ছবি: সংগৃহীত।
ল্যান্ডার বিক্রমের চাঁদের মাটি ছুঁতে আর মাত্র কয়েক ঘণ্টার অপেক্ষা। পরিস্থিতি অনুকূলে থাকলে বুধবার সন্ধ্যা ৬টা ৪ মিনিটে এই ল্যান্ডারের চাঁদে অবতরণের কথা। ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশন (ইসরো)-র বিজ্ঞানীরাও চন্দ্রযান-৩ নিয়ে যথেষ্ট আশাবাদী। এরই মধ্যে আবারও উঠে এল ৫০ বছর আগের সেই বিতর্ক। চাঁদের মাটিতে আদৌ মানুষের পা পড়েছিল কি না। যদিও অ্যাপোলো-১১ চাঁদের মাটি ছুঁয়ে ফিরে আসার সময়ে প্রমাণস্বরূপ চাঁদে যাওয়ার সমস্ত বৈজ্ঞানিক তথ্য, সেখানকার মাটি, টিলার অংশও নিয়ে ফিরে এসেছিল পৃথিবীর মাটিতে। ফেরার সময়ে চাঁদের মাটিতে আমেরিকার পতাকা-সহ মহাকাশচারী নিল আমস্ট্রংয়ের ছবিও সঙ্গে তুলে নিয়ে এসেছিল। তা সত্ত্বেও নিন্দকদের মনে দ্বন্দ্ব ছিলই।
চন্দ্রযান-৩ চাঁদের মাটি ছোঁয়ার সেই মাহেন্দ্রক্ষণ আসার আগেই প্রমাণস্বরূপ ৫০ বছর আগের আরও একটি তথ্য ছড়িয়ে পড়েছে সম্প্রতি। চাঁদের মাটিতে পড়ে থাকতে দেখা গিয়েছে মানুষের ব্যবহার করা বর্জ্য, মল-সহ ৯৬টি ব্যাগ। চাঁদের পৃষ্ঠে যে হেতু হাওয়া চলাচল করে না, তাই ওই বর্জ্য পদার্থ-সহ ব্যাগগুলি ৫০ বছর ধরে পড়ে রয়েছে একই অবস্থায়।
চাঁদে মাধ্যাকর্ষণ শক্তি পৃথিবীর ছ’ভাগের এক ভাগ। তাই তরল থেকে শুরু করে কঠিন— সব কিছুই প্রায় ভাসমান। তাই বর্জ্য মল-মূত্র ত্যাগ করা নিয়ে সমস্যা হওয়া স্বাভাবিক। বেশির ভাগ সময়েই মহাকাশচারীদের তাই ডায়াপার পরে কাটাতে হয়। ব্যবহার করা সেই সব ব্যাগ অভ্যাসবশত চাঁদের মাটিতে ছুড়ে ফেলেছিলেন কি না, তা স্পষ্ট নয়। যদিও মহাকাশ গবেষণা সংস্থার দাবি, ফেরার সময়ে মহাকাশচারীরা মল ভর্তি সেই ব্যাগগুলি পৃথিবীর মাটিতে ফেরত আনলেও সঙ্গে আনতে পারেননি তাঁদের ব্যবহার করা ডায়াপার এবং অন্যান্য বর্জ্য পদার্থ। সেগুলির ছবিই ধরা পড়েছে ক্যামেরায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy