বাজারে আসতে পারে নতুন কোভিড টিকা জাইকভ-ডি। ছবি: সংগৃহিত
বৃহস্পতিবার আমদাবাদের জাইডাস ক্যাডিলা তাদের নতুন প্রতিষেধক জাইকভ-ডি জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহার করার আবেদন জানায় কেন্দ্রে। যদি ছাড়পত্র পেয়ে যায় তাহলে কোভিশিল্ড, কোভ্যাক্সিন, স্পুটনিক ভি এবং মডার্নার পর এটা পঞ্চম কোভিড-টিকা হবে ভারতে। জাইকভ-ডি মূলত ২ বা ৩ টিকার প্লাজমিড ডিএনএ প্রতিষেধক। নতুন টিকা সম্পর্কে রইল আরও তথ্য।
নাম: জাইকভ-ডি
কী করে কাজ করে: প্লাজমিড আসলে ডিএনএ’র একটি ছোট গোলাকার অংশ। এই ডিএনএ প্রতিষেধক শরীরে প্রবেশ করে সার্স-সিওভি-টু’র স্পাইক প্রোটিন তৈরি করা শেখাবে কোষগুলিকে। ভাইরাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ চিনতে শিখিয়ে শরীরের প্রতিরোধশক্তি জাগিয়ে তুলবে এই টিকা। ত্বকের ডার্মিস স্তরে এই টিকা দেওয়া হবে। পিন ফোটানোর মতো সামান্য ব্যথা হবে মাত্র।
ক’টা টিকা: পরীক্ষা করার সময় ৩টে টিকা দেওয়া হয় এই প্রতিষেধকের। দ্বিতীয় টিকা প্রথমটার ২১ দিন পর এবং তৃতীয়টা ৫৬ দিন পর। তবে সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে ২টি টিকার পরীক্ষায়ও একই ফল পাওয়া গিয়েছে। তাই ভবিষ্যতে ২টি টিকাই যথেষ্ট হতে পারে।
কতটা কার্যকর: ২৮০০০ জনের উপর এই টিকার পরীক্ষায় দেখা গিয়েছে এটি ৬৬ শতাংশ কার্যকর। তবে গবেষণার কোনও তথ্য এখনও এই সংস্থা প্রকাশ্যে আনেনি। শুধু জানিয়েছে দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময়ে পরীক্ষা করা হয়েছিল বলে তাঁদের প্রতিষেধক ডেল্টা প্রজাতি বিরুদ্ধে কার্যকরী। তবে এই পরীক্ষায় নেওয়া হয়েছিল ১০০০ জন ১২-১৭ বছরের বয়সিদেরও। তাই এই টিকা বাজারে এলে ছোটরাও নিতে পারবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
বাকি প্রতিষেধকের সঙ্গে তফাত: এমআরএনএ প্রতিষেধকের মতোই প্লাজমিড ডিএনএ প্রতিষেধক শরীরকে ভাইরাসের স্পাইক প্রোটিন চিনতে এবং তার বিরুদ্ধে লড়তে শেখায়। কোভিশিল্ড এবং স্পুটনিক ভি একই ভাবে কাজ করে ভাইরাল ভেক্টরের মাধ্যমে। নোভোভ্যাক্স প্রোটিনটাই শরীরে নিয়ে যায় এবং কোভ্যাক্সিন একটি মৃত ভাইরাসকে অ্যান্টিজেন হিসেবে ব্যবহার করে।
কবে আসতে পারে বাজারে: অগস্টের মাঝামাঝির মধ্যে প্রায় ১ কোটি তৈরি হয়ে যাবে বলে জানানো হয়েছে সংস্থার তরফে। তবে বাজারে কবে আসবে তা নির্ভর করছে ছাড়পত্রের উপর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy