মাইক্রোওয়েভ অভেন শুধু কেক বা রান্নার কাজের ব্যবহার করা হয় না। — প্রতীকী চিত্র।
কেক তৈরি করবেন বলে শখ করে একটা মাইক্রোওয়েভ কিনেছিলেন। কিন্তু সময়ের অভাবে তা শুধু ফ্রিজ থেকে বার করা খাবার জিনিস গরম করার যন্ত্রে পরিণত হয়েছে। কিন্তু এক দিন হঠাৎ ইনস্টাগ্রামে রিল ঘাঁটতে গিয়ে চোখে পড়ল এক প্রভাবী দেখাচ্ছেন, মাইক্রোওয়েভ অভেন শুধু কেক বা রান্নার কাজের ব্যবহার করা হয় না, রসুনের খোসা ছাড়ানো বা বাটাও যায়। আবার দোকান থেকে রাসায়নিক দেওয়া জ্যাম না কিনে এই মাইক্রোওয়েভের সাহায্যেই তা তৈরি করে ফেলা যায়।
আর কী কী করা যায় মাইক্রোওয়েভের সাহায্যে?
১) শুকনো লেবু থেকে রস নিঙড়ানো
অনেক দিন ধরে ফ্রিজে রাখা পাতিলেবুর ভিতরে রস অবশিষ্ট থাকলেও, খোসা শক্ত হয়ে যায়। সেই রকম লেবু থেকে রস বার করা খুবই কঠিন একটি কাজ। কিন্তু এই কঠিন কাজটিই সহজ করে দিতে পারে অভেন। লেবুটি ভাল করে ধুয়ে নিয়ে, ১৫ সেকেন্ডের জন্য অভেনে মাইক্রো মোডে ঘুরিয়ে নিন। লেবুর খোসাও নরম হবে, আবার রস বার করাও সহজ হবে।
২) জমাট বাঁধা মধু তরলে পরিণত করা
অনেক দিন ধরে ফ্রিজে মধু রেখে দিলে শিশির তলার দিকে তা জমে যায়। চিনির মতো শক্ত ঢেলার আকারে জমে থাকা মধু গরম জলে সহজে গলে না। তবে মধুর শিশিটি যদি মাইক্রোওয়েভ প্রুফ হয়, সে ক্ষেত্রে সরাসরি তা মাইক্রোতে ৩০ সেকেন্ড বসিয়ে ঘুরিয়ে নিন। তার পর চামচ দিয়ে এক বার নাড়াচাড়া করে নিন। তবে কোনও ভাবেই প্লাস্টিকের পাত্রে মধু গরম করবেন না।
৩) রসুনের খোসা ছা়ড়ানো এবং রোস্ট করা
একা হাতে রসুনের খোসা ছাড়ানো, তার পর বাটা। তাড়াহুড়োর সময়ে এটুকু কাজই অন্য কেউ করে দিলে অনেকটা সাহায্য হয়। কিন্তু সাহায্য করার মতো কেউ না থাকলে তখন কী করবেন? কোয়া না ছাড়িয়ে গোটা রসুনের মাথার দিক এমন ভাবে কাটুন, যাতে গায়ে খোসা লেগে থাকলেও কোয়া দেখতে পাওয়া যায়। এ বার মাইক্রোওয়েভে ব্যবহার করা যায় এমন পাত্রে একটু জল নিয়ে তার মধ্যে ১ চা চামচ অলিভ অয়েল ছড়িয়ে দিন। এর মধ্যে দিন কেটে রাখা রসুন। এ বার ১০মিনিট মাইক্রো মোডে গরম করে নিন। ওই অবস্থায় রেখে দিন কিছু ক্ষণ। ঠান্ডা হলে বার করে খোসা-সহ রসুন ভাল করে চটকে নিন। হয়ে গেলে উপর থেকে খোসা আলাদা করে ফেলে দিন।
৪) নেতিয়ে যাওয়া ভাজা খাবার মুচমুচে করা
অনেক ক্ষণ আগের ভাজা খাবার বা চিপস্ আবার মুচমুচে করে তুলতে প্রথমে বেকিং ট্রেতে একটি পরিষ্কার তোয়ালে রাখুন। তার পর ভাজা খাবারগুলি দিয়ে ৩০ সেকেন্ড মাইক্রো করুন। খুলে দেখুন, কতটা মুচমুচে হয়েছে। না হলে আরও এক বার ৩০ সেকেন্ড সময় সেট করে মাইক্রো করুন।
৫) জ্যাম বা মার্মালেড তৈরি করা
পুজোর পরেই আসবে শীত। শীত মানেই নানা রকম ফলের সমাহার। শীতে পাওয়া যায় এমন ফল, যেমন কমলালেবু, মালটা, স্ট্রবেরি, ব্লুবেরি— সারা বছর খেতে চাইলে জ্যাম বা মার্মালেড বানিয়ে রাখতে পারেন। কিন্তু বাড়িতে কী ভাবে বানাতে হয়? মাত্র আধঘণ্টায় মাইক্রোওয়েভেই মার্মালেড তৈরি করে ফেলতে পারবেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy