ছবি: সংগৃহীত।
এমনিতে কিছু কেনেন না। কিন্তু অনলাইনে কোনও ছাড় দিতে দেখলেই গুচ্ছের পোশাক কিনে ফেলেন। ভবিষ্যতে প্রয়োজন পড়তে পারে, সেই ভেবে অনেক কিছু অর্ডার দিয়ে ফেললেন। এ দিকে, রাখার জায়গা নেই। আবার একাধিক পোশাক থাকার পরেও কোথাও যাওয়ার আগে কোনও কিছুই মনে ধরে না। মনে হয় তৎক্ষণাৎ নতুন একটি পোশাক না কিনলেই নয়। অথচ এক বার গায়ে তোলার পর সেই পোশাক যে ঘরের কোন কোণে গিয়ে পড়ে থাকে, তার হদিস পাওয়া যায় না বেশির ভাগ সময়েই। তবে মনোবিদেরা বলছেন, জীবনকে যদি সহজ খাতে বইয়ে দিতে হয়, তবে অল্পে সন্তুষ্ট থাকতে পারা জরুরি। না হলে বাড়তি জিনিসের মতোই অযাচিত কিছু বিষয় জীবনে জটিলতা বাড়িয়ে তুলতে পারে।
স্বল্প জিনিসে অভ্যস্ত হতে শেখা জরুরি কেন?
১) জটিলতাহীন জীবন
কর্মব্যস্ত জীবনে এমনিতেই সমস্যার শেষ নেই। ঘরে-বাইরে নানা রকম পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয়। তাই জীবনকে যত সহজ রাখা যায়, ততই ভাল।
২) মানসিক চাপ কম
প্রয়োজনের তুলনায় বেশি জিনিস থাকলে, তা দেখাশোনা করার প্রয়োজন পড়ে। কর্মব্যস্ত জীবন থেকে সময় বার করে সেই সব অতিরিক্ত জিনিসের দায়িত্ব গিয়ে পড়লে মানসিক চাপ বেড়ে যাওয়া স্বাভাবিক। আর্থিক পরিকাঠামো ভেঙে পড়তে পারে।
৩) লক্ষ্যে স্থির থাকা
একসঙ্গে অনেক জিনিস নিয়ে ভাবনা-চিন্তা করতে থাকলে নির্দিষ্ট কোনও একটি লক্ষ্যে স্থির থাকা মুশকিল হয়। পার্থিব জিনিসের প্রতি অতিরিক্ত মোহ থাকলে অনেকেই বিভ্রান্ত হয়ে পড়েন।
৪) শিল্পের বিকাশ
হাতের কাছে খুব সামান্য জিনিস থাকলে, তা দিয়ে প্রয়োজন মিটিয়ে নিতে শেখাও কিন্তু একটি শিল্প। নতুন, অভিনব ভাবনার জন্ম কিন্তু এই পরিমিতি বোধ থেকেই আসে। তা ছাড়া, নিজের কাছে যেটুকু রয়েছে, তার পূর্ণ ব্যবহার করতে শেখাও জরুরি।
৫) ভবিষ্যতের জন্য সঞ্চয়
পরিমিতি বোধ থাকলে ভবিষ্যতে অর্থ সঞ্চয়ের পথ প্রশস্ত হয়। জীবনধারণের জন্য যেটুকু প্রয়োজন, শুধু সেটুকুতে মন দিলে অযথা পয়সা খরচ হয় না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy