ক্লান্তি কাটাতে চান? ছবি: শাটারস্টক।
কয়েক মাস পেরিয়ে গিয়েছে । ঘরের যাবতীয় কাজ, অফিসের কাজের চাপ, অনিশ্চয়তা আর বিরক্তি মিলেমিশে ক্লান্ত করে তুলছে প্রায় প্রতিটি মানুষকে। শুধু বিশ্রামে এ ক্লান্তি কাটার নয়। আনলক পর্বে এ বার বাইরে বেরতেও হচ্ছে। এ সময় চাই এমন কিছু যা ভিতর থেকে চনমনে করে তুলবে। সেই “এমন কিছু” টা হল সঠিক খাবার, হালকা ব্যায়াম ও ভাল ঘুম।
খান সঠিক খাবার
সময়মতো খাওয়া-দাওয়া করুন। বহু সময় খালি পেটে থাকলে রক্তে সুগারের মাত্রা কমে গিয়ে ক্লান্ত লাগতে পারে।
আধ ঘণ্টা অন্তর কয়েক চুমুক করে জল খান। সারা দিনে যেন আড়াই-তিন লিটার খাওয়া হয়। কারণ ঠিকঠাক জল না খেলে জলশূন্যতার হাত ধরে দেখা দিতে পারে ক্লান্তি।
কফি-কোলা-মদ বেশি খেলে জলশূন্যতার আশঙ্কা বাড়ে। ক্লান্ত শরীরে মুড সুইং হতে থাকে ঘন ঘন। আবার বিকেলের দিলে চা-কফি বেশি খেলে ঘুম কমে যায়। সে কারণেও ক্লান্ত লাগতে পারে। কাজেই দিনে ২-৩ কাপের বেশি চা-কফি খাবেন না। ঘুমের সমস্যা থাকলে বিকেলের পর আর খাবেন না, বিশেষ করে কফি।
আরও পড়ুন: ডায়াবিটিস রয়েছে? এ ভাবে পায়ের যত্ন না নিলে ফল হতে পারে বিপজ্জনক
দিনের প্রতিটি খাবারের সঙ্গে পর্যাপ্ত প্রোটিন খান। ডিম, দুধ, দই, মাছ, মাংসের পাশাপাশি উদ্ভিজ্জ প্রোটিনও খান সমানতালে। যেমন, ডাল, ছোলা, রাজমা, বিভিন্ন ধরনের বাদাম, বিনস, বীজ ইত্যাদি। পুষ্টি যেমন হবে, ক্লান্তি কমবে। অল্প খাবারে পেট ভরবে ও বেশিক্ষণ ভরা থাকবে বলে ওজনও বাড়তে পারবে না চট করে। তবে উদ্ভিজ্জ প্রোটিন বেশি খেলে যদি পেটের সমস্যা হয়, রয়ে সয়ে খাবেন। কারণ গ্যাস-অম্বল-বদহজম হলেও ক্লান্তি বাড়বে।
ক্লান্তির একটা বড় কারণ রক্তাল্পতা। সে বিপদ ঠেকাতে আয়রনসমৃদ্ধ খাবার খান। সব রকম আমিষ খাবারেই আয়রন থাকে। থাকে সবুজ শাক-সবজিতে। ভাতের পাতে লেবু তথা ভিটামিন সি খেলে সেই আয়রন ভালভাবে শোষিত হয়। খাওয়ার পর দই ও ফলের স্যালাড খেলেও একই কাজ হবে। চা-কফি-কোলা আয়রন শোষণে বাধা দেয়। কাজেই খাওয়ার এক-দেড় ঘণ্টার মধ্যে এ সব খাবেন না।
ম্যাগনেসিয়ামের ঘাটতি হলে ক্লান্তি বাড়তে পারে। এ বিপদ এড়াতে কলা, বাদাম, ছোলা, সবুজ শাক-সবজি খান ঘুরিয়ে ফিরিয়ে।
ব্যায়ামে ক্লান্তি দূর করুন। ফাইল ছবি।
মিষ্টি বেশি খেলে এক ধাক্কায় অনেকটা সুগার চলে আসে বলে সাময়িকভাবে তরতাজা লাগে। বেশি সুগার এলে তাকে প্রশমিত করতে শরীরে ক্ষরিত হয় বেশি ইনসুলিন। এতে শরীর নানা রোগের আকর হয়ে ওঠে। তার পাশাপাশি খানিকক্ষণের মধ্যে সুগার একদম কমে যায়, যাকে বলে সুগার ক্রাশ। তখন খুব ক্লান্ত লাগে। কাজেই চিনি, মিষ্টি যত কম খাওয়া যায় তত ভাল। এর কোনও গুণ নেই। ক্ষতিই করে কেবল। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও কমে।
ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল খান পর্যাপ্ত। যে কোনও ফলেই সে আছে। বেশি আছে আমলকি, সবেদা, পেয়ারা, লেবু ও যে কোনও টক ফলে।
আরও পড়ুন: স্বাদ-গন্ধের অনুভূতি নেই মানেই কি করোনা, কী বলছেন চিকিৎসকরা
নিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন করুন
অনিয়মিত, অগোছালো জীবনে ক্লান্তি বেশি আসে। কাজেই নিয়ম মেনে চলার অভ্যাস করুন। মদ্যপানে লাগাম টানুন। ধূমপানের অভ্যাস ত্যাগ করুন। সকালে নির্দিষ্ট সময় ঘুম থেকে উঠুন। হালকা ব্যায়াম করুন। ব্যায়ামে শরীরে ভাল হরমোন ক্ষরিত হয়। ক্লান্তি কমাতে এটির বিরাট ভূমিকা। মানসিক চাপ কমিয়ে মন ভাল রাখতেও সে অদ্বিতীয়। তার পাশাপাশি চেষ্টা করুন ভাল করে ঘুমাতে। কম ঘুমিয়ে শরীরের ক্ষতি করবেন না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy