কাষ্ঠ তক্ষণাসন। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ
কাষ্ঠ তক্ষণাসন কী
কাঠুরে যে ভাবে কাঠ কাটে, সেই ভঙ্গীতে এই আসনটি করা হয়। অনেকে বলেন, কাঠুরেরা কাঠ কাটার সময় তাঁদের জমে থাকা রাগ, দুঃখ, ভয় ও অবদমিত ইচ্ছে উজাড় করে দেন। প্রতি দিনের আসন অভ্যাসে এই গতিশীল অনুশীলন রোজকার জীবনে এনার্জি বাড়াতে সাহায্য করবে।
কী ভাবে করব
• ম্যাটের ওপর সোজা হয়ে দাঁড়ান। দুই পায়ের মধ্যে ফাঁক রাখুন।
• মনে মনে ভাবুন, আপনি দুই হাত দিয়ে একটি ভারী কুঠার শক্ত করে ধরে আছেন। এটিই হল আসন শুরুর ভঙ্গী।
• ধীরে ধীরে শ্বাস নিতে নিতে দুই হাতে ভারী কুঠার ধরে তোলার ভঙ্গী করুন। ধীরে ধীরে মাথার ওপর দিয়ে পিছনের দিকে কাল্পনিক কুঠার
তুলতে হবে। মেরুদণ্ড সামান্য পেছনে হেলান।
• এ বারে শ্বাস ছেড়ে মুখ দিয়ে ‘হা’ শব্দ করে পায়ের মাঝখানে রাখা কাল্পনিক ভারী কাঠ কাটার ভঙ্গীতে দ্রুত হাত নামান।
• হাঁটু সামান্য ভাঁজ হবে। কিন্তু লক্ষ্য রাখবেন পা যেন মাটি থেকে ওপরে উঠে না যায়। এক রাউন্ড সম্পূর্ণ হল।
• আবার শুরুর ভঙ্গিতে গিয়ে দুই হাত ওপরে তুলে কাঠ কাটার ভঙ্গী করুন। এই ভাবে ৫–৭ রাউন্ড অভ্যাস করতে হবে।
• প্রতি বার দ্রুত শ্বাস ছাড়তে হবে এবং মুখ দিয়ে জোরে ‘হা’ শব্দ করবেন। এর ফলে টেনশন দূর হবে।
আরও পড়ুন: ৪৪তম দিন: আজকের যোগাভ্যাস
মনে রাখবেন
অনিয়ন্ত্রিত উচ্চ রক্তচাপ, হার্টের অসুখ ও শিরদাঁড়ার সমস্যা থাকলে এই আসন অভ্যাস করবেন না।
কেন করব
নিয়মিত কাষ্ঠ তক্ষণাসন অভ্যাস করলে শ্রোণী, কোমর ও নিতম্বের পেশীতে রক্ত চলাচল বাড়ে। ফলে এই অংশের পেশী উজ্জীবিত হয় ও টানটান থাকে। এই আসনটির আর একটি বিশেষ কার্যকারিতা আছে। কাঁধ ও পিঠের ওপরের দিকের পেশী সচরাচর খুব বেশি ব্যবহার না হওয়ায় নাড়াচড়া হয় না। ফলে স্টিফ হয়ে গিয়ে ব্যথার ঝুঁকি থাকে। এই আসনটি অভ্যাস করলে কাঁধ ও পিঠের ওপরের দিকের পেশীর সঞ্চালন হয়। শ্বাস ছাড়ার সময় মুখ দিয়ে ‘হা’ শব্দ করার নানান ভাল দিক আছে। এর ফলে মনের মধ্যে জমে থাকা রাগ, দুঃখ, ভয় দূর হয়। ভীতু ভাব চলে গিয়ে সাহস ও আত্মবিশ্বাস ফিরে আসে একই সঙ্গে মন ভাল থাকে। আসন করুন, সুস্থ থাকুন।
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy