ঘরোয়া উপায়ে এই ধরনের ফোঁড়া সারিয়ে ফেলা যেতে পারে। — প্রতীকী চিত্র।
দেহের অবাঞ্ছিত রোম নিয়ে জনসমক্ষে আসতে অস্বস্তি বোধ করেন অনেকেই। আবার অনেকেই নেহাত পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে সারা দেহে ওয়্যাক্স করান। তবে ওয়্যাক্স করানোর দু-এক দিন পর থেকে শুরু হয় সমস্যা। রোমকূপের মুখে ছোট ছোট র্যাশের আকারে আবির্ভাব হয় ফোঁড়ার। কারও কারও ত্বকে আবার তা বেশ বড় আকারেও হতে পারে। দেহের এমন জায়গায় এই ফোঁড়া হয় যে, পোশাক পরতেও সমস্যা হয়। পোশাকের ঘষা লেগে ফোঁড়া ফেটে বিপত্তিও হতে পারে। তবে ঘরোয়া উপায়ে এই ধরনের ফোঁড়া সারিয়ে ফেলা যেতে পারে।
১) গরম সেঁক
খুব বাড়বাড়ি না হলে বাড়িতে সাধারণ গরম সেঁক দিয়েই ফোঁড়ার প্রাথমিক চিকিৎসা করা হয়। ফোঁড়ার মুখে কিংবা চারপাশে গরম সেঁক দিলে সেখানে রক্ত চলাচল বেড়ে যায়। ফোঁড়ার ভিতর জমে থাকা পুঁজ বেরিয়ে গেলে তা শুকিয়েও যায় তাড়াতাড়ি।
২) টি ট্রি অয়েল
এই অয়েলের জীবাণুনাশক উপাদান ফোঁড়া সারাতে দারুণ কাজ করে। নারকেল তেল বা অলিভ অয়েলের সঙ্গে টি ট্রি অয়েল মিশিয়ে ক্ষতের উপর দেওয়া যেতে পারে। ফোঁড়ার প্রদাহ এবং সংক্রমণ দূর করতে পারে এই অয়েল।
৩) হলুদ
হলুদের অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল উপাদান ফোঁড়া সারিয়ে তুলতে সাহায্য করে। ঈষদুষ্ণ দুধ কিংবা জলের সঙ্গে সামান্য হলুদ গুঁড়ো মিশিয়ে নিন। এ বার ফোঁড়ার উপর দিয়ে রাখুন তার প্রলেপ। কিছু ক্ষণ পর ঈষদুষ্ণ জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
৪) এপসম সল্ট
ফোঁড়া ফেটে গেলে তার পর নুন ব্যবহার না করা যায় না। তবে তার আগে পর্যন্ত উষ্ণ জলে সামান্য নুন মিশিয়ে ড্রেসিং করাই যায়। ফোঁড়ার মধ্যে থাকা দূষিত রক্ত, পুঁজ বার করে দিতে সাহায্য করে ‘এপসম সল্ট’।
৫) নিম
মাথার চুল থেকে পায়ের নখ পর্যন্ত ব্যাক্টেরিয়া ঘটিত যে কোনও ধরনের সংক্রমণ সারিয়ে তুলতে পারে নিম। জলে নিমপাতা ফুটিয়ে সেই জল দিয়ে স্নান করে কিংবা নিমপাতা বেটে ফোঁড়ার উপর তার প্রলেপ লাগিয়ে রাখলেও উপকার পেতে পারেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy