রোদের থেকে আসা ভিটামিন ডি-র বিকল্প নেই। ছবি-শাটারস্টক থেকে নেওয়া
ভিটামিন ডি। শরীরের অন্যতম জরুরি একটি ভিটামিন। এটি যে কেবল হাড় ও পেশির স্বাস্থ্য ভাল রাখে এমন নয়, যে কোনও সংক্রমণ ঠেকাতে ও শরীরের প্রতিরোধী ব্যবস্থাকে জোরদার করে তুলতে তার বিরাট ভূমিকা আছে। আছে আরও অনেক উপযোগিতা। যেমন-
• ফুসফুসের কর্মক্ষমতা ঠিক রাখতে ও সংক্রমণ ঠেকাতে তার ভূমিকা আছে। সঠিক মাত্রায় থাকলে টিবি, হাঁপানি, সিওপিডি ইত্যাদির আশঙ্কা কমে। রোগ হলে সারে সহজে। কমে অন্য সংক্রমণের আশঙ্কাও।
• হার্ট ফেলিওর, ইসকিমিক হার্ট ডিজিজ, সাডেন কার্ডিয়াক ডেথের আশঙ্কা কমায়। ঠেকায় হাই প্রেশার বা ডায়াবিটিস। রোগ হলে চিকিৎসায় কতটা ভাল ফল হবে তাও নির্ভর করে শরীরে ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি আছে কি নেই, তার উপরে।
• বয়স্ক মানুষের মৃত্যু হার কমতে পারে এই ভিটামিনের সাপ্লিমেন্টে।
আরও পড়ুন: চাই সুস্থ জীবন, কোন কোন বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে? কী বললেন চিকিৎসকেরা?
কোভিড ও ভিটামিন ডি
করোনা সংক্রমণ সবার আগে প্রভাব ফেলেছে ফুসফুসে, বলছেন চিকিৎসকরা। কাজেই প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে ফুসফুসকে যদি সতেজ রাখা যায়, বাড়ানো যায় তার কর্মক্ষমতা, রোগের আশঙ্কা যেমন কমে, কমে জটিলতার আশঙ্কাও। তার উপর হৃদরোগ, হাই প্রেশার, ডায়াবিটিস, বেশি বয়স, সবই তো কোভিডের রিস্ক ফ্যাক্টর। এরা যত ঠিক থাকবে, তত রোগের দাপট কমবে।
আরও পড়ুন: করোনাকালে অটিস্টিকদের নিয়ে চিন্তা, হাতে হাত মিলিয়ে লড়াই করছে এই সব নেটওয়ার্ক
গরমের দেশে ভিটামিন ডি-এর অভাব হয় না
“ত্বকে নিয়মিত নির্দিষ্ট সময় ধরে রোদ লাগলে ভিটামিন ডি তৈরি হয় ঠিকই, কিন্তু সমীক্ষা বলে গরম ও রং কালো হয়ে যাওয়ার ভয়ে বেশির ভাগ মানুষই রোদ থেকে দূরে থাকেন। ব্যবহার করেন ছাতা, টুপি, সানগ্লাস, সানস্ক্রিন। ফলে দিনে ৩০-৪০ মিনিট খোলা শরীরে রোদ লাগানোর যে নিয়ম মানলে সমস্যা মেটে, তা হয় না। মাঠে বা পার্কে হাঁটাহাটি করলে কিছুটা কাজ হয়। সেটাও হয়ে ওঠে না। কারণ স্বাস্থ্য সচেতন মানুষ জিমে ব্যায়াম করাই বেশি পছন্দ করেন। এর সঙ্গে আরও কয়েকটি কারণ যুক্ত হলে বিপদ আরও বাড়ে”, জানালেন ত্বক বিশেষজ্ঞ সঞ্জয় ঘোষ।
তৈলাক্ত মাছ, ডিম, ছানা এগুলি থাকুক রোজের ডায়েটে। ছবি: শাটারস্টক
ভিটামিন ডি-র ঘাটতিতে কী হতে পারে
• গায়ের রং কালো হলে রোদ পোহালেও ত্বকের রঞ্জক মেলাটোনিনের কারণে ভিটামিন ডি পর্যাপ্ত পরিমাণে তৈরি নাও হতে পারে। বয়স্ক মানুষদের এই সমস্যা বেশি হয়।
• “ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার, যেমন, তৈলাক্ত মাছ, ক্যানে ভরা টুনা, অতিরিক্ত ভিটামিন ডি মেশানো দুধ-সোয়ামিল্ক-ব্রেকফাস্ট সিরিয়াল-কমলালেবুর রস, চিজ, ডিমের কুসুম, মাশরুম, কড লিভার অয়েল, গরুর মেটে ইত্যাদি খাবার না খেলে বা কম খেলে সমস্যা হতে পারে। সমস্যা হয় ওজন কমানোর তাগিদে ফ্যাটসমৃদ্ধ খাবার ছেড়ে দিলে। কারণ খাবারের ভিটামিন ডি ফ্যাটে দ্রবীভূত হয়েই শরীরে ঢোকে”, জানালেন পুষ্টিবিদ প্রিয়ঙ্কা মিশ্র।
• পেটের কিছু গোলমাল, যেমন-- ক্রোনস ডিজিজ, সিস্টিক ফাইব্রোসিস, সিলিয়াক ডিজিজ ইত্যাদি থাকলে খাবারের ভিটামিন ডি শরীরে শোষিত হতে পারে না।
• সমস্যা হয় খুব মোটা হলেও। বিএমআই ৩০-এর উপরে গেলেই শুরু হয় ঝামেলা।
আরও পড়ুন: বাইরে বেরলেও কমেনি ঝুঁকি, ‘নিউ নর্ম্যাল’-জীবনে কী করবেন, কী করবেন না
তা হলে সাপ্লিমেন্ট
"সাধারণ অবস্থায় রক্ত পরীক্ষা করে তবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়", জানালেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ সুবর্ণ গোস্বামী। তাঁর কথায়, "ভিটামিন ডি ২০ ন্যানোগ্রাম/মিলিলিটারের নীচে গেলে ওষুধ দেওয়া হয়, কিন্তু এখন যেহেতু মানুষ ঘরে থাকছেন বেশি, বয়স্ক মানুষ, কোভিডের রিস্ক ফ্যাক্টর আছে, যেমন, হৃদরোগ, হাই প্রেশার, ডায়াবিটিস, ফুসফুসের সমস্যা, ধূমপান ইত্যাদি রয়েছে, ঋতুবন্ধ হয়ে গেছে এমন মহিলারা ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলে সাপ্লিমেন্ট খাওয়া শুরু করে দিতে পারেন। রক্তে ভিটামিন ডি-এর মাত্রা সহজে বিপদসীমার উপরে যায় না। উলটো দিকে, শরীরে পর্যাপ্ত ভিটামিন ডি থাকলে সংক্রমণের আশঙ্কা কিছুটা কমতে পারে।
(জরুরি ঘোষণা: কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের জন্য কয়েকটি বিশেষ হেল্পলাইন চালু করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এই হেল্পলাইন নম্বরগুলিতে ফোন করলে অ্যাম্বুল্যান্স বা টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত পরিষেবা নিয়ে সহায়তা মিলবে। পাশাপাশি থাকছে একটি সার্বিক হেল্পলাইন নম্বরও।
• সার্বিক হেল্পলাইন নম্বর: ১৮০০ ৩১৩ ৪৪৪ ২২২
• টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-২৩৫৭৬০০১
• কোভিড-১৯ আক্রান্তদের অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-৪০৯০২৯২৯)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy