Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪
Arundhati Bhattacharya

৩ পরিস্থিতিতে চাকরি ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন মেয়েরা, জানাচ্ছেন এসবিআই-এর প্রাক্তন চেয়ারম্যান

‘স্টেট ব্যঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার’ প্রাক্তন চেয়ারম্যান অরুন্ধতী ভট্টাচার্য জানাচ্ছেন, জীবনে তিনটি পরিস্থিতির সম্মুখীন হলে মহিলারা তাঁদের পেশাগত প্রতিশ্রুতির কথা ভুলে গিয়ে ব্যক্তিজীবনকে অগ্রাধিকার দেন।

symbolic image.

অরুন্ধতী জানাচ্ছেন, মহিলা কখন চাকরি ছা়ড়ার সিদ্ধান্ত নেন। ছবি: সংগৃহীত।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ১২ ডিসেম্বর ২০২৩ ১১:৪২
Share: Save:

ঘর এবং বাইরে সামলানো সহজ নয়। কিন্তু অনেক মহিলাই আছেন, যাঁরা দু’টি দিকই সমান দক্ষতায় এগিয়ে নিয়ে চলেন। দশ হাত নয়, দু’হাতে সংসার আর অফিস সামলান। যত দিন যাচ্ছে, মহিলাদের স্বনির্ভরতার হার তত বাড়ছে। যেটা সমাজের জন্য অত্যন্ত ইতিবাচক একটি দিক। তবে কিছু পরিস্থিতিতে অনেক সময়ে পেশা আর সংসার বেছে নিতে হলে মহিলারাই সংসারকেই কাছে টেনে নেয়। সম্প্রতি একটি আলোচনায় তেমনটাই জানালেন ‘স্টেট ব্যঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার’ প্রাক্তন চেয়ারম্যান অরুন্ধতী। তিনি জানাচ্ছেন, জীবনে তিনটি পরিস্থিতির সম্মুখীন হলে মহিলারা তাঁদের পেশাগত প্রতিশ্রুতির কথা ভুলে গিয়ে ব্যক্তিজীবনকে অগ্রাধিকার দেন।

মা হওয়ার পর চাকরি ছেড়ে দেওয়ার কথা ভাবেন অনেকেই। সন্তানকে ছোট থেকে বড় করে তোলার দায়িত্ব বাবা-মা দু’জনের হলেও, সন্তানকে বুক দিয়ে আগলে রাখতে চান মা। অরুন্ধতী জানাচ্ছেন, সন্তানকে কাছের মানুষের দায়িত্বে রাখতেও অনেক সময়ে ভরসা পান না মায়েরা। তাই নিজের কেরিয়ারের কথা না ভেবে, আর্থিক স্বাধীনতায় জলাঞ্জলি দিয়ে সন্তানকে বড় করে তুলতে ঝাঁপিয়ে পড়েন।

দ্বিতীয় পরিস্থিতি হল, সন্তান যখন বোর্ডের পরীক্ষা দিতে যায়। সন্তানের জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষা। তা নিয়ে ছেলেমেয়েরা যতটা না ভয়ে থাকে, তার চেয়ে বেশি উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন মায়েরা। সন্তানের পাশে প্রতি মুহূর্তে থাকার জন্য আকুল হয়ে পড়েন। কর্মক্ষেত্রে গিয়েও মন পড়ে থাকে ছেলেমেয়ের পড়াশোনায়। সন্তানের পড়াশোনায় প্রতি মুহূর্তে সাহায্য করতে না পারার আক্ষেপও তৈরি হয়। তাই এই দোটানা থেকে নিজেদের বার করে আনতে চাকরি ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। সন্তানের পরীক্ষা, পড়াশোনা তখন সবচেয়ে বড় হয়ে ওঠে।

তৃতীয় যে পরিস্থিতিতে পড়লে চাকরি ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন মহিলারা, তা হল বাবা-মা কিংবা শ্বশুর-শাশুড়ি অসুস্থ হয়ে পড়লে। বয়স হলে কাছের মানুষের প্রতি নির্ভরযোগ্যতা অনেক বেড়ে যায়। ছেলেমেয়েদেরও বৃদ্ধ বাবা-মায়ের প্রতি দায়িত্ব বেড়ে যায়। নার্স কিংবা পেশাদার কোনও তত্ত্বাবধায়কের দায়িত্বে অসুস্থ, বৃদ্ধ বাবা-মাকে রাখলে মনের মধ্যে একটা অস্বস্তি চলতেই থাকে। নিজেদের দোষী মনে হয়। এই রকম পরিস্থিতিতে তাই মহিলারাই নিজেদের কেরিয়ারের কথা দু’বার না ভেবে কাছের মানুষগুলির জন্য নিজেকে উৎসর্গ করে দেন। বাড়ির বয়স্ক সদস্যদের দেখাশোনার দায়িত্ব তুলে নেন নিজের কাঁধে।

অন্য বিষয়গুলি:

Arundhati Bhattacharya SBI
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE