যমজ সন্তান চাই? ছবি: সংগৃহীত।
এখন অনেক মহিলাই বেশি বয়সে মা হওয়ার পরিকল্পনা করেন। তবে মহিলাদের বেশি বয়সে সন্তানধারণের ক্ষেত্রে বেশ কিছু শারীরিক সমস্যা দেখা যায়। সন্তানধারণের জন্য আইভিএফ পদ্ধতির সাহায্য নিতে হয় অনেককেই। অনেকের আবার ধারণা, আইভিএফ মানেই নাকি যমজ সন্তানের সম্ভাবনা বেড়ে যাওয়া। তবে কাদের যমজ সন্তান হবে, তা নির্ভর করে বেশ কিছু বিষয়ের উপর। আপনিও কি সন্তানধারণের পরিকল্পনা করছেন? জেনে নিন, আপনার যমজ সন্তান হওয়ার সম্ভাবনা কতখানি।
১) পরিবারে কোনও যমজ থাকলে, আপনারও যমজ হতে পারে। অনেক মহিলার শরীরে দুই বা তার বেশি সংখ্যক ডিম্বাণু উৎপাদন হয়। একে বলে হাইপার ওভিউলেশন। এই প্রবণতা মেয়েদের মধ্যে মায়ের ডিএনএ থেকে আসতে পারে। এমন ক্ষেত্রে যমজ সন্তান জন্মানোর সম্ভাবনা থাকে।
২) ২০১৮ সালে আমেরিকার জন্মহারের সমীক্ষা অনুযায়ী, গায়ের রং চাপা হলে যমজ সন্তানধারণের সম্ভাবনা বেশি।
৩) বিভিন্ন সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে ওবেসিটির সমস্যা থাকলেও যমজ বা আরও বেশি সন্তান হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। বিশেষত যাঁদের বডি মাস ইনডেস্ক (বিএমআই) ৩০-এর উপর, তাঁদের বেশি যমজ সন্তান হয়। অনেকেই মনে করেন, ওজন বেশি হলে সন্তানসম্ভবা হওয়া যায় না। সে ধারণা ঠিক নয়। ওবেসিটি নিয়ে সন্তানধারণ করলে বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়, তাই চিকিৎসকরা সন্তানধারণের আগে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার পরামর্শ দেন।
৪) খুব বেশি লম্বা মেয়েদের যমজ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। মেয়েদের গড় উচ্চতা ৫ ফুট ৩ ইঞ্চি। ২০০৬ সালের একটি সমীক্ষা বলছে, ১২৯ জন মহিলা, যাঁদের যমজ সন্তান হয়, তাঁদের সকলেরই উচ্চতা ৫ ফুট ৫ ইঞ্চির কাছাকাছি ছিল। গবেষকদের মতে, উচ্চতার জন্য দায়ী কিছু হরমোন যমজ সন্তান হওয়ার সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয়।
৫) বেশি বয়সে সন্তানধারণ করলে যমজ সন্তান জন্মের সম্ভাবনা বাড়ে। বিশেষ করে ৩৫ বা ৪০ বছরের বেশি হলে। মেয়েরা যত রজোনিবৃত্তির দিকে এগিয়ে যান, ততই তাঁদের শরীরে কিছু হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হতে শুরু করে। এবং তাতেই বাড়ে যমজ সন্তান হওয়ার সম্ভাবনা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy