চিঁড়ের পোলাও বা পোহাকে স্বাস্থ্যকর খাবার বলেই জানেন অনেকে। প্রাতরাশে লুচি বা পরোটার বদলে পোহা খেতে বলেন অনেক পুষ্টিবিদই। কিন্তু প্রতি দিনের জলখাবারে পোহা খাওয়া কি স্বাস্থ্যকর?
জলখাবারে চিঁড়ে খাওয়া ভাল না খারাপ এই নিয়ে নানা মত রয়েছে। মুম্বইয়ের একটি বেসরকারি হেল্থ ক্লিনিকের পুষ্টিবিদ আমিরা শাহ জানিয়েছেন, চাল থেকে তৈরি চিঁড়ে কার্বোহাইড্রেটে ভরপুর। কোনওভাবেই সেটি স্বাস্থ্যকর প্রাতরাশ হতে পারে না। সকাল সকাল ঘি, মশলা দিয়ে তৈরি চিঁড়ের পোলাও খেলে যেমন ক্যালোরি জমবে শরীরে, তেমনই রক্তে শর্করার মাত্রাও বাড়বে।
চিঁড়েতে গ্লুটেন নেই, আয়রন ও ফাইবারে ভরপুর। সে কারণেই প্রাতরাশে অনেকে চিঁড়ে খেতে পছন্দ করেন। আমিরা জানাচ্ছেন, চিঁড়ে কী ভাবে খাচ্ছেন তার উপরেই সব কিছু নির্ভর করছে। যদি কম পরিমাণে চিঁড়ে নিয়ে তার সঙ্গে বেশি করে সব্জি মিশিয়ে খাওয়া যায়, তা হলে অনেক বেশি স্বাস্থ্যকর হবে। রান্নার সময়ে খুবই কম পরিমাণে তেল বা ঘি ব্যবহার করতে হবে। পুষ্টিবিদের কথায়, কেউ যদি প্রাতরাশে চিঁড়ে, দুপুরে ভাত, বিকেলে সিঙ্গাড়া বা ওই জাতীয় কোনও ভাজাভুজি এবং রাতে আবারও ভাত খান, তা হলে শরীরে কার্বোহাইড্রেটের মাত্রা অনেকটাই বেড়ে যাবে। ফলে রক্তে শর্করার মাত্রাও বাড়বে। তাই চিঁড়ে যদি জলখাবারে খেতেই হয়, তা হলে দুপুরে আর কার্বোহাইড্রেট না খাওয়াই ভাল। ডায়াবিটিসের রোগীরা সকালে চিঁড়ে না খেয়ে বরং ইডলি বা দোসা খেতে পারেন।
আরও পড়ুন:
চিঁড়ের বদলে কী খেতে পারেন?
কার্বোহাইড্রেট কম খাচ্ছেন যাঁরা, তাঁরা ওট্সের ইডলি খেতে পারেন প্রাতরাশে। প্রথমে ওটস মিক্সিতে দিয়ে গুঁড়ো করে নিন, তবে তাতে দানাভাবটা যেন থাকে। তারপর একটি পাত্রে গুঁড়ো করা ওটস, সুজি, দই, নুন ও পরিমাণমতো জল দিয়ে মিশ্রণ তৈরি করে নিন। এ বার কড়াইতে অল্প তেলে সর্ষে ফোড়ন দিয়ে তাতে মিশ্রণটি দিয়ে নেড়ে সামান্য বেকিং সোডা ছড়িয়ে দিন। ইডলি তৈরি করার পাত্রে তেল মাখিয়ে নিন। মিশ্রণটি ছাঁচগুলোতে বসিয়ে মিনিট দশেক ভাপিয়ে নিন। তারপর ছাঁচ থেকে বের করে ঠান্ডা হলে চাটনি বা সম্বরের সঙ্গে পরিবেশন করুন।
কিনোয়ার পরিজ খেতে পারেন। দুধ দিয়ে কিনোয়া ফুটিয়ে, তার মধ্যে মেপ্ল সিরাপ বা মধু এবং ফলের কুচি দিয়ে সকালের জলখাবার সারতে পারেন।