কাজের চাপ, উদ্বেগ, রাত জেগে সিরিজ় দেখা বা সদ্যোজাতের দেখাশোনা করা— ফল, চোখের তলায় কালি। সালোঁয় ফেশিয়াল করিয়েও যে খুব উপকার হয়েছে, এমন নয়। অনেকে আবার এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে রাতে শুতে যাওয়ার আগে আলাদা করে দামি প্রসাধনীও মাখেন। নিয়মিত ব্যবহারে অনেকের উপকার মেলে। আবার, এতগুলি টাকা খরচ করে ফল না মেলায় অসন্তুষ্ট হন অনেকে। চোখের তলার ফোলা ভাব, কালচে দাগ দূর করতে শুধু ক্রিম মাখলেই হবে না, বাদ দিতে হবে রোজকার কিছু অভ্যাসও। জীবনধারায় কোন কোন পরিবর্তন আনলে এই দাগের হাত থেকে রেহাই পাওয়া যেতে পারে?

১) রাত জেগে কাজ করার অভ্যাস কিংবা সারা দিনের ক্লান্তি কাটাতে মোবাইলের পর্দায় চোখ রেখে রাতের পর রাত ওয়েব সিরিজ় দেখা— এই সব অভ্যাসের কারণে ঘুমের বারোটা বাজে। দিনে অন্তত আট ঘণ্টার ঘুম কিন্তু ভীষণ জরুরি। নইলে শরীরে নানা প্রকার রোগ বাসা বাঁধবে আর সঙ্গে চোখের তলায় কালিও পড়বে। ঘুমোনোর অন্তত ঘণ্টাখানেক আগে থেকে মোবাইলটি দূরে রাখুন।

২) শরীরে জলের ঘাটতি হলে শরীর নিজেই সে কথা জানান দেয়। চোখের তলায় কালচে ভাব, ফোলাভাব শরীরে জলের ঘাটতির লক্ষণ হতে পারে। তাই বেশি করে জল খান।

৩) শরীরচর্চা করলে কেবল সুস্বাস্থ্য পাওয়া যায়, এমনটা নয়। ত্বকের যত্ন নেওয়ার জন্যেও শরীরচর্চার প্রয়োজন রয়েছে। শরীরচর্চা করলে শরীরে এবং ত্বকে রক্ত সঞ্চালনের মাত্রা বাড়ে। তাই নিয়মিত শরীরচর্চার অভ্যাস চোখের তলার কালো ভাব মেটাতে পারে। সেই সঙ্গে ত্বকে বয়েসের ছাপ লুকিয়ে রাখতেও এর কোনও জুড়ি নেই।

৪) অতিরিক্ত ধূমপানের কারণেও চোখের তলায় কালি পড়তে পারে। ধূমপানের অভ্যাস ত্বক শুষ্ক করে, ত্বকে মেলানিন, ইলাস্টিন ও কোলাজেন উৎপাদনে বাধা তৈরি করে।

৫) ডায়েটে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট ও ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের মাত্রা বাড়ালে চোখের তলায় কালচে ভাব দূর হবে। ডার্ক চকোলেট, সিট্রাস-জাতীয় ফল, বিট,গাজর, পালংশাকে ভাল মাত্রায় অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট থাকে। আর স্যামন, টুনা ইত্যাদি মাছ, দানাশস্য, আখরোট, আমন্ড শরীরে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের ঘাটতি মেটাতে পারে।