ফুসফুসের কার্যক্ষমতা বাড়াতে ভরসা থাকুক শরীরচর্চায়। ছবি: শাটারস্টক।
বায়ুদূষণ ভারতের সব বড় শহরগুলিরই সমস্যা। কলকাতাও এর ব্যতিক্রম নয় । বাতাসের বাড়তি কার্বন ডাই অক্সাইড ডেকে আনছে ফুসফুস আর শ্বাসনালীর নানা সংক্রমণ। সকালে প্রাণ ভরে শ্বাস নিতে গেলেও মিলছে না বিশুদ্ধ বাতাস। চিকিৎসকদের পরামর্শ মেনে শ্বাসের ব্যায়ামেও তাই কম পড়ছে অক্সিজেনের জোগান। তবে শুধু শ্বাসের ব্যায়াম দিয়েই কিন্তু এই সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়। এর সঙ্গে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর ব্যায়ামও অত্যন্ত জরুরি।
সঠিক জায়গা বাছুন
গাছগাছারি ভরা পার্ক, গাছ লাগানো ফুটপাথ, কাছেপিঠে কল-কারখানা নেই এমন খোলা জায়গা বেছে নিন। ঘনবসতিপূর্ণ পরিবেশ বা রাস্তার ফুটপাথ হাঁটা-জগিংয়ের স্থান নয়। বাড়ির খোলা ছাদ বা কমপ্লেক্সের ভিতরে ব্যায়াম করুন। ধোঁয়া-ধুলো ভরা বাতাসে কার্বন ডাই অক্সাইড বেশি থাকে। ওই পরিবেশে ব্যায়াম করলে উপকারের চেয়ে ক্ষতি বেশি ।
ব্যায়ামের হদিশ
পাশাপাশি হাঁটুন, প্রাণায়াম করুন: পাশাপাশি পা ফুট দেড়েক বড় ফাঁক রেখে জোরে চলুন । একই সঙ্গে বুকের সামনে থেকে দুই হাত দু’পাশে প্রসারিত করুন। একেবারে টানটান করে। হাত প্রসারণের সময় জোরে শ্বাস ছাড়ুন। হাত বুকের কাছে আনার সময় পেটের গভীর থেকে শ্বাস নিন । ১০-১৫ পা ডান দিকে যান । তার পর ১০-১৫ পা বাঁ দিকে । জোরে জোরে হাঁটুন, জোরে জোরে শ্বাস নিন । ১-২ মিনিট করার পর ৩০ সেকেন্ড সময় ঘড়ি ধরে বিশ্রাম নিন। পাঁচ বার অভ্যাস করুন এটি । এতে বেশি অক্সিজেন শরীরে ঢুকবে । ফুসফুসের কার্যক্ষমতা বাড়বে । শ্বাসনালীও প্রসারিত হবে।
আরও পড়ুন: ভারতে ক্যানসার থাবা, উদ্বেগ প্রকাশ করল হু
ব্রিদিং জ্যাক: জায়গায় দাঁড়িয়ে পা ফুট খানেক ফাঁক রেখে সামান্য লাফান, আবার পা জোড়া করে আগের অবস্থানে ফিরুন। লাফানোর সময় দুই হাত মাথার উপরে তুলুন আর পা জোড়া করার সময় হাত নামান। লাফিয়ে হাত তোলার সময় জোড়ে শ্বাস ছাড়ুন। হাত নামানোর সময় পেটের গভীর থেকে শ্বাস নিন। লাফানোর ধরনকে বলে ‘জাম্পিং জ্যাক’। আর তা থেকেই ব্রিডিং জ্যাক। ৩০ বার লাফানোর পর ৩০ সেকেন্ড বিশ্রাম নিতে হবে। এই ভাবে ৫-৮ বার করুন। এ ক্ষেত্রে হার্ট রেট বাড়ে । ‘কার্ডিও-ভাস্কুলার সিস্টেম’ শক্তিশালী হয়। রক্তের লোহিত কনিকা বাড়ে। শারীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে ।
স্টেপিং: একটা জলচৌকি নিন অথবা সিঁড়ির সামনে দাঁড়ান। একটাই সিঁড়িতে পা বদলে বদলে উঠুন আর নামুন। সামান্য লাফিয়ে ওঠা-নামা করলে বেশি ফল পাবেন। ওঠার সময় শ্বাস ছাড়ুন। নামার সময় শ্বাস নিন। ওঠা-নামা মিলিয়ে মোট ৪০-৫০ বার করার পর ১ মিনিট বিশ্রাম। ৫ বারে একটি সেট হয়।
আরও পড়ুন: বিশ্ব ক্যানসার দিবস: কেমোথেরাপির হাত ধরে দূরে সরান অসুখ
এর পর নীচের দুটো আসন করুন। এই দুটো যোগাসন ফুসফুসের কার্যক্ষমতা বাড়ায়। গলার-বুকের পেশীও টানটান করে।
সুপ্ত বজ্রাসন: দুটো বালিশ পিঠের নীচে রাখুন। বজ্রাসন অতি পরিচিত ভঙ্গী । হাঁটু মুড়ে বসে বালিশে ভর রেখে ছবির মতো শারীর পিছনে হেলিয়ে, মাথা মাটিতে রাখুন। শ্বাস নেওয়া ছাড়া স্বাভাবিক রাখুন । ১০-৩০ সেকেন্ড থাকার পর বিশ্রাম। পর পর তিন বার করুন ।
উষ্ট্রাসন: হাঁটু ভাঁজ করে পছনের দিকে রেখে পিঠ সোজা রেখে বসুন। এ বার শ্বাস ছেড়ে হাঁটুর উপর ভর রেখে শারীর পিছনে হেলিয়ে দিন। দুই হাত গোড়ালির উপর ছেড়ে তাতে ভর দিন। ১০-৩০ সেকেন্ড ধরে থাকুন এই অবস্থা। তিন বার পর পর করুন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy