আমি থেকে আমরা হওয়ার যাত্রাপথে। ছবি- সংগৃহীত
শুধু সাজগোজ বা খাওয়াদাওয়া নয়, বিয়েকে কেন্দ্র করে থাকে হাজার অনুষ্ঠান। তার উপর এখন সকলের পরিবারেই লোকসংখ্যা সীমিত। বয়স্কদের শরীর খারাপ, বন্ধুদের ছুটির অভাব। এই সব কিছুর মাঝে যে সব বর বা কনেকে নিজের বিয়ের অনেক কাজ করে তবে বিয়েতে বসতে হয়, তাঁদের জন্য সত্যিই তা বাড়তি চাপ। অনুষ্ঠানবাড়ি ঠিক করা, নিমন্ত্রিতদের তালিকা তৈরি করা, কে কোথায় থাকবেন তা ঠিক করা থেকে বৌভাতের বেঁচে যাওয়া খাবার কোথায় রাখা হবে, সেই সব আগে থেকে পরিকল্পনা করা, সব কিছুই জড়িত থাকে। এত কিছুর মাঝে নিজেদের ‘বিশেষ’ দিনটির জন্য যা যা ভেবে রেখেছিলেন তা-ই হয়তো শেষমেশ করা হয়ে উঠল না। সেই আফসোস রয়ে যায় সারা জীবন। নিজের বিয়েতে নিজের পরিকল্পনা অনুযায়ী সব কিছু সুষ্ঠু ভাবে করতে গেলে মাথায় রাখতে হবে ছোট ছোট কিছু বিষয়।
নিয়মনিষ্ঠা পালন করার মাঝে বিয়ের দিনের নিজের জন্য মাথায় রাখুন এই পাঁচ নিদান।
১) নিজেদের জন্য সময় বার করে নিন
বিয়ে মানে শুধু বর-কনে নয়, দু’টি পরিবারের মিলনোৎসব। কিন্তু তার মানে এই নয় যে, সারা ক্ষণ পরিবার দ্বারা পরিবেষ্টিত থাকবেন। বাড়ির বয়োজেষ্ঠ্যরা আছেন বলে নিজেদের ‘বিশেষ’ মুহূর্তগুলি হাতছাড়া করার কোনও মানেই হয় না। ‘আমি’ থেকে ‘আমরা’ হয়ে ওঠার যাত্রাপথটি স্মরণীয় করে রাখার দায়িত্ব কিন্তু আপনাদেরই।
২) বিকল্প পোশাকের পরিকল্পনা করে রাখুন
নানা দোকান ঘুরে, বার বার পরে আয়নার সামনে দেখে পছন্দের পোশাক বা শাড়ি অনেক দিন আগেই কিনে ফেলেছেন। কিন্তু বাড়িতে আত্মীয়স্বজন এলেই বার বার খুলে দেখাতে হচ্ছে। এ সব করতে গিয়ে যদি সেই পোশাকে কোনও ভাবে চা বা কফি পড়ে যায়, তা হলেই দফারফা। শেষ মুহূর্তে ড্রাইওয়াশে দিলে পাওয়াও যাবে না। আবার নতুন জিনিস কাচতে দিতেও খারাপ লাগছে। তাই সব সময়ে বিকল্প পরিকল্পনা করে রাখাই ভাল।
৩) শেষ মুহূর্তের মেক আপ
গোধূলি লগ্নে বিয়ে। তাই ওই দিন দুপুর থেকে সাজতে বসতে হবে। তাড়াতাড়ি বিয়ে হয়ে গেলেও বন্ধুবান্ধব, আত্মীয়স্বজনরা তো অনেক রাত পর্যন্ত থাকবেন, ছবিও তুলবেন। এ দিকে বিয়ের নানা আচার-অনুষ্ঠান, চড়া আলো, সব কিছুর পর মেক আপ গলে একশা। তাই মাঝেমাঝেই টাচআপ করা জরুরি।
৪) কাছের বন্ধুদের সঙ্গে ছবি তোলা
বিয়ের দিন বর-কনের কাজ সব থেকে বেশি। তবে বিশেষ ওই দিনে নানা রকম আচার-অনুষ্ঠানের মধ্যে নিজের বাড়ি, শ্বশুরবাড়ির আত্মীয়-পরিজনের মাঝে বন্ধুদের সঙ্গে ছবি তুলতে ভুলে যাবেন না যেন।
৫) জল এবং খাবার খাওয়া
বিয়ে উপলক্ষে সব কিছু আগে থেকে ঠিক থাকলেও ওই দিন বর-কনের মানসিক চাপ থাকে সব চেয়ে বেশি। বিয়ের নানা কাজ, নিমন্ত্রিতদের দেখাশোনা ইত্যাদি করতে গিয়ে নিজেদের খাওয়াদাওয়ার উপর নজর থাকে না। তার উপর সারা দিনের নানা ঝক্কি সামলাতে গিয়ে পর্যাপ্ত জল খাওয়াও হয় না। বিয়ে করতে গিয়ে অনেক সময়েই দেখা গিয়েছে, বর বা কনে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। বিশেষ দিনে যদি দু’জনের কেউ অসুস্থ হয়ে পড়েন, তা হলে পুরো আনন্দটাই মাটি। তাই জল বা খাবারে যেন কোনও ফাঁক না পড়ে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy