আপেল সাইডার ভিনিগার ঠেকায় বিভিন্ন অসুখ। ছবি: আইস্টক।
রান্নাবান্নায় এর অবাধ যাতায়াত। তবে শুধু রান্নার ক্ষেত্রেই নয়, আপেল সিডার ভিনিগারের উপকারিতার আরও নানা দিক রয়েছে। ফরাসিতে ভিনিগার শব্দের অর্থ ‘সাওয়ার ওয়াইন’। সাধারণত ভিনিগার বলতে টক ওয়ানইকেই বোঝায়। আপেল সিডার ভিনিগারের ক্ষেত্রে আপেলের রসে ইস্ট ও ব্যাকটিরিয়া মিশিয়ে তাকে প্রস্তুত করা হয়। স্বাস্থ্যকর নানা কারণে এই ভিনিগারকে ডায়েটে রাখার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরাও।
প্রথম দফায় আপেলের রসের সঙ্গে ইস্ট ফারমেন্টেড হয়ে আপেলের রসকে অ্যালকোহলে পরিণত করে পরের ধাপে তা অ্যাসিটিক অ্যাসিড দিয়ে ফের ফারমেন্টেড করা হয়। অবশেষে তা ভিনিগারে পরিণত হয়। বিভিন্ন ঘরগৃহস্থালীর কাজে যেমন এই আপেল সিডার ভিনিগার উপকারী, তেমনই শরীরের নানা অসুখবিসুখেও কাজে আসে এটি। এই ভিনিগার সৌন্দর্যরক্ষায়ও কাজে লাগে। কিন্তু ভিনিগার অ্যাসিডিক হওয়ার কারণে তা দৈনিক খাদ্যতালিকায় যোগ করার ক্ষেত্রে কিছু বিধিনিয়ম পালন করা জরুরি।
দিনে বড় চামচের দু’চামচ বেশি আপেল সিডার খাবেন না, খেলেও চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে নেবেন। এ ছাড়া যখনই এই ভিনিগার খাবেন, তা অবশ্যই জলের সঙ্গে মিশিয়ে পাতলা করে ফেলতে হবে। মূলত শরীরচর্চার ক্ষেত্রে এই আপেল সিডারের কথা উঠলে অনেকেই কেবল ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণের দিকটাই ভাবেন, তবে এই বিশেষ উপকার ছাড়াও আপেল সিডারের আরও নানা কার্যকর দিক রয়েছে। জানেন সে সব?
আরও পড়ুন: হতাশার শিকার হন প্রায়ই? কিছু জরুরি কৌশলে কাটিয়ে উঠুন এই সমস্যা
চুল পাতলা হয়ে ঝরে যাচ্ছে? সমস্যা মেটাতে মেনে চলুন এই সব উপায়
আপেল সিডার ভিনিগার রান্না ছাড়াও বিভিন্ন উপকারে লাগে।
এই ভিনিগার ব্যাকটিরিয়া মারতে সক্ষম বলে ডায়রিয়া সমস্যায় বিশেষ উপকারী। এক-দু’ চা চামচ ভিনিগার এক গ্লাস গরম জলে মিশিয়ে খেলে উপকার মিলবে। ডায়াবিটিসের সমস্যায় এই ভিনিগার উপকারী। মূলত ইনসুলিন তৈরি করতে না পারা বা ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্টের কারণেই রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়ে। খাওয়াদাওয়ার আধ ঘণ্টা আগে এক গ্লাস জলে এক চামচ আপেল সিডার মিশিয়ে খেলে রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে থাকে। গলাব্যথার ক্ষেত্রে আধ কাপ ঈষদুষ্ণ জলে দু’চামচ আপেল সিডার ভিনিগার ও মধু মিশিয়ে গার্গল করলে আরাম পাবেন অনেকটা। হজমের সমস্যাতে মেটাতেও এই ভিনিগার খুব কার্যকর। গরম জলে এক চামচ আপেল সিডার ভিনিগারে বদহজম থেকে মুক্তি মেলে সহজেই। শ্যাম্পু করার পর চুল ধুয়ে নিন আপেল সিডার ভিনিগার মেশানো জল দিয়ে। কন্ডিশনারের সমান উপকার পাবেন। চুল নরম হবে, ব্যাকটিরিয়ার উপস্থিতির জন্য খুশকির সমস্যাও কমবে দ্রুত। আপনার বিপাক হার (বিএমআর রেট) কেমন তা জেনে প্রতি দিন কতটুকু আপেল সিডার খেলে ওবেসিটি নিয়ন্ত্রণে আসবে তা জানতে পারবেন। খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে ও ভাল কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়াতে আপেল সিডার ভিনিগার খুবই উপকারী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy