ছবি : সংগৃহীত।
কোরিয়ান রূপটান নিয়ে হইচই পড়ে গিয়েছে। কিন্তু ভারতের আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে ত্বক ভাল রাখার যে সমস্ত প্রাকৃতিক উপায় বলা আছে, তা কোনও অংশে কম নয়। বরং দীর্ঘ মেয়াদে কম ক্ষতিকর, রাসায়নিক মুক্তও। এর মধ্যেই ত্বক ভাল রাখার একটি বহু প্রচলিত এবং কার্যকরী রূপটান হল হলুদ, বেসন আর দই বা দুধের মিশ্রণ। মায়েদের থেকে জানা ওই রূপটানের নিয়মিত ব্যবহারে যে ত্বক পরিষ্কার এবং উজ্জ্বল হয়, সে ব্যাপারে কোনও সন্দেহ নেই। কিন্তু জানেন কি, ওই মিশ্রণে আরও দু’টি সহজলভ্য উপকরণ মেশালে ত্বক হতে পারে আরও জেল্লাদার এবং দাগমুক্ত। এমনকি, নিয়মিত ব্যবহারে ত্বকে বয়সের ছাপও পড়ে কম।
কী কী মেশাতে হবে?
ত্বক পরিচর্যা শিল্পীরা বলছেন, হলুদ-বেসন-দইয়ের রূপটানে সামান্য চন্দন আর গোলাপজল মিশিয়ে নিলে রূপটান হবে আরও বেশি ফলদায়ী।
কীভাবে কাজ করবে?
১। বেসন ত্বককে মৃতকোষ মুক্ত করতে সাহায্য করে।
২। হলুদ ব্রণ, ফুশকুড়ি দূরে রাখে, ত্বককে জীবাণুমুক্ত রাখতে সাহায্য করে।
৩। চন্দন ত্বকে থাকা দাগ ছোপ কমায়।
৪। দই বা দুধ ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাথে।
৫। গোলাপ জলের সুগন্ধ তরতাজা ভাব আনে, পিএইচ ব্যালান্সও বজায় রাখে।
কী ভাবে বানাবেন?
আধ চা-চামচ ভাল হলুদ গুঁড়োর সঙ্গে এক টেবিলচামচ বেসন, এক টেবিল চামচ দই, এক চা চামচ গোলাপ জল এবং আধ চা চামচ চন্দনের পাউডার মিশিয়ে নিন। চাইলে এর সঙ্গে কয়েক আধ চা চামচ মধুও মেশাতে পারেন।
নিয়মিত ব্যবহারে কী কী উপকার?
মসৃণ ত্বক: প্রাকৃতিক উপায়ে ত্বকের মৃতকোষ থেকে মুক্তি। ফলে ত্বক হবে অনেক বেশি মসৃণ। র্যাশ বা অন্যান্য ইনফেকশনের সম্ভাবনা থাকবে কম।
দাগহীন ত্বক: রোদে ত্বক পুড়ে যাওয়ায় ত্বকে কালচে ছোপ পড়ে। ব্রণ-ফুশকুড়ি র্যাশ থেকেও ত্বকে দাগ তৈরি হয়। ওই রূপটানের নিয়মিত ব্যবহার ত্বককে দাগমুক্ত রাখবে।
উজ্জ্বল ত্বক: ত্বক উজ্জ্বল দেখায় আর্দ্রতা বজায় থাকলে। ওই রূপটানের দু’টি উপাদান সেই আর্দ্রতা বজায় রাখার কাজ করে। ফলে প্রাকৃতিক ভাবেই হয়ে ওঠে উজ্জ্বল।
স্বাস্থ্যকর ত্বক: ত্বকের স্বাস্থ্য বজায় রাখে যথাযথ পুষ্টি মিললে। ওই রূপটানে থাকা বেসন এবং দই ত্বককে পুষ্টি জোগায়। ত্বকে আসে স্বাস্থ্যকর ঔজ্জ্বল্য।
বয়সের ছাপমুক্ত ত্বক: হলুদ এবং চন্দনে থাকা অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট নিয়মিত ব্যবহারে ত্বককে ভাল রাখে। ত্বকে বলিরেখা পড়তে দেয় না। বয়সের ছাপ দূরে রাখে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy