সে ক্ষেত্রে, দিনে না ঘুমিয়ে বা অল্প ঘুমিয়ে রাতে বেশি করে ঘুমিয়ে নিন। শরীর সুস্থ রাখতে রাতে পর্যাপ্ত ঘুম হওয়াটা জরুরি।
প্রতীকী ছবি।
শরীর সুস্থ রাখতে রোজ অন্তত ৬-৮ ঘণ্টা ঘুমের প্রয়োজন। অনেকে অবশ্য মনে করেন, কম ঘুমলে কাজের জন্য বাড়তি কিছু সময় পাওয়া যায়। এই ধারণা সঠিক নয়। তবে পর্যাপ্ত ঘুম স্বাস্থ্যের পক্ষে উপকারী হলেও অনেক সময় বেশি ঘুমলে শরীর-মেজাজ বিগড়েও যায়। ঘুম যেমন শরীর ঝরঝরে করে তোলে, তেমনই মেজাজ পরিবর্তনের কারণও হয়ে উঠতে পারে। বিশেষ করে দুপুরে খাওয়ার পর ঘুমলে এমনটা হয়। অনেকেই খাওয়ার পর খানিক বিশ্রাম নিতে ভালবাসেন। সেটা বাড়িতে হোক বা অফিসে। পোশাকি ভাষায় এই ঘুমকে বলে ‘পাওয়ার ন্যাপ’। কাজের গতি বাড়াতে এবং নিজেকে চাঙ্গা রাখতে অনেকেই এই ‘পাওয়ার ন্যাপ’ নিতে ভালবাসেন।
তবে এর ফলাফল সব সময় ভাল হয় না। শরীর চাঙ্গা হওয়ার বদলে শরীর ম্যাজ ম্যাজ, মাথা ঢিপঢিপ, মেজাজ বিগড়ে যাওয়ার মতো কিছু সমস্যা দেখা দেয়। এর একটি সহজ সমাধান হল অল্প সময় ঘুমনো। মানে ‘পাওয়ার ন্যাপ’-এর সময় যেন দীর্ঘ ক্ষণ না হয়। ১০-২০ মিনিট যথেষ্ট। এতে শরীর ঝরঝরে থাকবে। এ ছাড়াও ঘুম নিয়ে সমস্যার শেষ নেই। অনেকেরই বিভিন্ন কারণে রাতে ভাল ঘুম হয় না। এতে ঘুমের ঘাটতি তৈরি হয়। সেই ঘাটতি পূরণ করতে পরের দিন অন্তত ৩০ মিনিট বেশি ঘুমিয়ে নিন। দিনে ঘুমলে অনেকেই আবার রাতে ঘুম না আসার সমস্যায় ভোগেন। সে ক্ষেত্রে, দিনে না ঘুমিয়ে বা অল্প ঘুমিয়ে রাতে বেশি করে ঘুমিয়ে নিন। শরীর সুস্থ রাখতে রাতে পর্যাপ্ত ঘুম হওয়াটা জরুরি।
তবে, শরীর অসুস্থ থাকলে কিন্তু ঘুমের প্রয়োজন বেশি। রোগের সঙ্গে লড়াই করতে পর্যাপ্ত ঘুম অত্যন্ত জরুরি। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতেও ঘুম সমান ভাবে জরুরি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy