Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪
Bengali New Year

হে নূতন

বাইরে রোদের হল্কা, তারই মধ্যে চলছে ছবির প্রচার এবং ভক্তদের আবদার মেটানো। এমন দিনে অঙ্কুশ ও ঐন্দ্রিলা বেছে নিলেন জামদানি, ধনেখালি ও সুতির আরামদায়ক পরশ।

A Photograph of Ankush and Oindrila

অঙ্কুশ এবং ঐন্দ্রিলা সেনের জন্য এ বছরটা আরও গুরুত্বপূর্ণ। ছবি: দেবর্ষি সরকার; পোশাক: বহুরূপী শান্তিনিকেতন; গয়না: আবীরা জুয়েলার্স; মেকআপ: অমিত দাস; হেয়ার: শর্মিষ্ঠা মাঝি, লোকেশন: অলটেয়ার হোটেল। 

পারমিতা সাহা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৫ এপ্রিল ২০২৩ ০৮:২৪
Share: Save:

বছরের প্রথম দিন, নতুন শুরু। একরাশ শুভেচ্ছায় ভেসে শুরু হয় পয়লা বৈশাখ। অঙ্কুশ এবং ঐন্দ্রিলা সেনের জন্য এ বছরটা আরও গুরুত্বপূর্ণ। গতকালই মুক্তি পেয়েছে তাঁদের নতুন ছবি ‘লাভ ম্যারেজ’। তাই পয়লা তারিখটা জুড়ে শুধুই ব্যস্ততা। এখন তো ছবি মুক্তি পেলেই প্রচার শেষ হয়ে যায় না, তার পরেও চলতে থাকে। তাই আজকের জন্য নায়ক নায়িকার আলাদা পরিকল্পনা কী?

‘‘আজকের দিনটা ‘লাভ ম্যারেজ’ নিয়েই কেটে যাবে। দুপুরে বাড়িতে খাওয়াদাওয়া হবে তার পর হল ভিজ়িট করতে যাব। পয়লা বৈশাখ বলে নয়, কোনও বিশেষ দিনে বা উৎসবের সময়ে ছবি মুক্তি থাকলে সেটা নিয়েই ব্যস্ত থাকি,’’ বললেন অঙ্কুশ। কিন্তু ব্যস্ত থাকার কারণে বাঙালির নববর্ষে পেটপুজোর আয়োজন থাকবে না তা কি হয়? হেসে ঐন্দ্রিলা বললেন, ‘‘পয়লা বৈশাখে বাঙালি খাওয়া হবেই। পোলাও, মাটন, মাছ, চাটনি মাস্ট। তবে এ বার বাড়ির সবাই দারুণ এক্সাইটেড আমাদের ছবিটা নিয়ে। সন্ধেবেলা সবাই সিনেমাটা দেখতে যাবে।’’

নববর্ষের সঙ্গে নতুন জামাকাপড়ের সম্পর্কটা বড্ড কাছের। তারকারা তো ফি-দিনই নতুন পোশাকে সাজেন। তাই সে দিক দিয়ে ঐন্দ্রিলা বা অঙ্কুশের কাছে কি বছরের প্রথম দিনটা আলাদা কোনও মাত্রা যোগ করে? ‘‘অবশ্যই নতুন জামা পরি। এখনও জন্মদিনে এবং বছরের প্রথম দিনে নতুন জামা (সেটা বাড়ির হলেও) পরতেই হবে। আমার মা এগুলো ভীষণ মানে,’’ খোলসা করলেন ঐন্দ্রিলা। অন্য দিকে অঙ্কুশের কাছে পোশাকের ব্যাপারে আরামটাই হল প্রথম ও শেষ কথা। নববর্ষের ফ্যাশন শুটে দুই অভিনেতাই চেয়েছিলেন এমন কিছু পরতে, যাতে বাঙালিয়ানা থাকবে আবার এই প্রচণ্ড গরমে পরেও আরাম।

পোশাকশিল্পী অভিষেক রায়ের পোশাকে ফুটে উঠেছে চিরকালীন বাঙালিয়ানা, সেই সঙ্গে রয়েছে আধুনিকতারও পেলব স্পর্শ। ‘‘জামদানি হল বাংলার সংস্কতির অঙ্গ। তার সঙ্গে ব্লাউজ়ের কাট, গয়না, হেয়ারস্টাইলে আধুনিকতা রেখেছি। অঙ্কুশের পাঞ্জাবিতে সাবেক কাটের সঙ্গে সমসাময়িক ডিজ়াইনের ছোঁয়া। দ্বিতীয় লুকটিতে সুতির শাড়িতে আধুনিক স্টেনসিল টেক্সচার্ড প্রিন্ট। হলুদ ও সবুজ রং চোখের আরাম এবং গ্রীষ্মে যার প্রয়োজন সবচেয়ে বেশি। আর একটি ফিউশন ওয়্যার রেখেছি। ধনেখালি দিয়ে বানানো হয়েছে ঐন্দ্রিলার এ-লাইন ড্রেসটি। অঙ্কুশের জন্য সুতির ওভারল্যাপিং পাঞ্জাবি,’’ ব্যাখ্যা করলেন অভিষেক।

অঙ্কুশ অবশ্য ধুতি পরতে মোটেই অভ্যস্ত নন। কিন্তু কোনও কোনও অনুষ্ঠানে বা বিশেষ দিনে বাঙালি পোশাক পরতে তাঁর ভাল লাগে বলেই জানালেন। অন্য দিকে ঐন্দ্রিলা আবার শাড়ি পরতে ভালবাসেন এবং ভালাবাসাটা এসেছে সিরিয়াল করতে গিয়ে। ‘‘সারা দিন আমি শাড়ি পরে থাকতে পারি, সেটা তাঁতের হোক বা লিনেন কিংবা কাঞ্জিভরম,’’ বললেন তিনি।

এ সবের পাশাপাশি ঐন্দ্রিলা আর একটা ‘রহস্য’ও ফাঁস করলেন। জানালেন ছবিমুক্তির টেনশনে অঙ্কুশ আঙুলের সব নখ খেয়ে ফেলেছে! হেসে অঙ্কুশ যোগ করলেন, ‘‘ছবিটা নিয়ে আমরা খুব আশাবাদী। আসলে সব ছবি তো শেষ পর্যন্ত প্রত্যাশা মতো তৈরি হয় না, কিন্তু ‘লাভ ম্যারেজ’ আমাদের আশা জাগিয়েছে। তাই খুব টেনশন হচ্ছে দর্শকের ভাল লাগা নিয়ে।’’

আপাতত তাঁরা অপেক্ষা করে আছেন দর্শকের রায় জানার জন্য। তারকাদের ম্যাজিক যে লুকিয়ে আছে বড় পর্দাতেই।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE