Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪
Weird but True

দু’হাত, দু’পায়ে ভর দিয়ে চলেন পরিবারের সকলে, শুনে ধন্দে বিজ্ঞানীরা

তুরস্কে এমন একটি পরিবার রয়েছে, যেখানে সকলে দুই হাত এবং দুই পায়ে ভর দিয়ে অনেকটা ভালুকের মতোই চলাফেরা করেন।

Image of Ulas Family.

ছবি: সংগৃহীত।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
মেসিন (তুরস্ক) শেষ আপডেট: ৩০ অগস্ট ২০২৩ ১৪:৫৮
Share: Save:

বিবর্তনের নিয়ম মেনে চার পায়ে হাঁটা আদিম যুগের মানব থেকে নিয়ানডারথালদের উদ্ভব ঘটেছিল। তার আরও হাজার কোটি যুগ পর সভ্য হোমোসেপিয়েন্স মানুষেরা নিজের দুই পায়ে ভর দিয়ে পৃথিবীর বুকে হেঁটে বেড়াতে শেখে। এখন বাঁদর, হনুমান বা শিমপাঞ্জি ছাড়া চার পায়ে হাঁটতে দেখা যায় না কাউকে। তবে বিজ্ঞানীরা বলছেন, তুরস্কে এমন একটি পরিবার রয়েছে, যাঁরা বিবর্তনবাদের সূত্র না মেনে এখনও দুই হাত এবং দুই পায়ে ভর দিয়ে অনেকটা ভালুকের মতোই চলাফেরা করেন। ২০০৬ সালে বিবিসি-র তৈরি একটি তথ্যচিত্রে প্রথম বার সেই ‘উলাস পরিবার’কে সভ্য মানুষের গোচরে নিয়ে আসা হয়।

‘লন্ডন স্কুল অফ ইকোনমিক্স’-এর বিবর্তন বিষয়ক মোনোবিদ নিকোলাস হামফ্রে প্রথম লক্ষ করেন, ওই উলাস পরিবারে জন্ম নেওয়া ১৮ জন শিশুর মধ্যে ৬ জনেরই জন্মগত ‘ত্রুটি’ রয়েছে। আর সেই ত্রুটি নিয়ে জন্মানো শিশুদের মধ্যে দু’পায়ে হেঁটে চলার কোনও বৈশিষ্ট্যই নেই। তিনি বলেন, “কল্পনার জগৎ যতই বড় হোক না কেন, আমরা কোনও দিনই এমনটা ভাবতে পারি না যে, মানুষ আবার পশুর মতো আচরণ করবে। তুরস্কে বসবাসকারী বিশেষ এই পরিবারের ক্ষেত্রে বিষয়টি তেমনই। ৩০ লক্ষ বছর আগের বিবর্তনবাদ এখানে মিথ্যে হয়ে গিয়েছে। অনেকে বলেন, এই পরিবারের ক্ষেত্রে ‘ইভোলিউশন’ নয় হয়েছে ‘ডিভলিউশন’।”

তবে সেই ব্যাখ্যা মানতে নারাজ নিকোলাস। তাঁর মতে, এই বিশেষ পরিস্থিতিটিকে ‘ডিভলিউশন’ বলে ব্যাখ্যা করার কোনও মানেই হয় না। বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গির দিক থেকে তা একেবারেই যুক্তিযুক্ত নয়। তার প্রমাণও রয়েছে। নিকোলাস বলেন, “ত্রুটি নিয়ে জন্মানো শিশুদের মস্তিষ্কের স্ক্যান করে দেখা গিয়েছে, তাদের প্রত্যেকেরই সেরিবেলামের মাঝের অংশটি বেশ সঙ্কুচিত। কারও কারও ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে, নির্দিষ্ট ওই অংশটি নেই। সেখান থেকেও এই সমস্যা হতে পারে।”

অন্য বিষয়গুলি:

Weird Ulas Family
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE