স্ফিংস আসন। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ
স্ফিংস আসন
মিশরের অতিকায় মূর্তি স্ফিংসের (গ্রিক পুরাণের নারীর মুখ ও সিংহের শরীর) ভঙ্গিতে আসনটি করা হয় বলে এই নামকরণ। স্ফিংস আসন আদতে শিরদাঁড়া বাঁকানোর প্রস্তুতিমূলক অনুশীলন।
কী ভাবে করব
· ম্যাটের ওপর উপুড় হয়ে শুয়ে পড়ুন। পেট ও কপাল মাটিতে ঠেকে থাকবে এবং পা রাখুন সোজা। হাত কনুই থেকে ভাঁজ করে তালু মাটিতে রেখে আঙুল সামনের দিকে খুলে রাখুন। হাতের তালু থাকবে কাঁধের নীচের দিকে।
· শুরুর অবস্থানে কয়েক মিনিট আরাম করুন।
· শ্বাস নিতে নিতে বুকে ভর দিয়ে মাথা ও কাঁধ ওপরের দিকে তুলুন। পিঠের দিক ঈষৎ বাঁকাতে হবে।
· এই অবস্থায় কনুই থাকবে কাঁধের নীচে। মাথা সোজাসুজি তুলে রেখে সামনের দিকে তাকান। এটি অন্তিম ভঙ্গী। এই অবস্থায় শিরদাঁড়া ও কোমরে টান অনুভব করবেন।
· শ্বাস ছাড়তে ছাড়তে মাথা মাটিতে রেখে শুরুর অবস্থানে ফিরে আসুন। এক রাউন্ড সম্পূর্ণ হল।
· দুই থেকে তিন রাউন্ড অভ্যাস করুন। তবে আসন অভ্যাস শেষ করার আগে ফাইনাল পজিশনে অর্থাৎ পেটে ভর দিয়ে হাত সামনে রেখে ২–৩ মিনিট থাকুন। অসুবিধে হলে এই অবস্থানে থেকে ৫–৭ বার স্বাভাবিক শ্বাস প্রশ্বাস নিন।
· আসন সম্পূর্ণ হলে মাথা নামিয়ে নিন। ডান বা বাম দিকে মাথা রেখে কিছু ক্ষণ শুয়ে রিল্যাক্স করুন।
মনে রাখবেন, কোমরে মারাত্মক ব্যথা থাকলে আসনটি করবেন না। এ ছাড়া কাঁধ, কনুই বা বাড়াবাড়ি ধরনের ব্যাক পেন থাকলে আসনটি করা যাবে না।
আরও পড়ুন: ৩৮তম দিন: আজকের যোগাভ্যাস
কেন করব
স্ফিংক্স আসন (যার বাংলা নাম ভুজঙ্গাসন) নিয়মিত অভ্যাস করলে বুক, কাঁধ এবং পেটের সঙ্গে সঙ্গে ফুসফুসও প্রসারিত হয়। এই আসন নিতম্বকে সুদৃঢ় করে এবং পেটের বিভিন্ন প্রত্যঙ্গকে উজ্জীবিত করে। যাদের অল্পস্বল্প পিঠে ব্যথা বা স্লিপ ডিস্কের সমস্যা আছে, তাদের সমস্যার নিরসন হয়। মেরুদণ্ড টানটান হয় এবং স্টিফনেস দূর হয়ে নমনীয় হয়।
আরও পড়ুন: ৩৭তম দিন: আজকের যোগাভ্যাস
তবে যত ক্ষণ সম্ভব সেই সময়টুকুই আসন অভ্যাস করতে হবে। জোর করে কষ্ট করে অভ্যাস করবেন না। স্ফিংক্স আসন রোজকার জীবনের টেনশন কমাতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নেয়। নিয়মিত আসন করুন, সুস্থ থাকুন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy