বিদ্যুতের বিল খরচ আটকাতে ভরসা রাখুন কিছু কৌশলে। ছবি: আইস্টক।
ঝড়-বৃষ্টির মরসুম মানেই যে বিদ্যুতের বিলের খরচ একলপ্তে অনেকটা কমে যাচ্ছে, এমনটা সব সময় দেখা যায় না। ভ্যাপসা গরম না বোধ করলে এসি-র ব্যবহার অনেকটাই কমে ঠিকই, তাই কিছুটা কাটছাঁট হয় বিলে। কিন্তু অধিকাংশ সময়ই দেখা যায় এই হ্রাসের পরিমাণ মোটেই বিরাট কিছু নয়। মাসান্তে বিদ্যুতের বিল এলে তাই মাথায় ঢোকে না, এসি না থাকলেও বা না ব্যবহার হলেও কোনখান থেকে এত ইউনিট পুড়ে যাচ্ছে রোজ।
শুধু বিদ্যুতের বিল বাঁচাতেই নয়, বিদ্যুৎ সংরক্ষণ করতে হবে প্রাকৃতিক কারণেও। কিছু নিয়ম মেনে চললে এই বিলের খরচ যেমন কমবে, তেমনই রক্ষা পাবে প্রাকৃতিক সম্পদ। শুধুমাত্র আলো-পাখার ব্যবহার কমানোই নয়, খরচ বাঁচাতে অবলম্বন করতে হবে কিছু কৌশল।
শুধু শুধু আলো-পাখা সময়মতো নেভানোর উপরেই বিল নির্ভর করে না। প্রতি দিন কিছু ভুলচুকের হাত ধরেই আসলে বাড়ে বিলের অঙ্ক। তাই শরীরের ক্যালোরিতেই নয়, বিদ্যুতের খরচেও আনতে হবে ডায়েটের চুলচেরা হিসেব। কী কী কৌশলে সহজেই পকেটসই করে তুলতে পারবেন প্রতি মাসের বিদ্যুৎ খরচ? রইল উপায়।
আরও পড়ুন: হেঁটেই ঝরবে মেদ, তবে হাঁটার সময় আর পদ্ধতি না জানলে উপকার নেই কিছুই!
মোবাইল চার্জার থেকে খোলার পর সুইচ বন্ধ করুন অবশ্যই। এই ভুল প্রায়শই করে থাকি আমরা। এসির ক্ষেত্রেও রিমোট দিয়ে বন্ধ করার পর সুইচ বন্ধ করি না অনেক সময়। এতেও কিছুটা অতিরিক্ত ইউনিট পোড়ে। দীর্ঘ ক্ষণ তা চালিয়ে রাখলে ইউনিট পোড়ার অঙ্কটা খুব কম হয় না। আলোর ক্ষেত্রে ব্যবহার করুন সিএফএল বা এলইডি। এই সব আলোয় ফিলামেন্টের তুলনায় সার্কিট ব্যবহার হওয়ায় বিদ্যুতের খরচ কমে। যে কোনও বৈদ্যুতিক যন্ত্র কেনার সময় স্টার রেটিংয়ে ভরসা রাখুন। কোনও যন্ত্রের স্টার রেটিং বেশি হলে তার ইউনিট বাঁচানোর ক্ষমতাও ততোধিক।
আরও পড়ুন: রান্নার নানা পর্বের নানা ভুল শোধরাবেন কী করে?
পুরনো তার, পুরনো যন্ত্র বেশি পরিমাণে ইউনিট খরচ করে বিলের অঙ্ক অনেকটা বাড়িয়ে দেয়। তাই দশ-পনেরো বছরের পুরনো যন্ত্র বা তার ব্যবহার না করে তা বদলে আধুনিক ও কম ইউনিট খরচের যন্ত্র ও তার কিনুন। ঘন ঘন এসি চালু ও বন্ধ করার ভুল নয়। এতে ইউনিট বেশি পোড়ে। একটানা চালিয়ে কিছু ক্ষণ পর বন্ধ করাই নিয়ম। তা মেনে চলাই ভাল। এসির আউটলেট এমন জায়গায় রাখতে হবে, যেখানো সরাসরি রোদ পড়ে না। অনেকে আবার তার মাথার উপরে একটি শেড করে দেন। এটিও ভুল ধারণা। এসি মেশিন রোদ-বৃষ্টির হাত থেকে বাঁচাতে ঢেকে রাখলে তাতে মেশিন খারাপ হয় তাড়াতাড়ি।
এসির তাপমাত্রা ২৪ ডিগ্রির নীচে নামাবেন না। তাতে বেশি ইউনিট খরচ হয়। ইনভার্টার এসি কিনতে পারলে সবচেয়ে ভাল, একান্তই তা না পারলে এনার্জি সেভিং মোড অন করে রাখুন। ফ্রিজের বেলাতেও মেনে চলতে হবে কিছু নিয়ম। দিনে এক ঘণ্টা করে বন্ধ রাখুন ফ্রিজ। যন্ত্রও বিশ্রাম পাবে, বিদ্যুৎও বাঁচবে। ফ্রিজের ভিতর ঠান্ডা থাকায় এই এক ঘণ্টায় খাবারদাবারও নষ্ট হওয়ার ভয় নেই। ফ্রিজে খুব গরম খাবার রাখবেন না। একটু ঠান্ডা করে তার পর তুলুন ফ্রিজে। তাতে বিদ্যুৎ খরচ কম হবে। ফ্রিজের খাবার অবষ্যই চাপা দিয়ে রাখুন। নইলে খাবারের উপরের আর্দ্রতা টেনে নেওয়ায় বিদ্যুৎ খরচ বেশি হবে। নিয়ম করে সব যন্ত্রেরই সার্ভিসিং করান সময় মতো। এতে যন্ত্র ভাল থাকে ও কম বিদ্যুৎ টানে। চেষ্টা করুন কিছু কিছু ক্ষেত্রে সোলার মেশিনের উপর ভরসা করতে। সোলার চার্জার, সোলার চিমনি এমনিতেই বেশ জনপ্রিয়। সোলার লাইটের চাহিদাও বাড়ছে নানা জায়গায়। সারা জীবনের বিদ্যুৎ বাঁচাতে এককালীন কিছু খরচ করে এই সোলার ব্যবস্থাগুলোর শরণ নিতেই পারেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy