আসন্ন দীপাবলিতে টলিউডের তারকা দম্পতিরা কে কী করছেন? ছবি: সংগৃহীত
আলোর উৎসব দীপাবলি। সারা দেশ আলোর রোশনাইয়ে সেজে উঠছে। শহর জুড়ে আলোয় মাখামাখি। এক উৎসব শেষে আর এক উৎসবের শুরু। দুর্গাপুজোর মতো না হলেও দীপাবলি নিয়ে উচ্ছ্বাস কম নয়। উদ্যাপনের প্রস্তুতি চলছে জোর কদমে। ভাইফোঁটা পর্যন্ত চলে এই উৎসব। এই উৎসবে শুধু সাধারণ মানুষ নন, শামিল হন তারকারাও। সোমবার, দীপাবলির দিন টলিউডে ধারাবাহিকের শুটিং চললেও, সিনেমার শুটিং বন্ধ রয়েছে। ফলে কেউ ছুটি পেয়েছেন, কেউ পাননি। আসন্ন দীপাবলিতে টলিউডের তারকা দম্পতিরা কে কী করছেন? খোঁজ নিয়ে দেখল আনন্দবাজার অনলাইন।
টলিপাড়ার অন্যতম তারকা যুগল ওম সাহানি এবং মিমি দত্ত। বিয়ের পর এটা তাঁদের দ্বিতীয় দীপাবলি। মিমি বলেন, ‘‘প্রত্যেক বছর কালীপুজোর দিনে শ্বশুরবাড়িতে লক্ষ্মীপুজো হয়। আগের বছর সেটা আমিই করেছিলাম। এ বার আর আমি করতে পারব না। ওমের শুটিং শুরু হয়ে যাচ্ছে। আমার ধারাবাহিকের শুটিং চলছে। আমি ছুটি পাইনি। এ বার আর তাই ওই বাড়িতে গিয়ে পুজো করা হবে না। আমি আমার বাড়িতে শুটিং থেকে ফিরে অথবা বেরোনোর আগে ভাল করে পুজো করে নেব।’’ কোজাগরী পূর্ণিমাতেও বাড়িতে লক্ষ্মীপুজো করেছিলেন মিমি। দু’বার করে লক্ষ্মীপুজো করার কি বিশেষ কোনও রীতি আছে? মিমির কথায়, ‘‘ না, তেমন কিছু নয়। মাকে দেখেছি চিরকাল কোজাগরীতে লক্ষ্মীপুজো করতে। তাই আমিও করেছি। আর দিওয়ালির পুজোটা একেবারে শ্বশুরবাড়ির রীতি মেনেই করি। ওমরা যেহেতু আদতে বিহারের লোক, কালীপুজোর দিন থেকেই ওঁদের ছট পুজোর অনুষ্ঠান শুরু হয়ে যায়। সে দিন থেকে নিরামিষ খাওয়া শুরু করে। আমি আর ওম এই সব নিয়ম মানতে পারি না। কাজের মধ্যে থাকলে এত কিছু করা সম্ভব হয় না। আর নিয়ম না মেনে আমিও কিছু করতে পছন্দ করি না।’’ বাড়ির বউ হিসাবে ছটপুজোয় কতটা রীতি-নিয়ম মেনে চলেন মিমি? অভিনেত্রীর কথায়, ‘‘ছটপুজোর প্রতিটি নিয়ম আমার শাশুড়ি আর জা খুব নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করেন। শুটিংয়ের কারণে আমার হয়ে ওঠে না। তবে ছটপুজোর শেষ দিন গঙ্গার ঘাটে গিয়ে আমি আর ওম সূর্যপ্রণাম করে আসি।’’ ওম-মিমির বন্ধুবান্ধবের সংখ্যা কম নয়। তাঁদের সঙ্গে বিশেষ কোনও পরিকল্পনা? মিমি বলেন, ‘‘হ্যাঁ, কালীপুজোর দিন আমাদের বন্ধুদের মধ্য কারও একটা বাড়িতে পার্টি হবে। কার বাড়িতে হবে, সেটা এখনও ঠিক হয়নি। তবে তেমন কিছু পরিকল্পনা রয়েছে। আমার ‘পিলু’র শুটিং চলছে। সে দিন হয়তো তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে যাবে। তার পর আমি, ওম এবং বন্ধুরা মিলে হয়তো কোথাও একটা বসে আড্ডা দেব।’’
কালীপুজোয় প্রতি বার উপোস করেন দেবলীনা কুমার। এ বারও তা বাদ যাবে না। দেবলীনার কথায়, ‘‘কালীপুজোর দিন আমি উপোস করি। এ বছরও করব। ত্রিধারাতে পুজো হয়। ওখানে থাকি। আমার বাড়ির উপরে এক জন থাকেন। তাঁর ওখানে পুজো হয়। ওটা আমার বাড়ির পুজোই বলা যায়।’’ গৌরবের সঙ্গে কালীপুজোয় বিশেষ কোনও পরিকল্পনা আছে কি দেবলীনার? অভিনেত্রী বলেন, ‘‘একেবারেই কিছু নেই। গৌরব যে খুব হইচই পছন্দ করে, এমন নয়। বাজি পোড়াতে পারি। গৌরব তাতে অংশ নেবে কি না আমার জানা নেই। কারণ ও বাজি খুব একটা পছন্দ করে না। আসলে পুজোতে এত আনন্দ করে ফেলি যে, এই সময়ের জন্য আর কিছু বেঁচে থাকে না।’’
পুজোর আগে থেকে নানা কাজ নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন গৌরব-ঋধিমা। কালীপুজোতে ছুটি পেয়েছেন। আলোর উৎসব কী ভাবে উদ্যাপন করবেন তারকা দম্পতি? গৌরব বললেন, ‘‘অনেক দিন পর একটা ছুটি পেয়েছি। তাই বাড়িতেই থাকব। বিদেশ থেকে ঋধিমার ভাই আসছে অনেক দিন পর। একসঙ্গে সকলে মিলে বাড়িতেই থাকব। ঋধিমা রঙ্গোলি বানায় প্রতি বছর। এ বারও নিশ্চয় বানাবে। চোদ্দ প্রদীপ, চোদ্দ শাক— সব নিয়মই মানব। তবে বাড়িতে বসেই। কোথাও যাওয়ার কোনও পরিকল্পনা নেই।’’ গৌরবের সঙ্গে ঋধিমার সম্পর্ক বহু বছরের। দীপাবলিতে দু’জনের বিশেষ কোনও স্মৃতি? গৌরব বলেন, ‘‘ঋধিমাদের হিন্দস্তান পার্কের বাড়িতে আগে আমরা অনেক বন্ধুরা মিলে প্রচুর বাজি পোড়াতাম। দারুণ মজা হত। খুব আনন্দ করতাম। এখন আর সে সব হয় না। সেই দিনগুলি খুব মিস্ করি দু’জনেই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy