সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে ভয়াবহ আকার নিতে পারে করোনা সংক্রমণ। ছবি: সংগৃহীত
করোনার তৃতীয় ঢেউ ভারতে ভয়াবহ আকার নিতে পারে সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে মাসে। দৈনিক সংক্রমণের হার পৌঁছে যেতে পারে ৫ লক্ষে। এমনই আশঙ্কার কথা জানাল আইআইটি কানপুর। তৃতীয় তরঙ্গ সংক্রান্ত তিন ধরনের আশঙ্কার কথা জানানো হয়েছে সেই গবেষণায়।
হালে করোনার তৃতীয় তরঙ্গের সময়কাল নিয়ে গবেষণা চালানো হয়েছে কানপুর আইআইটি-র গবেষকদের তরফে। ‘সাসেপটিবল-ইনফেকটেড-রিকভার্ড’ বা ‘এসআইআর’ মডেলে গবেষণাটি চালানো হয়েছে কয়েকটি বিষয় মাথায় রেখে। এক, টিকাকরণের ভূমিকাকে বাদ রাখা হয়েছে পরিসংখ্যান থেকে। দুই, ধরে নেওয়া হয়েছে, দেশের সমস্ত মানুষের সংক্রমিত হওয়ার মাত্রা একই রকম। তিন, ১৫ জুলাইয়ের মধ্যে গোটা দেশের সর্বত্র লকডাউন উঠে যাবে। এই তিনটি বিষয়কে ধ্রুবক ধরে তিন ধরনের আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন গবেষকেরা।
সেগুলি কী কী?
১। অক্টোবরে তৃতীয় ঢেউয়ের প্রভাব সর্বোচ্চ অবস্থায় পৌঁছবে। দ্বিতীয় তরঙ্গের চেয়ে তার ভয়াবহতা কিছুটা কম হবে। দেশে দৈনিক ৩.২ লক্ষ পর্যন্ত পৌঁছতে পারে সংক্রমণের হার।
২। করোনার নতুন প্রজাতি আরও সংক্রামক আকার নেবে। সেপ্টেম্বরেই চরমে পৌঁছবে তৃতীয় ঢেউ। দেশে দৈনিক সংক্রমণের হার পৌঁছতে পারে ৫ লক্ষে।
৩। অক্টোবরের শেষে আছড়ে পড়বে তৃতীয় ঢেউ। সংক্রমণের মাত্রা দ্বিতীয় ঢেউয়ের মতো হবে না। সর্বাধিক ২ লক্ষের আশপাশে পৌঁছবে সংক্রমণের হার।
এই তিনটি ক্ষেত্রেই সংক্রমণ যে প্রথম ঢেউয়ের চেয়ে বেশি ভয়াবহ হবে, তেমনই দাবি করা হয়েছে।
আইআইটি কানপুরের দুই অধ্যাপক রাজেশ রঞ্জন এবং মহেন্দ্র ভর্মার নেতৃত্বে যে গবেষকেরা এই রিপোর্ট-টি তৈরি করেছেন, তাঁদের তরফে বলা হয়েছে, ‘‘টিকাকরণের বিষয়টিকে গবেষণায় গ্রাহ্য করা হয়নি। টিকাকরণের হার বাড়লে অবশ্যই তৃতীয় ঢেউয়ের ভয়াবহতা কমবে। টিকাকরণের হার কেমন হলে, তৃতীয় তরঙ্গ কোথায় পৌঁছবে, তা নিয়ে আরও গবেষণা চলছে। ফল হাতে এলেই তা জানানো হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy