পুষ্টিগুণের কথা ভেবেই পাতে রাখুন ব্রকোলি। ছবি: শাটারস্টক।
শীতের সব্জির মধ্যে অন্যতম জনপ্রিয় ব্রকোলি। ফুলকপির মতো দেখতে হলেও স্বাদে ফুলকপির চেয়েও স্বাদু। পুষ্টিবিদদের বিধানে, ব্রকোলির পুষ্টিগুণও ফুলকপির চেয়ে বেশি। এই সব্জিতে জল বেশি থাকায় শীতে শরীরের পক্ষেও উপকারী ব্রকোলি। মূলত শীতের সব্জি হলেও আজকাল সারা বছরই শপিং মলগুলোয় ব্রকোলি মেলে। বড় বড় বাজারেও দেখা মেলে গোটা বছর।
সালাড থেকে শুরু করে ফ্রায়েড রাইস বা চাউমিনেও ব্রকোলি দেওয়ার রীতি আছে। নিরামিষ তরকারিতেও ব্রকোলির ব্যবহার রয়েছে। ভিটামিন কে, আয়রন, পটাশিয়াম সমৃদ্ধ ব্রকোলিতে ফ্যাট প্রায় থাকে না বললেই চলে। তাই ডায়েটেশিয়ানদেরো বেশ পছন্দের এই সব্জি।
ডায়েটে ব্রকোলি থাকলে কোন কোন দিক থেকে আপনি লাভবান হতে পারেন জানেন? রইল সে সবের হদিশ।
আরও পড়ুন: ‘অজানা জ্বর’-এর হানা ক্রমেই বাড়ছে, কোন পথে অসুখ এড়াবেন?
ব্রকোলিতে প্রচুর পরিমাণে ফ্ল্যাভনয়েড, লিউটেন, ক্যারোটিনয়েড, বিটা-ক্যারোটিন-সহ উচ্চ মানের নানা অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট থাকায় ডায়েটেশিয়ানদের কাছে এটি খুব জনপ্রিয়। রোগ প্রতিরোধে এই সব্জি বিশেষ ভূমিকা পালন করে। অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টের কারণে প্রাকৃতিক ডিটক্স হিসেবেও কাজ করতে পারে ক্যালোরি কম থাকায় ওজন বাড়ার কোনও সুযোগই দেয় না এই সব্জি। এতে জলের পরিমাণ প্রায় ৯০ শতাংশ। শরীরে জলের ভারসাম্য ধরে রাখতে তাই বিশেষ উপকারী এই সব্জি। ভিটামিন সি, ভিটামিন কে, পটাশিয়াম, ক্যালশিয়াম থাকায় এই সব্জি হাড়ের জোর বাড়াতেও কাজে আসে। রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে ব্রকোলি। পটাশিয়াম থাকায় রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ ও হৃদরোগ প্রতিরোধে কাজে আসে এই সব্জি।
আরও পড়ুন: ঘরে থাকা সাধারণ জিনিসপত্র দিয়েই শীতে বাঁচান চুল-ত্বক, ফাটবে না পা-ও!
এতে থাকা ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড ও কেমফেরল শরীরে অ্যালার্জির হানা রুখে দেয়। ব্রকোলির গ্লুকোরাফানিন ক্ষতিগ্রস্ত ত্বকের টিস্যু মেরামত করতে কাজে আসে। রক্ত সঞ্চালন ও সংবহনে বিশেষ ভূমিকা পালন করে ব্রকোলি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy