রা বাড়াতে হবে।
২) এক এক দিন এক এক জনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হওয়া
বিচ্ছেদের বেদনা ভুলতে এক এক দিন এক এক জনের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন অনেকেই। বিপরীতের মানুষটির ভাল-মন্দ কিছুই না জেনে তাঁর সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়া কিন্তু মোটেই বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দেয় না। বিচ্ছেদের পর বিভিন্ন ডেটিং সাইটে অ্যাকাউন্ট খোলেন কেউ কেউ। আর সেখান থেকেই অজানা অচেনা লোকেদের সঙ্গে ডেটে যান, এমনকি ঘনিষ্ঠও হন। তবে এর ফলে কিন্তু হিতে বিপরীত হতে পারে।
৩) নিজেকে অতিরিক্ত ব্যস্ত করে ফেলা
প্রাক্তনকে ভুলতে কেউ জীবিকার কাজে অতিরিক্ত মন দেন, কেউ সারা ক্ষণ ঘুরে বেড়ান বাইরে বাইরে, কেউ আবার সারা ক্ষণ নিজের পছন্দের কাজে ডুবে থাকেন। এ সবের কোনওটাই কিন্তু ভাল নয়। অতিরিক্ত কোনও কিছুই ভাল ফল দেয় না। তাই চেষ্টা করুন পেশা ও নেশার মধ্যে ভারসাম্য রেখে চলতে।
৪) নিভৃতবাসে থাকা
বিচ্ছেদের যন্ত্রণায় অনেকে নিজেকে ঘরবন্দি করে ফেলেন। বাইরে বেরোতে চান না, কোনও সামাজিক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে চান না কেউ কেউ। একাকিত্ব কিন্তু বিচ্ছেদের যন্ত্রণা মোটেও ভুলতে দেবে না। বরং পরিবার, আত্মীয়-স্বজন, বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে সময় কাটালে দ্রুত সেই যন্ত্রণা থেকে বেরিয়ে আসতে পারবেন।
৫) জীবন সম্পর্কে হতাশ হয়ে পড়া
কোনও ঘটনার প্রেক্ষিতে আকস্মিক সিদ্ধান্ত না নেওয়াই শ্রেয়। সম্পর্ক হোক বা পরীক্ষার ফল, জীবনের চেয়ে বড় কিন্তু কিছুই নয়। অভিভাবকের চরম ধমকের পরেও জীবনের বাঁকে বাঁকে বিস্ময় লুকোনো থাকে। একটি সম্পর্ক টিকল না মানেই জীবনের সব শেষ নয়। এর পরেও আপনার জন্য অপেক্ষা করতে পারে একটি সুন্দর জীবন। রোজকার কাজে মন দিতে না পারলে পরামর্শ নিন চিকিৎসকের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy