শান্তনু দেশপণ্ডে। ছবি: সংগৃহীত
চাকরিতে ঢুকেই ‘কান্নাকাটি’ করলে চলবে না। সব চাপ সহ্য করে নিরন্তর কাজ করে যেতে হবে নবাগত কর্মীদের। এই বিতর্কিত মন্তব্য করেই দিন চারেক আগে সংবাদের শিরোনামে উঠে এসেছিলেন একটি সাজ-সজ্জা সংক্রান্ত সংস্থার সিইও শান্তনু দেশপণ্ডে। নেটমাধ্যমে তাঁর এই বক্তব্য ঘিরে নিন্দার ঝড় ওঠে। এই কাণ্ডের পর নেটমাধ্যমে ক্ষমা প্রার্থনা করলেন শান্তনু।
এক টিভি চ্যানেলে দেওয়া সাক্ষাৎকারের ভিডিয়ো নিজের লিঙ্কডইনের পাতায় পোস্ট করেন শান্তনু। ভিডিয়োর নীচে তিনি লেখেন, ‘এটি আমার শেষ পোস্ট! এত দিনের অভিজ্ঞতা বেশ ভালই ছিল।’আগের পোস্টের জন্য তিনি ক্ষমা প্রার্থনাও করেন। ভিডিয়োতে তিনি বলেন, ‘‘আমি প্রতিদিন ১৮ ঘণ্টা কাজ করার কথা মোটেও বলতে চাইনি। আমার বক্তব্যকে অতিরঞ্জিত করে দেখানো হয়েছে। আমি শুধু নবাগতদের নিজের সবটা দেওয়ার কথা বলেছিলাম।’’
ঠিক কী বলেছিলেন শান্তনু?আগের পোস্টে শান্তনু জানান, ২২ বছর বয়সে যদি কেউ নতুন কাজে যোগ দেন, তবে তাঁকে তৎক্ষণাৎ কাজের মধ্যে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। চার-পাঁচ বছর দিনে ১৮ ঘণ্টা কাজ করে যেতে হবে। ইদানীং তরুণ-তরুণীরা পেশা ও ব্যক্তিগত জীবনে ভারসাম্য রাখার কথা বলেন। পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানোর কথা বলেন। কিন্তু কেরিয়ারের শুরুর দিকে সে সবের কোনও দরকার নেই বলেই মত দিয়েছিলেন তিনি।সমালোচনার পরেও অবশ্য নিজের অবস্থানে অনড় ছিলেন শান্তনু। নিজের আগের পোস্টটি কিছুটা বদলে তিনি লিখেছেন, ‘এ মা! ১৮ ঘণ্টা কাজকে লোকে এত ঘৃণা করেন, তা আমার জানা ছিল না। এত আক্ষরিক ভাবে বিষয়টি দেখলে চলবে না। আমি বলতে চেয়েছি, নিজের সেরাটা দেওয়ার পরও আরও কিছু দিতে হবে।’ এর পর হাসির ইমোজি দিয়েছেন তিনি। প্রথমে ব্যাপারটাকে হালকা ভাবে নিলেও এই বক্তব্যের জন্য তাঁর বাবা-মাকেও কটু কথা শুনতে হচ্ছে দেখে তিনি ভেঙে পড়েন। সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘‘যাঁরা আমার বাবা-মাকে ভলেন তাঁদের ছেলে দাসদের মালিক, আজ তাঁদের জয় হল। আমি ক্ষমা চাইছি তাঁদের কাছে, যাঁরা আমার পোস্ট দেখে আঘাত পেয়েছেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy