রুক্ষ ত্বক, মুখে কালচে ভাব? সমাধান হতে পারে অ্যালো ভেরা মাস্কে। কেউ আবার চুল মসৃণ রাখতে মাখতে পাকা কলা চটকে নারকেল তেল মাখার পরামর্শ দিচ্ছেন। কারও পরামর্শ, ব্রণের কমাতে দাঁতের মাজন ব্যবহারের।
ভিডিয়ো থেকে ভ্লগ— সৌন্দর্য সংক্রান্ত যে কোনও সমস্যার সমাধান রয়েছে সমাজমাধ্যম প্রভাবীদের কাছে। নিজের মতো করেই তৈরি হচ্ছে মুখে মাখার প্যাক। চুলের মাস্ক। কিন্তু সেগুলি কি সত্যিই ত্বকের জেল্লা ফেরায়? চুল ঝরা রোধ করে? সম্প্রতি এই নিয়ে ইনস্টাগ্রামে একটি পোস্ট করেছেন ত্বকের চিকিৎসক আঁচল প্রধান। দীর্ঘ দিন ধরে রূপচর্চা সংক্রান্ত পেশাদার জগতের সঙ্গে যুক্ত তিনি। সমাজমাধ্যমে তাঁর নিজস্ব অনুগামীর সংখ্যাও বিপুল।
আরও পড়ুন:
সম্প্রতি পরিচিত হয়ে ওঠা ঘরোয়া টোটকা কতটা কাজের সেই যুক্তি দেখিয়ে, কার্যক্ষমতা অনুযায়ী নম্বরও দিয়েছেন আঁচল। দেখে নেওয়া যাক, সমাজমাধ্যমের টোটকা এবং সেগুলির কোনটিকে কত নম্বর দিয়েছেন চিকিৎসক।
পাকা কলা এবং নারেকেলের মাস্ক: চিকিৎসকের কথায় রুক্ষ, নিষ্প্রাণ চুলের জন্য এই মাস্ক অত্যন্ত ভাল। সপ্তাহে এক বার ব্যবহার করলেই এতে চুল হবে স্বাস্থ্যোজ্জ্বল। আঁচলের হাতে ১০ এ ১০ পেয়েছে পাকা কলার মাস্ক।
ভিটামিন ই ক্যাপসুল: এতে থাকে ঘন উপাদান। সেই উপাদানটি ত্বকে এবং চুলে ব্যবহার হয়। তবে আঁচল জানাচ্ছেন, সরাসরি এই ক্যাপসুল ত্বকে লাগালে বিশেষ লাভ হবে না। বদলে চিকিৎসকের পরামর্শ, মুখে মাখার ক্রিমের সঙ্গে ক্যাপসুলে থাকা ভিটামিন ই কয়েক ফোঁটা মিশিয়ে মালিশ করা দরকার। তাঁর হাতে এটি নম্বর পেয়েছ ১০ এ ৪।
নিমের মাজন: দাঁতের মাজন এখন সমাজমাধ্যম প্রভাবীদের দেখানে কৌশলে নানা কাজে কেউ বলেন, নিম দিয়ে তৈরি মাজন নাকি ব্রণ সারিয়ে দিতে পারে! নিমে রয়েছে অ্যান্টিসেপটিক উপাদান। সে কারণে নিম দিয়ে তৈরি মাজনও কাজের। ব্রণের উপর লাগিয়ে দিলেই, সমস্যার সমাধান হবে। তবে ত্বকের চিকিৎসক বলছেন, এ কাজ ভুলেও না করতে। লাভ তো হবেই না, উল্টে মাজনে থাকা উপাদানের প্রভাবে মুখের বারোটা বাজতে পারে। ত্বকে প্রদাহ হতে পারে। বদলে ত্বকের চিকিৎসকের পরামর্শ, প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করতে চাইলে গোলাপ জল দিয়ে মুলতানি মাটি গুলে সেটি মাখার। তাঁর বিচারে ব্রণ সারানোর এই পন্থা ১০-এ শূন্য পেয়েছে।