প্রতীকী ছবি। ছবি: সংগৃহিত
ডেল্টার পর এখন ডেল্টা প্লাস নিয়েও কতটা উদ্বেগ রয়েছে, তা আগেই জানিয়েছে কেন্দ্র। যেহেতু ডেল্টা প্লাস অনেক বেশি সংক্রামক বলে মনে করছেন চিকিৎসকদের একাংশ, তাই যে রাজ্যে ডেল্টা প্লাস প্রজাতির প্রমাণ মিলেছে, সেখানে বেশি পরিমাণে কোভিড-পরীক্ষা এবং কড়া কোভিড-বিধি মেনে চলার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। যেহেতু মোনোক্লোনাল অ্যান্টিবডি ডেল্টা প্লাসের ক্ষেত্রে খুব বেশি কার্যকর নয় এবং ফুসফুসের চারপাশে কোষগুলির বাঁধন আরও দ্রুত ভেঙে ফেলতে পারে, তাই এই নতুন প্রজাতি নিয়ে চিকিৎসকেরা এখনও ধন্দে রয়েছেন।
তৃতীয় ঢেউ নিয়ে বাড়ছে আশঙ্কা। নতুন প্রজাতির দাপত কতটা হবে, তা এখনই বোঝা যাচ্ছে না। একমাত্র টিকাকরণই যে বাঁচার উপায়, তা নিয়ে কোনও রকম দ্বিধা নেই। কিন্তু কোভ্যাক্সিন বা কোভিশিল্ড যখন পরীক্ষা করা হয়েছিল, তখন করোনার এই নতুন প্রজাতিগুলোর অস্তিত্ব ছিল না। তাই ডেল্টা বা ডেল্টা প্লাসের উপর কোনও প্রতিষেধক কতটা কার্যকরী, সেটাই এখন আসল প্রশ্ন।
অনেক বিশেষজ্ঞ মনে করছেন, প্রতিষেধক নেওয়ার পর শরীরে যে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়, সেগুলো ডেল্টা বা ডেল্টা প্লাসের সঙ্গে লড়তে সক্ষম নয়। কিন্তু হালের গবেষণা বলছে অন্য কথা। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে জানানো হয়, কোভিশিল্ড এবং কোভ্যাক্সিন— দুই-ই ডেল্টা প্রজাতির ক্ষেত্রে কার্যকর। কিন্তু কতটা কার্যকর বা কত সংখ্যক অ্যান্টিবডি তৈরি হতে পারে, এই ধরনের তথ্য এখনও প্রকাশ্যে আনা হয়নি। গবেষণা চলছে এবং খুব তাড়াতাড়ি ফল জানা যাবে।
কোভিশিল্ড এবং কোভ্যাক্সিনের পাশাপাশি ভারতে পাওয়া যাচ্ছে স্পুটনিক ভি’ও। রাশিয়ায় তৈরি এই প্রতিষেধকের নির্মাতারা জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত করোনার যে ক’টা প্রজাতির খোঁজ মিলেছে, তার বিরুদ্ধে কার্যকর স্পুটনিক ভি। ডেল্টা প্রজাতিও তার মধ্যে পড়ে।
ভারতে খুব তাড়াতাড়ি আসতে পারে ফাইজার প্রতিষেধক। সম্প্রতি অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে করা এক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ডেল্টা প্রজাতির বিরুদ্ধে ফাইজার প্রতিষেধক অনেকটাই কার্যকরী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy