ক্রিম, ময়েশ্চারাইজ়ারের পাশাপাশি ত্বকের যত্নে ইদানীং সিরাম মাখার চল হয়েছে। যে কোনও ধরনের ত্বকই দ্রুত সিরাম শুষে নিতে পারে। শুধু তা-ই নয়, ত্বকের সমস্যা অনুযায়ী সিরাম মাখলে কাজও হয় ভাল।
পাকাপাকি ভাবে ত্বকে বলিরেখা পড়ার আগে যদি একটু সচেতন হওয়া যায়, তা হলে ত্বক বুড়িয়ে যাওয়ার গতি খানিকটা শ্লথ করা যায়। মূলত সেই ধারণা থেকেই আজকাল ভিটামিন সি সিরাম মাখার হুজুক হয়েছে তরুণদের মধ্যে। শুধু সিরাম নয়, ফেসওয়াশ, ক্রিম, সানস্ক্রিন, এমনকি ওয়েট ওয়াইপ্স— সবেতেই ভিটামিন সি-র ছোঁয়া রাখতে চাইছেন রূপ-সচেতনেরা। উদ্দেশ্য একটিই। ত্বকে বয়সের ছাপ পড়তে দেওয়া যাবে না। কিন্তু ভিটামিন সি-র যথেচ্ছ ব্যবহারে সেই উদ্দেশ্য কি আদৌ সফল হচ্ছে?
আরও পড়ুন:
চর্মরোগ চিকিৎসকেরা বলছেন, অ্যান্টি-এজিং উপাদান হিসাবে ভিটামিন সি-র ভূমিকা রয়েছে। তবে তা দিয়ে বছরের পর একই রকম ভাবে ত্বকের লাবণ্য ধরে রাখা যায় না। কানপুরের এক সরকারি হাসপাতালের চর্মরোগ চিকিৎসক যুগল রাজপুত বলেন, “ভিটামিন সি-যুক্ত সিরাম বা অন্য কোনও প্রসাধনী মেখে ত্বকে জেল্লা আসতে পারে। তবে তা সাময়িক, চিরস্থায়ী নয়। এ সম্পর্কে বিশেষ জ্ঞান না থাকলে ভিটামিন সি-যুক্ত কোনও প্রসাধনী ব্যবহার না করাই ভাল। তাতে হিতে বিপরীত হতে পারে।”
বয়স ৩৫ বা ৪০ হয়ে গেলে এই ধরনের সিরাম খুব একটা কাজ করে না বলেই মনে করেন যুগল। তা ছাড়া সিরামে ভিটামিন সি বিভিন্ন পরিমাণে মেশানো হয়। কী ধরনের ত্বকে কোনটি উপযুক্ত তা নিজে থেকে ঠিক করে নেওয়া যায় না। ত্বক যদি তৈলাক্ত কিংবা স্পর্শকাতর হয়, সে ক্ষেত্রে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন।