‘মন দেওয়া-নেওয়া খেলা হয়েছিল’। ছবি- প্রতীকী
এই প্রেমকাহিনি সিনেমার চেয়ে কোনও অংশে কম নয়। বৃদ্ধাশ্রমে থাকতে থাকতেই ভাল লাগা শুরু। সেখান থেকেই প্রেম, তার পর বিয়ে। মহারাষ্ট্রের কোলাপুরের ঘটনা। ৮০ ছুঁই ছুঁই বাবুরাও পাটিল এবং তার চেয়ে বছর দশেকের ছোট অনুসায়া শিন্ডে থাকতেন সেখানকারই এক বৃদ্ধাশ্রমে। মন দেওয়া- নেওয়া হয়েছিল সেখানে থাকতেই। এ বার তাঁদের চার হাত এক হল রীতিমতো ঢাকঢোল পিটিয়ে। সেই ভিডিয়োই সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে সম্প্রতি।
রক্তের সম্পর্ক বা আগে থেকে চেনাজানা না হলেও বৃদ্ধাশ্রমে একসঙ্গে থাকতে থাকতে নিজেদের মধ্যে বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে বেশির ভাগ আবাসিকের মধ্যে। সেই সম্পর্কের জোরে কেউ হয়ে ওঠেন ‘পাতানো’ ভাই-বোন, কেউ ননদ-ভাজ, কেউ আবার দেওর-বৌদি। কোনও পাট সাদা চুলের প্রৌঢ়ের প্রতি কোনও প্রৌঢ়ার (বা উল্টো দিক থেকেও ভাবা যেতে পারে) একটু-আধটু দুর্বলতা যে তৈরি হয় না, তা-ও নয়। সেই দুর্বলতা বা ভাল লাগা কখনও ভালবাসাতেও পরিণত হয়। কিন্তু সেই সম্পর্ক পরিণতি পাওয়ার মতো ঘটনা কিন্তু বিরল।
ভাইরাল হওয়া ওই ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, মারাঠি মতে রীতিমতো নিয়ম মেনে শুভদৃষ্টি হচ্ছে ওই দম্পতির। বর-কনের আবাসিক বন্ধুরা তাঁদের নিয়ে বেশ হাসিঠাট্টাও করছেন। ভিডিয়োর পাশাপাশি রয়েছে তাঁদের মালাবদলের ছবিও।
তুলনায় কমবয়সি দম্পতিদের সম্পর্ক ভাঙার হিড়িকে এমন এক যুগলের চারহাত এক হতে দেখে উচ্ছ্বসিত সমাজমাধ্যম ব্যবহারকারীরাও। শুভেচ্ছা এবং তাঁদের দীর্ঘায়ু কামনা করে এক জন মন্তব্যকারী লিখেছেন, “না বয়সের সীমা আছে, না ভালবাসার।” দ্বিতীয় জনের বক্তব্য, “এই বয়সে মন ছাড়া, দেওয়ার আর কী-ই বা থাকতে পারে।” তৃতীয় জনের বক্তব্য, “শরীর নয়, শেষ পর্যন্ত এইটুকুই তো থাকবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy