Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪
coronavirus

লকডাউনে বাচ্চাকে দেখাতে ডাক্তারের চেম্বারে নিয়ে যাবেন? কী কী মানবেন?

কিছু স্বাস্থ্যবিধি আমাদের সবার মেনে চলা খুব জরুরি। কী কী সে সব?

ক্লিনিকে শিশুকে নিয়ে এলে খেয়াল রাখুন কিছু নিয়ম। ছবি: শাটারস্টক।

ক্লিনিকে শিশুকে নিয়ে এলে খেয়াল রাখুন কিছু নিয়ম। ছবি: শাটারস্টক।

নিশান্তদেব ঘটক (শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ)
কলকাতা শেষ আপডেট: ০২ এপ্রিল ২০২০ ১৭:৩৯
Share: Save:

সারা দেশ জুড়ে চলছে লকডাউন। এমন এক পরিস্থিতিতে বাড়ির বাচ্চাটি অসুস্থ্ হলেও নিয়ে যাওয়া যাচ্ছে না ডাক্তারবাবুর চেম্বারে। বাবা-মা-ও চাইছেন না নিয়ে যেতে আর ডাক্তারবাবুও বলছেন একটু অপেক্ষা করে দেখতে। ভয় একটাই, শিশুটি করোনায় আক্রান্ত হয়ে যাবে না তো?

ছোটখাটো অসুবিধা হলে না হয় ডাক্তারবাবুর সঙ্গে ফোনে যুক্তি করে কিছু ওষুধ খাইয়ে পরিস্থিতি সামলে দেওয়া যাচ্ছে। কিন্তু যাদের একটু বাড়াবাড়ি, তাদের চেম্বারে নিয়ে যাওয়া ছাড়া তো আর উপায় নেই। সে ক্ষেত্রে কিছু স্বাস্থ্যবিধি আমাদের সবার মেনে চলা খুব জরুরি।

আমাদের সব সময় সতর্ক থাকতে হবে যেন অন্যের শরীর থেকে কোনও সংক্রমণ আমার শরীরে এসে হাজির না হয় বা অসতর্কতায় আমার সংক্রমণ অন্যকে দিয়ে না ফেলি। সব সময় সংক্রমণ যে কোভিড-১৯-ই হতে হবে এমনটা নয়। অন্য যে কোনও ছোঁয়াচে রোগের জন্য এই স্বাস্থ্যবিধি আমাদের সবার মানা উচিত।

আরও পড়ুন: ওজন ও পেটের মেদ বশে নেই? করোনার শঙ্কা কী ভাবে মোকাবিলা করবেন?

চেম্বারে ঢোকার আগে নিজেদের ও শিশুটির হাত সাবান দিয়ে বিধি মেনে ধুয়ে তবেই প্রবেশ করুন।

• তোয়ালেতে নয়, ডিসপোজেবল টিসুপেপারে হাত মুছে নিন। সঠিক পাত্রে হাত মোছা কাগজটিকে ফেলুন।

• হাত মোছার পর শুকনো হতে অ্যালকোহল বেসড স্যানিটাইজার লাগিয়ে নিন।

• চেম্বারে ঢুকে বসার জায়গায় অন্য রোগীদের থেকে এক মিটারের ব্যবধানে বসুন।

• অ্যাপয়েন্টমেন্টের সঠিক সময় অনুযায়ী চেম্বারে যান। তাতে ভিড় একটু কম হবে।

• শিশুটিকে খেলার জন্য বসার জায়গায় ছেড়ে দেবেন না। যারা সবে হাঁটতে শিখেছে বা হামা দেয়, তাদের হাত কিন্তু মেঝের নোংরার সংস্পর্শে আসতে পারে। তাই নিজের কোলে নিয়ে বসুন।

আরও পড়ুন: গৃহবন্দি থাকা অবস্থায় হাতের কাছে রাখতেই হবে যে সব জিনিস

• যারা বয়সে একটু বড়, তাদের জন্য কিছু বই বা পাজল গেমস‌ সঙ্গে নিয়ে যান, যাতে তারা এক জায়গায় স্থির হয়ে বসে থাকে।

• যে সব শিশু এখনও খুব ভাল ভাবে পায়খানা প্রস্রাবের কথা বলতে পারে না, তাদের ডায়াপার না পরিয়ে বাড়ির বাইরে বের করবেন না। এটি চেম্বারের পরিচ্ছন্নতা নষ্ট করতে পারে। করোনা আক্রান্ত শতকরা ২৯ শতাংশ বাচ্চার পায়খানায় কিন্তু এই ভাইরাসের অস্তিত্ব মিলেছে।

• আর পাঁচটা দিনের মতো হয়তো ডাক্তারবাবু আপনার বাচ্চাটিকে কোলে নিয়ে আদর করতে না-ও পারেন। হয়তো পরীক্ষা খুব সংক্ষেপেই করবেন। জানবেন সেটা আপনাদের ভালর জন্যই। আপনারা যখন চেম্বারে ডাক্তারবাবুর সঙ্গে কথা বলবেন, অন্তত এক মিটার দূরে বসার চেষ্টা করুন। মাথায় রাখবেন, ডাক্তারবাবু যেহেতু অনেক ধরনের রোগী দেখেন, তাঁর সংক্রমণের ঝুঁকিও কিন্তু কিছু কম না।

• দেখানো হয়ে গেলে সবাই মিলে আর এক বার হাত সাবান দিয়ে ধুয়ে, মুছে, হ্যান্ড স্যানিটাইজার লাগিয়ে তার পর বাড়ি ফিরুন।

• চেষ্টা করবেন স্নান করার আগেই চেম্বারে যেতে। ফিরে সমস্ত জামাকাপড় সাবান দিয়ে কেচে নিতে ভুলবেন না। ভাল করে সবাই সাবান দিয়ে স্নান করে নিন। আপনার এক দিন হয়তো এই সব করতে বিরক্ত লাগতে পারে। অনেক ডাক্তারবাবুরই কিন্তু এটা রোজনামচা। মনে রাখবেন, এইগুলি না করলে আমরা হয়তো করোনা দানবের হাত থেকে নিজেদের আর নিজেদের পরিবারকে মুক্ত রাখতে পারব না।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE