চুল কিছুতেই লম্বা হচ্ছে না, পরিচর্যা না কি ভুল হচ্ছে অন্য কোথাও? ছবি: ফ্রিপিক।
মাঝেমধ্যে চুলে তেল মাখছেন। সপ্তাহে দু’দিন শ্যাম্পুও করছেন। কন্ডিশনার ব্যবহার করছেন। তবুও লম্বা হচ্ছে না চুল। উল্টে শীতের মরসুমে চুল আরও রুক্ষ হয়ে উঠছে। তা হলে কি ভুল হচ্ছে কোথাও?
পুষ্টিকর খাদ্যগ্রহণ: পুষ্টিবিদ থেকে চিকিৎসকেরা বলেন, উজ্জ্বল ত্বক এবং সুন্দর চুল পেতে ভিটামিন, খনিজে সমৃদ্ধ খাদ্যগ্রহণ জরুরি। শুধু জিভের কথা মাথায় রেখে সুস্বাদু খাবার খেতে গেলে, ফাঁক পড়তে পারে পুষ্টিতেও। চুল না বেড়ে ওঠার কারণ কিন্তু এটিও হতে পারে। ভিটামিন সি, ই, জিঙ্ক, বায়োটিন এবং অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টে সমৃদ্ধ খাবার তালিকায় থাকা খুব জরুরি। রকমারি শাসসব্জি, ফল, ড্রাই ফ্রুটস, বিভিন্ন বীজে এই ধরনের উপাদান থাকে। স্বাস্থ্যকর খাদ্যগ্রহণের পাশাপাশি অতিরিক্ত ভাজাভুজি, প্রক্রিয়াজাত খাবারে ইতি টানলে চুলের স্বাস্থ্য ভাল থাকবে।
মালিশ: চুলের জন্য তেল মাখা নয়, মালিশ খুব জরুরি। অনেকেই স্নানের আগে একটু তেল মেখে নেন। তবে ভাল ফল পেতে পরিষ্কার চুলে ঈষদুষ্ণ তেল মেখে হালকা হাতে মালিশ করতে হবে। আধ ঘণ্টা চুলে রেখে ধুয়ে ফেলতে হবে। শুধু নারকেলের বদলে তাতে মেথি, কারিপাতা, পেঁয়াজের রস মিশিয়ে মাখা যেতে পারে। আবার তেলে আমলকি ফুটিয়ে মাখলেও ভাল হবে। মালিশে মাথার ত্বকে রক্ত সঞ্চালন ভাল হয়। চুলের গোড়া শক্ত করতে এবং চুলের বৃদ্ধিতে তা সাহায্য করে।
কেশসজ্জা: রকমারি কেশসজ্জার জন্য হেয়ার স্ট্রেটনার, কার্লার ব্যবহার করেন? রকমারি রাসায়নিক স্প্রে করেন? মাঝেমধ্যে তা করা গেলেও, নিয়মিত চুল সোজা বা কোঁকড়া করার বৈদ্যুতিক যন্ত্র ব্যবহার করলে অতিরিক্ত তাপে চুলের ক্ষতি হয়। তার ফলে চুল শুষ্ক হয়ে যেতে পারে, ডগা ভেঙে যেতে পারে, এমনকি চুলের বৃদ্ধিও থমকে যেতে পারে।
ছাঁট: অনেকেরই চুলের ডগা ফাটার সমস্যা থাকে। চুলের নীচের অংশ একদম সরু হয়ে যায়। এ জন্য দু’মাসে এক বার করে ডগা ছাঁটা প্রয়োজন। চুলের নীচের অংশ একদম পাতলা হয়ে গেলে সামান্য একটু কেটে নিতে পারেন। এতে চুল যখন নতুন করে বৃদ্ধি পাবে তা দেখতে ভাল লাগবে।
জল: গ্রীষ্মকালে তেষ্টা পায় বলে জল খাওয়া হলেও, শীতের মরসুমে অনেকেই জল খাওয়া খুব কমিয়ে দেন। এই সময় এমনিতেই বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ কম থাকায় চুল শুষ্ক হয়ে পড়ে। পর্যাপ্ত পরিমাণে জল বা তরল খাবার না খেলে তার প্রভাব পড়তে পারে চুলেও।
পর্যাপ্ত ঘুম: সুন্দর থাকতে গেলে পর্যাপ্ত ঘুম ভীষণ জরুরি। এই সময় শরীরের ক্ষতিগ্রস্ত কোষ মেরামত হয়, সেই তালিকায় চুলের ফলিকলও থাকে। তা ছাড়া ঘুমের ফলে মস্তিষ্ক বিশ্রাম পায়, যা খুব জরুরি।
প্রতিবেদনিট সচেতনতার উদ্দেশ্যে লেখা। পু্ষ্টিকর খাদ্যগ্রহণ, সঠিক যত্নের পরেও সমস্যার সমাধান না হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া দরকার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy