মুলোর চেয়েও বেশি পুষ্টিকর তার শাক। ছবি: সংগৃহীত।
পাঁচ মেশালি তরকারি, লাবড়া কিংবা শুধু শাকের চচ্চড়ি— অন্যান্য নানা সব্জি কিংবা শাকের মধ্যে শীতকালে মুলোশাক থাকবেই। এই সময়ে মুলোর ফলন ভাল হয়, তাই নানা রকম পদে মুলো ব্যবহার করা হয়। স্যালাড,পরোটা, এমনকি চাটনি হিসাবেও মুলো খাওয়ার চল রয়েছে বিভিন্ন প্রদেশে। তবে বেশি মুলো খেলে আবার পেটে গ্যাস, অম্বলের উৎপাত বেড়ে যায়। তাই মুলো খেতে চান না অনেকেই। তবে পুষ্টিবিদেরা বলছেন, এই সব্জি যদি না-ও খান। মুলোশাক কিন্তু ফেলে দেওয়া যাবে না। কারণ, মুলোর চেয়েও বেশি পুষ্টিকর তার শাক। প্রোটিন, সোডিয়াম, আয়রন, ম্যাগনেশিয়াম, ক্লোরিন-এর মতো খনিজ রয়েছে এই পাতায়। এ ছাড়াও রয়েছে নানা রকম ভিটামিন। যা শরীরের নানা রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
মুলোশাক খেলে কোন কোন রোগ বশে থাকে?
১) পাইল্স নিরাময়ে
নিয়মিত মুলোশাক খেলে পাইল্সের কষ্ট কমে। এই শাকের মধ্যে যে পরিমাণ ফাইবার রয়েছে, তা কোষ্ঠ পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে। তা ছাড়া, অন্ত্র ভাল রাখতেও সাহায্য করে এই শাক।
২) রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে
দীর্ঘ দিন ডায়াবিটিসের সমস্যায় ভুগছেন যাঁরা, তাঁদের অনেক খাবারেই বারণ থাকে। তবে মুলোশাক খেলে রক্তে শর্করার মাত্রায় তেমন কোনও প্রভাব পড়ে না। কারণ, মুলোশাকের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম।
৩) রক্ত পরিষ্কার করতে
রক্তে দূষিত পদার্থ জমা হতে থাকলে সংক্রমণের ভয় থাকে। মুখে ব্রণ, র্যাশ, চুলকানির সমস্যা বেড়ে যায়। মুলোশাক কিন্তু রক্ত পরিশোধক হিসেবে দারুণ কাজ করে।
৪) রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখতে
যাঁদের রক্তের চাপ কম, নিয়মিত মুলোশাক খেলে তাঁদের এই ধরনের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে থাকে। মুলোশাকে যে পরিমাণ সোডিয়াম রয়েছে, তা রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে।
৫) রোগ প্রতিরোধ করতে
আবহাওয়া বদলের সময়ে সংক্রমণজনিত সর্দি-কাশি, পেট খারাপ, অ্যালার্জিজনিত সমস্যায় ভোগেন অনেকেই। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে এই মুলোশাক। পাশাপাশি, রক্তাল্পতার সমস্যাও নিরাময় করতে পারে এই শাক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy