মিষ্টি জাতীয় খাবার দেখলেই জিভে জল আসে? কী ভাবে প্রলোভন এড়াবেন? ছবি: সংগৃহীত।
চকোলেট পেস্ট্রি হোক কিংবা কাজু বরফি! রকমারি মিষ্টি খাবার দেখলেই জিভে জল আসে! কিন্তু এক-আধ দিন খেলেও, লোভের বশে নিয়মিত এই ধরনের অতিরিক্ত চিনিযুক্ত খাবার খাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে অত্যন্ত ক্ষতিকর হতে পারে। চিনি জাতীয় খাবার বেশি খেলে ওজন তো বাড়েই, এতে হার্ট-কিডনিরও সমস্যা দেখা দিতে পারে। এ সব জানা থাকলেও, অনেকেরই মিষ্টি জাতীয় খাবার দেখলেই মন বলে খাই খাই! তবে উপায়?
ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার
ফাইবার রয়েছে এমন খাবার, যেমন ওট্স, ব্রাউন রাইস, ব্রকোলি, আটার রুটি নিয়মিত খাওয়া দরকার। লোভের বশে সামান্য একটু মিষ্টি জাতীয় খাবার খেলেও, ফাইবার রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করবে।
চিনি জাতীয় জিনিস বন্ধ করতেই হবে
লোভ হলেও তা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। চিনি জাতীয় খাবার শরীরের জন্য ক্ষতিকর সেটা মাথায় রাখলেই ধীরে ধীরে নিজেকে সামলে নেওয়া সম্ভব। চিনি বেশি খেলে ওজন বৃদ্ধি পায়। পাশাপাশি কৃত্রিম শর্করা জাতীয় জিনিস খেলে হৃদ্রোগের ঝুঁকিও বাড়তে পারে।
উদ্বেগ
দুশ্চিন্তা-উদ্বেগের কারণে কর্টিসলের মাত্রা বেড়ে যায় শরীরে। যার ফলে অনেক সময় খিদে বৃদ্ধি পায়। তখন মুখরোচক জিনিসপত্র খেতে ইচ্ছে করে। তার মধ্যে মিষ্টিও থাকে। শরীর ভাল রাখার জন্য দুশ্চিন্তা-উদ্বেগ থেকে মুক্তি প্রয়োজন। প্রাণায়াম, নিয়মিত শরীরচর্চা ও পুষ্টিকর খাবার খেলে দুশ্চিন্তা-উদ্বেগ কমতে পারে। অতিরিক্ত খিদে কমে গেলে মিষ্টি খাওয়ার প্রবণতা কমানো সম্ভব হতে পারে।
জলপান জরুরি
শারীরবৃত্তীয় ক্রিয়াকলাপ সুষ্ঠু ভাবে সম্পাদনের জন্য পর্যাপ্ত জল খাওয়া জরুরি। একজন সুস্থ ও প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের দিনে কম করে ২ লিটার জল খাওয়া দরকার। মিষ্টি জাতীয় খাবার খাওয়ার ইচ্ছে হলে, বরং জল খান। শুনতে অদ্ভুত লাগলেও কারণ আছে। জল খেয়ে পেট কিছুটা ভরে গেলে মিষ্টি খাওয়ার ইচ্ছাটা তাড়ানো যেতে পারে। অথবা পুষ্টিকর খাবার, সারা দিনে সময় মতো খেতে থাকলে, পেট ভরা থাকার জন্য মিষ্টি খাওয়ার ইচ্ছে কমতে পারে।
মুখরোচক স্বাস্থ্যকর খাবার
মিষ্টি জাতীয় কিছু খাবার ইচ্ছে হলে বরং তুলনায় স্বাস্থ্যকর কিছু খাবার খেতে পারেন। যেমন মাখানা গুড় মাখিয়ে হাতের কাছে রাখতে পারেন। প্রাকৃতিক মিষ্টি রয়েছে এমন চকোলেট মজুত রাখুন। গুড় ও বিভিন্ন বাদাম দিয়ে লাড্ডু বানিয়ে নিতে পারেন। তবে প্রতি দিন শর্করা, প্রোটিন ও ফ্যাট জাতীয় খাবারের যেমন সামঞ্জস্য প্রয়োজন, তেমনই চিনি কতটা দরকার, তা বুঝতে হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy