Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪
sugar

লকডাউনে ক্লান্তি কমিয়ে তরতাজা থাকতে চান? তা হলে মেনে চলুন এ সব

শুধু বিশ্রামে এ ক্লান্তি কাটার নয়। এ সময় চাই এমন কিছু, যা ভিতর থেকে চনমনে করে তুলবে।

ক্লান্তি সরাতে মেনে চলুন বিশেষ কিছু নিয়ম। ছবি: শাটারস্টক।

ক্লান্তি সরাতে মেনে চলুন বিশেষ কিছু নিয়ম। ছবি: শাটারস্টক।

সুজাতা মুখোপাধ্যায়
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৬ মে ২০২০ ১৬:৪৮
Share: Save:

লকডাউন দু’মাস পার হয়ে গিয়েছে। ঘরের যাবতীয় কাজ, অফিসের কাজের চাপ, অনিশ্চয়তা আর একঘেয়েমি মিলে ক্লান্ত করে তুলছে প্রায় প্রতিটি মানুষকে। শুধু বিশ্রামে এ ক্লান্তি কাটার নয়। এ সময় চাই এমন কিছু, যা ভিতর থেকে চনমনে করে তুলবে। ক্লান্তি ভুলে সুস্থ থাকতে চাইলে জোর দিতে হবে সময়ে খাওয়া, ভাল খাওয়া, পর্যাপ্ত ঘুম ও ব্যায়ামে।

খাবারের নিয়ম

• সময় মতো খাওয়াদাওয়া করুন। বহু সময় খালিপেটে থাকলে রক্তে সুগারের মাত্রা কমে গিয়ে ক্লান্ত লাগতে পারে।

• আধ ঘণ্টা অন্তর কয়েক চুমুক করে জল খান। সারা দিনে যেন আড়াই-তিন লিটার জল খাওয়া হয়। কারণ ঠিকঠাক জল না খেলে জলশূণ্যতার হাত ধরে দেখা দিতে পারে ক্লান্তি।

আরও পড়ুন: সামনে দুর্দিনের ছায়া, এই সব উপায়ে খরচ কমিয়ে সঞ্চয় বাড়ান

• কফি-কোলা-মদ বেশি খেলে জলশূণ্যতার আশঙ্কা বাড়ে। ক্লান্ত শরীরে মুড সুইং হতে থাকে ঘন ঘন। আবার বিকেলের দিকে চা-কফি বেশি খেলে ঘুম কমে যায়। সে কারণেও ক্লান্ত লাগতে পারে। কাজেই দিনে ২-৩ কাপের বেশি চা-কফি খাবেন না। ঘুমের সমস্যা থাকলে বিকেলের পর আর খাবেন না, বিশেষ করে কফি।

• দিনের প্রতিটি খাবারের সঙ্গে পর্যাপ্ত প্রোটিন খান। ডিম, দুধ, দই, মাছ, মাংসের পাশাপাশি উদ্ভিজ্জ প্রোটিনও খান সমান তালে। যেমন, ডাল, ছোলা, রাজমা, বিভিন্ন ধরনের বাদাম, বিনস, বীজ ইত্যাদি। এতে পুষ্টি যেমন হবে, ক্লান্তিও কমবে। অল্প খাবারে পেট ভরবে ও বেশি ক্ষণ ভরা থাকবে বলে ওজনও বাড়তে পারবে না চট করে। তবে উদ্ভিজ্জ প্রোটিন বেশি খেলে যদি পেটের সমস্যা হয়, রয়েসয়ে খাবেন। নয়তো গ্যাস-অম্বল-বদহজম হলেও ক্লান্তি বাড়বে।

চিনিকে বলুন ‘না’।

• ক্লান্তির একটা বড় কারণ রক্তাল্পতা। সে বিপদ ঠেকাতে আয়রনসমৃদ্ধ খাবার খান। সব রকম আমিষ খাবারেই আয়রন থাকে। থাকে সবুজ শাক-সব্জিতে। ভাতের পাতে লেবু তথা ভিটামিন সি খেলে সেই আয়রন ভাল ভাবে শোষিত হয়। খাওয়ার পর ফ্রুট স্যলাড খেলেও একই কাজ হবে। চা-কফি-কোলা আয়রন শোষণে বাধা দেয়। কাজেই খাওয়ার এক-দেড় ঘণ্টার মধ্যে এ সব খাবেন না।

• ম্যাগনেশিয়ামের ঘাটতি হলে ক্লান্তি বাড়তে পারে। এই বিপদ এড়াতে কলা, বাদাম, ছোলা, সবুজ শাক-সবজি খান ঘুরিয়ে ফিরিয়ে।

• মিষ্টি বেশি খেলে এক ধাক্কায় অনেকটা সুগার চলে আসে বলে সাময়িক ভাবে তরতাজা লাগে। বেশি সুগার এলে তাকে প্রশমিত করতে শরীরে ক্ষরিত হয় বেশি ইনসুলিন। এর খানিক ক্ষণের মধ্যে সুগার একদম কমে যায়, যাকে বলে সুগার ক্রাশ। তখন খুব ক্লান্ত লাগে। কাজেই চিনি, মিষ্টি যত কম খাওয়া যায় তত ভাল। এর কোনও গুণ নেই। ক্ষতিই করে কেবল। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও কমে।

• ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল খান পর্যাপ্ত। যে কোনও ফলেই সে আছে। বেশি আছে আমলকি, সবেদা, পেয়ারা, লেবু ও যে কোনও টক ফলে।

আরও পড়ুন: মাস্ক পরে ভারী কাজ বা ব্যায়াম করছেন? অজান্তেই বিপদ ডেকে আনছেন কিন্তু!

নিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন করুন

অনিয়মিত, অগোছালো জীবনে ক্লান্তি বেশি আসে। কাজেই নিয়ম মেনে চলার অভ্যাস করুন। সকালে নির্দিষ্ট সময় ঘুম থেকে উঠুন। হালকা ব্যায়াম করুন। ব্যায়ামে শরীরে ভাল লাগার হরমোন ক্ষরিত হয়। ক্লান্তি কমাতে যার বিরাট ভূমিকা। স্ট্রেস কমিয়ে মন ভাল রাখতেও সে অদ্বিতীয়। তার পাশাপাশি চেষ্টা করুন ভাল করে ঘুমোতেও।

অন্য বিষয়গুলি:

Stress Sugar Fatigueness Lockdown Coronavirus
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE