স্মার্টফোনের দৌলতে পুরো দুনিয়া এখন হাতের মুঠোয়। কিন্তু বাড়ি বা অফিসের বাইরে থাকলে স্মার্টফোন চার্জ করাটা বেশ মুশকিল। এ ক্ষেত্রে মুশকিল আসান হল পাওয়ার ব্যাঙ্ক। তাই রইল পছন্দসই মডেলের পাওয়ার ব্যাঙ্ক কেনার আগে কিছু পরামর্শ।
• পাওয়ার ব্যাঙ্ক কিনুন নিজের প্রয়োজন অনুসারে। সারা দিনে একটি না একাধিক স্মার্টফোন চার্জ করবেন এবং কতবার চার্জ করবেন— সেই অনুসারে পাওয়ার ব্যাঙ্ক পছন্দ করুন। দরকার হলে বেশি পাওয়ার ক্যাপাসিটির ব্যাঙ্ক কেনা যেতেই পারে, কিন্তু সেটিকে ফুল চার্জ দিতে সময় লাগবে। তবে ক্যাপাসিটি বেশি হলে বেড়াতে যাওয়ার সময়ে কাজে লাগে বেশি। পাওয়ার ব্যাঙ্ক একবার ফুল চার্জ দিয়ে নিলে একাধিক ফোনে একাধিক বার চার্জ দেওয়া যায়।
• যে কোম্পানির কিংবা মডেলেরই পাওয়ার ব্যাঙ্ক কিনুন, তাতে একসঙ্গে অন্তত দু’টি বা তার বেশি স্মার্টফোন চার্জ দেওয়ার সুযোগ রয়েছে কি না দেখে নিন। পাশাপাশি এটাও দেখা জরুরি যে, পাওয়ার ব্যাঙ্কটিতে ব্যাটারির ‘স্টেটাস ইন্ডিকেটর’ রয়েছে কি না। এই ধরনের ইন্ডিকেটর থাকলে, পকেটের পাওয়ার ব্যাঙ্কে ব্যাটারির চার্জ কতটা রয়েছে, সেটা সহজে দেখে নিতে পারবেন এবং সেই অনুসারে ব্যবহার করতে পারবেন।
• কিছু বিশেষ কোম্পানির পাওয়ার ব্যাঙ্ক রয়েছে, যেগুলি আকারে বেশ বড়। ব্যাঙ্কের আকার বড় বলেই, আপনি বেশি পাওয়ার ব্যাকআপ পাবেন— এমনটা ভেবে নিলে ভুল করবেন। বরং পাওয়ার ব্যাকআপের বিষয়টা পুরোপুরি নির্ভর করে ব্যাঙ্কের ভিতরে থাকা ব্যাটারির গুণগত মানের উপরে। তাই এমন পাওয়ার ব্যাঙ্কই কিনুন, যেটি আপনি সহজে পকেটে ঢুকিয়ে নিতে পারবেন। প্রয়োজনে জনপ্রিয় কোনও সংস্থার পাওয়ার ব্যাঙ্কের খোঁজ করতে পারেন। এই ধরনের পাওয়ার ব্যাঙ্ক আকারে ছোট হলেও, তাদের কার্যকারিতা কিন্তু অনেকটাই বেশি।
• চেষ্টা করুন, ফাস্ট চার্জিংয়ের সুবিধে রয়েছে এমন পাওয়ার ব্যাঙ্ক কেনার। তবে এ ক্ষেত্রে হয়তো টাকা একটু বেশি লাগতে পারে, তবে দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগ হিসেবে সেটি লাভজনক। পাওয়ার ব্যাঙ্ক চার্জ করার বিষয়টি যথেষ্ট সময়সাপেক্ষ। তাই ফাস্ট চার্জিংয়ের সুবিধেযুক্ত পাওয়ার ব্যাঙ্কটিকে যদি দ্রুত চার্জ করা যায়, ক্ষতি কী?
