Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪
public trasport

বাসে-ট্রামে উঠতে হবে এ বার, এই সব সতর্কতা না মানলে বিপদ বাড়বে

কী কী নিয়ম মেনে চললে কিছুটা নিরাপদে থাকা সম্ভব? জানালেন বিশেষজ্ঞরা।

গণপরিবহন ব্যবহারে সচেতন হোন। ফাইল চিত্র।

গণপরিবহন ব্যবহারে সচেতন হোন। ফাইল চিত্র।

সুমা বন্দ্যোপাধ্যায়
কলকাতা শেষ আপডেট: ০১ জুন ২০২০ ১৪:৪৬
Share: Save:

মারি নিয়েই এ বার আমাদের ঘর করতে হবে। কাজকর্ম ছেড়ে গৃহবন্দি জীবনও প্রায় শেষের পথে। লকডাউন শিথিল হয়ে শুরু হয়েছে কিছু কিছু গণপরিবহনও। হয়তো আরও কয়েক দিনের মধ্যে ট্রেন চালানোর কথাও ভাববে সরকার। কাজের জায়গায় পৌঁছতে গেলে এই সব গণপরিবহন ব্যবস্থার উপর নির্ভর করে থাকা ছাড়া কোনও উপায় নেই। তবে যদি বাড়ি থেকে কর্মক্ষেত্রের দূরত্ব খুব বেশি না হয়, তা হলে সাইকেল বা স্কুটি নিয়ে পৌঁছে যাওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ। যদিও সকলের পক্ষে এই বিকল্প মেনে চলা সম্ভব নয়।

বিশ্ব জুড়ে অতিমারি সৃষ্টিকারী কোভিড-১৯ ভাইরাস প্রতিরোধের একমাত্র উপায় মানুষে মানুষে শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা। বাস, অটো-সহ যে কোনও পাবলিক ট্র্যান্সপোর্টে শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখাও খুব মুশকিল। রোগ ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি খুব বেশি। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, ঘেঁষাঘেঁষি করে গণপরিবহনে যাতায়াতের ফলে ড্রপলেটের মাধ্যমে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা অন্যান্য জায়গার তুলনায় ঘন্টায় ২০-৩০ গুণ বেশি। তাই সাবধান হতে হবে অনেক বেশি।

কী কী নিয়ম মেনে চললে কিছুটা নিরাপদে থাকা সম্ভব? জানালেন বিশেষজ্ঞরা।

আরও পড়ুন: করোনা তো বটেই, আরও নানা রোগ তাড়াতে তামাককে গুডবাই করুন আজই

• খুব ভিড় বাসে উঠবেন না। এ ক্ষেত্রে হাতে যথেষ্ট সময় নিয়ে বেরতে হবে। নির্দিষ্ট দূরত্বে লাইন দিয়ে বাসে উঠবেন। চেষ্টা করবেন, জানলার কাছে থাকতে যাতে বাইরের বাতাসে শ্বাস নেওয়া যায়।

• তিন স্তরীয় মাস্ক পরার চেষ্টা করুন। হাতে বানানো কাপড়ের মাস্ক হলে তা যেন তিন স্তরবিশিষ্ট হয়। ভিড় জায়গায় সাধারণ মাস্ক কার্যকর নয়। সার্জিকাল মাস্কও পরা খুব ভাল। এতে ড্রপলেট থেকে সহজে সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকি থাকে না।

• বাস বা ট্রেনে যাওয়ার সময় ফেস শিল্ড ব্যবহার করতে পারলে ভাল হয়।

• যতই অসুবিধে হোক কোনও অবস্থাতেই নাকে, মুখে বা চোখে হাত দেবেন না। একান্ত দিতেই হলে হাত সাবান দিয়ে ধুয়ে তার পর হাত দিন। কাজ মিটলে ফের সাবান দিন হাতে।

• টুপি পরতে পারেন। নইলে বাড়ি ফিরে ভাল করে স্নান করুন।

• ব্যাগে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও সাবান নিতে ভুলবেন না।

• কোনও অবস্থাতেই রাস্তার জল বা খাবার খাবেন না।

• অল্প দূরত্ব হলে সেটুকু হেঁটে যাওয়ার চেষ্টা করুন।

• ট্যাক্সি বা অ্যাপ নির্ভর গাড়িতে গেলে চালকের পাশে বসবেন না, পিছনে বসুন।

• আপাতত অটোয় পিছনে দুজন যাত্রীর যাবার কথা। বাড়তি যাত্রী থাকলে অটোয় না যাওয়াই ভাল।

• বাস, ট্রাম বা ট্রেন থেকে নেমে কর্মক্ষেত্রে পৌঁছে টুপি, গ্লাভস, মাস্ক ও ফেস শিল্ড খুলে হাত মুখ সাবান দিয়ে ধুয়ে কাজে বসুন।

আরও পড়ুন: করোনা থেকে বাঁচাতে বাচ্চাদের মাস্ক পরা ও হাত ধোওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন

গণপরিবহন ব্যবহার করলে সার্জিকাল অথবা কাপড়ের ত্রি স্তরীয় মাস্ক ব্যবহার করুন।

• গণপরিবহনে উঠে মোবাইল ফোন প্রয়োজন ছাড়া ব্যবহার করবেন না। মোবাইল থেকে সংক্রমণ ছড়ানোর ঝুঁকি থাকে।

• সঙ্গে আদার টুকরো নিয়ে যাবেন। মুখে রাখলে গলার সংক্রমণ কিছুটা আটকানো যায়।

খুব অসুবিধা না হলে ফেরার পথে কিছুটা গণপরিবহনে গিয়ে বাকি পথ হেঁটে যাওয়ার চেষ্টা করতে পারেন। এক দিকে এক্সারসাইজ হবে, অন্যদিকে কোভিড-১৯-এর ছোঁয়াচ বাঁচাতে পারবেন।

জল বা খাবার খাওয়ার আগে নুন জলে গার্গল করে নিতে পারলে ভাল হয়।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE