চেয়ার যোগ– টরসো সার্কল

টরসো সার্কল অর্থাৎ শরীরের উপরিভাগ ঘুরিয়ে আসন করা। সাধারণত ওয়ার্ম আপ এক্সারসাইজের পর মূল আসন শুরু করা হয়। চেয়ার যোগা অভ্যাস করার আগে এই আসনটি করলে শরীরের উপরিভাগের পেশী উজ্জীবিত হয়। মেরুদণ্ড ও শ্রোণীদেশের হাড়ের জড়তা কেটে যায়।

কী ভাবে করব

• ঘাড় ও মাথা সোজা করে শিরদাঁড়া টানটান করে দুই পা মাটিতে রেখে সোজা হয়ে বসুন। দুই হাত রাখুন ঊরুর ওপর। এ বারে চোখ বন্ধ করে মন একাগ্র করে বসুন। আসন শুরুর অবস্থান এটি।

• এই ভাবে থেকে চেয়ারের সামনের দিকে কিছুটা এগিয়ে আসতে হবে। হাত কোলের ওপর ও দুই হাঁটু একসঙ্গে জড়ো করে রাখুন আরামদায়ক ভাবে।

• এ বারে কোমরের নীচের দিক থেকে সমস্ত শরীর বাম দিকে সার্কুলার মুভমেন্টে ঘোরাতে শুরু করুন। নিতম্ব যেন চেয়ার থেক উঠে না যায়, সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে।

• শ্বাস প্রশ্বাস স্বাভাবিক রেখে ৬–৭ বার বড় বৃত্তে সম্পূর্ণ শরীর নিতম্ব থেকে ঘোরান। তবে শরীরে যেন কষ্ট না হয়, সে দিকে খেয়াল রাখবেন।

• বাম দিকে ঘোরানো শেষ হলে কয়েক সেকেন্ড বিশ্রাম নিয়ে ডান দিকে একই পদ্ধতিতে ঘোরান। চেয়ারে নির্দিষ্ট জায়গায় বসে থাকবেন। নিতম্ব যেন স্থানচ্যুত না হয়, খেয়াল রাখতে হবে।

আরও পড়ুন: ৯২তম দিন: আজকের যোগাভ্যাস​

• দুই দিকে ৫–৭ রাউন্ড অভ্যাসের পর আসন শুরুর অবস্থানে ফিরে গিয়ে সোজা হয়ে বসুন।

• আসন অভ্যাস শেষ হলে চোখ বন্ধ করে চেয়ারে বসে কিছু ক্ষণ রিল্যাক্স করুন। শ্বাস প্রশ্বাস স্বাভাবিক হওয়া পর্যন্ত বিশ্রাম নিন।

• কোমরে, পিঠে বা কাঁধে খুব ব্যথা থাকলে আসনটি করেতে কষ্ট হতে পারে। সে ক্ষেত্রে সইয়ে সইয়ে ধীরে ধীরে অভ্যাস করতে হবে।

কেন করব

এটি মূলত একটি ওয়ার্ম আপ এক্সারসাইজ। বিশেষ করে যাঁদের পক্ষে দাঁড়িয়ে আসন করা মুশকিল তাঁদের জন্য এটি অত্যন্ত উপযোগী। এই আসনটি নিয়মিত অভ্যাস করলে কোমর, পেট ও নিতম্বের রক্ত চলাচল বাড়ে এবং ব্যথা বেদনার হাত থেকে রেহাই মেলে। অস্থিসন্ধির জড়তা কাটাতে সাহায্য করে এই আসন। অন্ত্র-সহ পেটের ভিতরের প্রত্যঙ্গে রক্ত চলাচল বাড়ে। ফলে খাবার হজম হতে সুবিধে হয়। বিশেষ করে যাঁদের হজম সংক্রান্ত অসুবিধে আছে, তাঁদের জন্য এটি অত্যন্ত উপযোগী। যাঁদের কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা আছে, তাঁরাও উপকতার পাবেন। একই সঙ্গে নিয়ম করে এই আসন অভ্যাস করলে মেরুদণ্ডের নানান সমস্যা প্রতিরোধ করা যায়।

আরও পড়ুন: ৯৩তম দিন: আজকের যোগাভ্যাস