• স্থানীয় কোনও কোম্পানির কিংবা কম দামের প্রলোভনে পাওয়ার ব্যাঙ্ক না কেনাই ভাল। চেষ্টা করুন, কোনও নামী ব্র্যান্ডের পাওয়ার ব্যাঙ্ক কেনার। পাওয়ার ব্যাঙ্কের কার্যকারিতা পুরোটাই নির্ভর করে, ব্যাটারির গুণগত মান এবং ব্যাঙ্কের সার্কিটের উপরে। স্থানীয় সংস্থার তৈরি কিংবা কম দামের পাওয়ার ব্যাঙ্কের ওয়্যারিংয়ে অনেক সময় শর্ট-সার্কিটের অভিযোগ পাওয়া যায়। এ ক্ষেত্রে পাওয়ার ব্যাঙ্কটিকে পুরোপুরি বদলে ফেলা ছাড়া অনেক ক্ষেত্রেই আর কোনও উপায় থাকবে না। অনলাইনে তো বটেই, ইলেকট্রনিক্সের দোকানে বিভিন্ন দামের পাওয়ার ব্যাঙ্ক পাওয়া যায়। মোটামুটি ভাবে বলা যায়, ৬০০ টাকার কাছাকাছি দামের মধ্যে স্ট্যান্ডার্ড ব্র্যান্ডের পাওয়ার ব্যাঙ্ক পেয়ে যাবেন।
• যে পাওয়ার ব্যাঙ্কটি কিনছেন, সেটিতে লিথিয়াম-পলিমার ব্যাটারি রয়েছে কি না দেখে নিন। সাধারণত পাওয়ার ব্যাঙ্ক পুরোপুরি চার্জ হতে অনেকটাই সময় লাগে। তাই অনেকেরই অভ্যেস রয়েছে, রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে ব্যাঙ্কটিকে চার্জে বসিয়ে দেওয়ার। এতে সকালে উঠে ব্যাঙ্কে ফুল চার্জ মেলে বটে, কিন্তু এ ক্ষেত্রে বিপদের আশঙ্কাও থাকে। বাজারে কিনতে পাওয়া যায় এমন অনেক পাওয়ার ব্যাঙ্কেই ‘অটো-কাট’-এর প্রযুক্তি থাকে না। ফলে ব্যাঙ্কের ব্যাটারি পুরোপুরি ভাবে চার্জ হয়ে গেলেও, চার্জিং চালু থাকে। এতে ব্যাটারি গরম হয়ে যাওয়ার ভয় থাকে। এমন অনেক ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে, বেশি গরম হয়ে ব্যাটারি ফেটেও গিয়েছে। এ সব ক্ষেত্রে গঠনগত কারণেই লিথিয়াম-পলিমার ব্যাটারি অনেকটাই ‘সেফ’। আবার এই ধরনের ব্যাটারির পাওয়ার ব্যাকআপ দেওয়ার ক্ষমতাও বেশি। তাই লিথিয়াম-পলিমার ব্যাটারি এবং অটো-কাট প্রযুক্তি দেখেই পাওয়ার ব্যাঙ্ক পছন্দ করুন। যে কোম্পানির এবং মডেলের পাওয়ার ব্যাঙ্ক কিনবেন, পুরোপুরি চার্জ হয়ে গেলে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিন।
• অনেকেরই অভ্যেস রয়েছে, স্মার্টফোন হোক কিংবা পাওয়ার ব্যাঙ্কের ক্ষেত্রে হাতের কাছে যে কেব্ল মেলে, সেটি সংযোগ করেই চার্জিংয়ে বসিয়ে দেওয়ার। এ ক্ষেত্রে মনে রাখা দরকার, কোন ধরনের কেব্ল দিয়ে আপনি চার্জ করছেন, সেটার উপরেও আপনার ইলেকট্রনিক গ্যাজেটটি চার্জ হতে কত সময় নেবে, তা নির্ভর করে। তাই পাওয়ার ব্যাঙ্ক কেনার সময়, যে চার্জিং কেব্লটি কোম্পানি থেকে দেওয়া হয়েছে, সেই কেব্লটি দিয়েই পাওয়ার ব্যাঙ্ক চার্জ করুন। এতে দ্রুত ফুল-চার্জ করতে পারবেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy