স্ট্রেচ মার্ক থেকে নিস্তার পাওয়ার আদৌ কি কোনও উপায় আছে? ছবি: শাটারস্টক।
অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় হবু মায়েদের রাতের ঘুম উড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ হল স্ট্রেচ মার্ক। শরীরের আনাচকানাচে এই দাগ নিয়ে উদ্বেগের শেষ থাকে না মহিলাদের। এক বার এই দাগ শরীরে দেখা দিলে, নামীদামি প্রসাধনী ব্যবহার করেও লাভের লাভ কিছুই হয় না। অন্তঃসত্ত্বাদের দ্রুত ওজন বৃদ্ধি এবং ত্বক প্রসারিত হওয়ার কারণে লালচে বা বেগুনি রঙের রেখাগুলি পেট, স্তন, নিতম্ব এবং উরুতে স্পষ্ট হয়ে দেখা দিতে শুরু করে। স্ট্রেচ মার্ক মূলত ত্বকের নীচে কোলাজেন এবং ইলাস্টিন ফাইবারগুলির ভেঙেই তৈরি হয়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই দাগ পুরোপুরি ত্বকের সঙ্গে মিলিয়ে যায় এমনটাও নয়। এই সমস্যা কারও ক্ষেত্রে বেশি, কারও ক্ষেত্রে আবার কম হয়। এক বার এই দাগগুলি প্রকট হতে শুরু করলে শত চেষ্টা করেও চটজলদি নিস্তার পাওয়ার উপায় নেই। তাই অন্তঃসত্ত্বা অবস্থার শুরু থেকেই হবু মায়েদের এই বিষয় সতর্ক থাকা জরুরি। কী ভাবে স্ট্রেচ মার্কের হানা রুখবেন, রইল হদিস।
অ্যালো ভেরা জেল: স্ট্রেচ মার্ক দূর করার অন্যতম দাওয়াই হতে পারে অ্যালো ভেরা জেল। ত্বকে কোনও রকম সংক্রমণ হলে অ্যালো ভেরা জেল বেশ উপাকারী। স্ট্রেচ মার্কের সমস্যা রুখতে অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় নিয়ম করে দিনে অন্তত দু’বার করে অ্যালো ভেরা জেল ব্যবহার করতে শুরু করুন। বাড়িতে অ্যালো ভেরার গাছ থাকলে অ্যালো ভেরার শাঁস ব্যবহার করতে পারলে আরও ভাল কাজ দেয়।
নারকেল তেল: ছোট শিশুদের মালিশ করা হোক কিংবা স্ট্রেচ মার্কের সমস্যা দূর করতে চিকিৎসকদের বরাবরের পছন্দ নারকেল তেল। ত্বকের যে কোনও রকম সংক্রমণ রুখতে এই তেল কাজে আসে। এই তেলের কারণে অ্যালার্জির ঝুঁকিও কম, প্রায় সব ধরনের ত্বকেই এই তেল কার্যকর। তাই হবু মায়েরা রোজ স্নানের পর আর রাতে ঘুমোনোর আগে পেট, স্তন, নিতম্ব এবং উরুতে ভাল করে নারকেল তেল দিয়ে মালিশ করতে পারেন, স্ট্রেচ মার্ক রুখতে এই পন্থা বেশ উপকারী।
বেশি করে জল খান: ত্বক শুষ্ক হলে স্ট্রেচ মার্ক বেশি মাত্রায় ফুটে ওঠে ত্বকে। জল বেশি করে খেলে কিন্তু শরীরে আর্দ্র ভাব বজায় থাকে, ত্বকও শুষ্ক হয় না, ফলে স্ট্রেচ মার্ক এড়ানো সম্ভব। অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় আপনার শরীরে কতখানি জলের প্রয়োজন সেই বিষয় চিকিৎসকের কাছ থেকে পরামর্শ নিয়ে নিন। এই সময় জলের বোতলটি সব সময় নিজের সঙ্গে রাখুন। জল ছাড়াও দইয়ের ঘোল, ভেষজ চা, ডাবের জলে চুমুক দিতে পারেন। তবে সাধারণ চা, কফি এড়িয়ে চলুন, কারণ এই উপাদানগুলি শরীরে জলের ঘাটতি ঘটায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy