পেট ঠান্ডা রাখতে মেথি ভেজানো জলের বিকল্প নেই। চুলের যত্নেও এই পানীয় বেশ কাজের। বয়ঃসন্ধিতে মুখে ব্রণের বাড়বাড়ন্ত হলেও অনেক সময়ে মেথি ভেজানো জল খাওয়ার পরামর্শ দেন গুরুজনেরা। তবে মেথি ভেজানো জল খেয়ে নেওয়ার পর বীজগুলি অনেকে ফেলে দেন। পুষ্টিবিদেরা কিন্তু বলছেন, এই পানীয়টি যেমন উপকারী, তেমনই জলে ভেজা বীজগুলি কিন্তু ফেলে দেওয়ার নয়। বিভিন্ন গবেষণায় সে প্রমাণ মিলেছে।
‘ন্যাশনাল লাইব্রেরি অফ মেডিসিন’ জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, হরমোনজনিত সমস্যা নিরাময়ে মেথির যথেষ্ট ভূমিকা রয়েছে। জলে ভেজানো মেথিদানা চিবিয়ে খেতে পারলে মহিলাদের ঋতুস্রাবের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে থাকে। আর কী কী উপকার মেলে?
আরও পড়ুন:
১) হজমশক্তি উন্নত করে:
মেথির বীজে সহজপাচ্য ফাইবার রয়েছে যথেষ্ট পরিমাণে, যা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা নিরাময় করে, অন্ত্র ভাল রাখে। হজমশক্তি উন্নত করতেও সাহায্য করে ভেজানো মেথি।
২) রক্তে শর্করা স্বাভাবিক রাখে:
যাঁরা দীর্ঘ দিন ধরে ডায়াবিটিসের সমস্যায় ভুগছেন, তাঁরাও জলে ভেজানো মেথি বীজ খেয়ে দেখতে পারেন। ইনসুলিন হরমোনের উৎপাদন, ক্ষরণ এবং কার্যক্ষমতা স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে।
৩) চুলের জন্য ভাল:
চুল পড়া, খুশকির সমস্যা রোধ করতে অনেকেই মেথি বেটে মাথায় মাখেন। পুষ্টিবিদেরা বলছেন, মেথি ভেজানো বীজ চিবিয়ে খেলেও দ্রুত কাজ হবে। প্রোটিন, নিকোটিনিক অ্যাসিড, লেসিথিনের মতো উপাদান চুলের ঘনত্ব বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
আরও পড়ুন:
৪) ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে:
ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে গেলে বিপাকহার বাড়িয়ে তোলা প্রয়োজন। ভেজানো মেথি বীজ চিবিয়ে খেলে শারীরবৃত্তীয় এই প্রক্রিয়াটির গতি বাড়ে। ফলে ক্যালোরি ক্ষয় হয়, মেদও ঝরে।
৫) কোলেস্টেরলের ভারসাম্য বজায় রাখে:
রক্তে দু’ধরনের কোলেস্টেরল থাকে। একটি ভাল এবং অন্যটি খারাপ। ‘এলডিএল’ বা খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে গেলে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়তে থাকে। তবে ভেজানো মেথি খেলে একই সঙ্গে দু’দিক বজায় থাকে। ভাল কোলেস্টেরল এবং খারাপ কোলেস্টেরলের ভারসাম্য বজায় রাখতেও সাহায্য করে মেথি।