মন দিতে হবে ব্রিদিং এক্সারসাইজের দিকে। ছবি: আইস্টক।
জোরকদমে হাঁটাহাঁটি সঙ্গে ব্যায়াম৷ শ্বাস–প্রশ্বাসের হার বাড়াতে যা যা প্রয়োজন, গুরুত্ব দিতে হবে সে সবে। ব্রিদিং এক্সারসাইজেই বাড়বে ফুসফুসের কার্যকারিতা৷ যার হাত ধরে কমবে ওজন।
ওজন কমানোর এই সোজাসাপটা হিসেব অনেক পুষ্টিবিদেরই। ফিটনেস বিশেষজ্ঞ সুকোমল সেনও এই বিশেষ উপায়ে আস্থা রাখছেন। তাঁর মতে, ‘‘কাজের চাপ, সময়ের অভাবের মতো বিভিন্ন কারণেই আমরা প্রতি দিন খুব নিয়ম করে জিমে যেতে পারি না বা ডায়েট মানতে পারি না। অধিকাংশ মানুষই এই অনিয়মের শিকার কাজের রুটিনের জন্য। তবু ওজন কমানোর দিককে অবহেলা করলে চলবে না। তাই মন দিতে হবে ব্রিদিং এক্সারসাইজের দিকে।’’
কী ভাবে? পুষ্টিবিদদের মতে, চর্বি বা ট্রাইগ্লিসারাইডে থাকে কার্বন, হাইড্রোজেন ও অক্সিজেন পরমাণু৷ এই পরমাণুর বন্ধনকে ভেঙে ফেলতে পারলেই হয় কাজের কাজ৷ যে পদ্ধতিতে তা হয়, তার নাম অক্সিডেশন৷ চর্বি কোষের কার্বন পরমাণু শ্বাসের সঙ্গে নেওয়া অক্সিজেনের সাহায্যে জাড়িত হয়ে তৈরি করে কার্বন ডাই অক্সাইড, শ্বাসের সঙ্গে তা বেড়িয়ে যায়৷ আর চর্বি কোষের হাইড্রোজেনের সঙ্গে অক্সিজেন মিলিত হলে তৈরি হয় জল৷ কাজেই শ্বাস–প্রশ্বাসের মাধ্যমে যত বেশি অক্সিজেন শরীরে ঢোকানো যায় তত লাভ৷
আরও পড়ুন: সারা বছর জেল্লাদার ত্বক চাই? এ সব মানলেই তা সম্ভব
বিজ্ঞানীদের মতে, চর্বিকে শরীর থেকে বার করতে ফুসফুস একাই একশো৷ শরীরের শতকরা ৮০ ভাগ চর্বিকে ভেঙে জলে পরিণত করার ও হাওয়ায় মিলিয়ে দেওয়ার দায়ভার সে বহন করে একাই৷
তাহলে কি খাবার–দাবারের কোনও ভূমিকাই নেই? পুষ্টিবিদরা বলছেন, তাও আছে৷ খুব বেশি মাত্রাতেই আছে৷ ভুলভাল খেয়ে যদি কেজি কেজি চর্বি জমিয়ে ফেলেন, ফুসফুস তখন আর একা সব সামলাতে পারবে না৷ তা হলে উপায়?
আরও পড়ুন: ‘ওয়র্ল্ড এগ ডে’-তে ভেঙে ফেলুন ডিম নিয়ে এত দিনের এ সব ভুল ধারণা
ফুসফুসের কার্যকারিতা বাড়াতে শিশুকে সাঁতারে অভ্যস্ত করে তুলুন ছোট থেকেই।
কী করবেন
শরীরে চর্বি জমা ঠেকাতে কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার তথা ভাত–রুটি–চিড়ে–মুড়ি খাওয়া কমাতে হবে৷ সিম্পল কার্বোহাইড্রেট যেমন, ময়দা–চিনি–মিষ্টি, ফলের রস, নরম পানীয় ইত্যাদিকে অস্পৃশ্য করে দিলেই ভাল৷ ঘি–মাখন ও তেল খেতে হবে যথাসম্ভব কম৷ ভাজাভুজি, ফাস্ট ফুড ও জাঙ্ক ফুডে আছে ক্ষতিকর ট্রান্স ফ্যাট৷ তাতে কেবল যে ওজন বাড়ে এমন নয়, বাড়ে বিভিন্ন অসুখের প্রবণতাও৷ তার বদলে ঘরে বানানো খাবার ও শাক–সব্জি–ফলে আস্থা রাখতে হবে। গ্রেডেড এক্সারসাইজ করুন, যাতে ফুসফুসের কার্যকারিতা বাড়ে৷ দিনে কম করে আধ ঘণ্টা জোরে হাঁটা, জগিং, সাইক্লিং বা সাঁতার এর মধ্যে একটা বেছে নিন৷ এমন গতিতে করুন যাতে শ্বাসকষ্ট না হয়, কিন্তু অল্প হাঁপিয়ে যান৷ সপ্তাহের শেষে কিছুটা করে গতি নিজের নিয়মেই বাড়বে৷ সঙ্গে ওজন নিয়ে ব্যায়াম করতে পারলে তো কথাই নেই৷ ধূমপানে ফুসফুসের কার্যকারিতা কমে৷ কাজেই বিড়ি–সিগারেট ছাড়ুন৷ সমস্যা হয় বাতাসের দূষণ থেকেও৷ কাজেই কম দূষিত পরিবেশে থাকতে পারলে সেটা হবে উপরি পাওনা৷ ফুসফুসের কোনও রোগ থাকলে চিকিৎসায় তাকে নিয়ন্ত্রণে রাখুন৷ নিয়মিত ডিপ ব্রিদিং করুন৷
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy