ছবি: সংগৃহীত।
ঘরে-বাইরে কাজ। সেই চাপ সামাল দিতে গিয়ে নাভিশ্বাস ওঠার জোগাড়। তার উপর আবার সামনে পুজো। সব কাজ সামলে কেনাকাটাও শুরু করতে হবে। এর মাঝে কখন যে সালোঁয় যাবেন, তা বুঝতে পারছেন না। ঘরোয়া টোটকায় টুকটাক মুখের যত্ন নিলেও পায়ের দিকে একেবারে তাকানো হয় না। পায়ের খসখসে চামড়া কিংবা ফাটা গোড়ালির সমস্যা তবু না হয় মোজা পরে ঢাকা দেওয়া যায়। কিন্তু পায়ের তলায় যদি গুফো হয়, তার ব্যথা সারবে কিসে? সালোঁর দক্ষ কর্মীদের হাতের উপর ভরসা করতেই হয়। কিন্তু একেবারে সময় না পেলে ঘরোয়া উপাদানেও কাজ চলে যেতে পারে। পায়ের কোন সমস্যায় ঘরোয়া কোন উপাদানটি কাজ দেয় জেনে নিন।
কোন সমস্যায় কী ধরনের টোটকা?
১) পায়ের ত্বক দেহের অন্যান্য অংশের তুলনায় এমনিতেই বেশি শুষ্ক হয়। এ ছাড়া শরীর জলের ঘাটতি হলেও পায়ের পাতা শুষ্ক হয়ে উঠতে পারে।
এই ধরনের সমস্যা সহজ সমাধান হল নারকেল তেল। ঈষদুষ্ণ জলে কয়েক চামচ নারকেল তেল মিশিয়ে নিন। এ বার ওই জলে পায়ের পাতা ডুবিয়ে বসে থাকুন। পিউমিক স্টোন দিয়ে গোড়ালি ঘষে নিলে মৃত কোষ উঠে যাবে সহজেই।
২) আরামদায়ক বা সঠিক মাপের জুতো না পরলে অনেক সময়ে পায়ের তলার চামড়ার কিছু কিছু অংশ পুরু হয়ে যায়। অনেকেই একে ‘গুফো’ নামে চেনেন। প্রাথমিক অবস্থায় ব্যবস্থা না নিলে সমস্যা বেড়ে যেতে পারে। এই ধরনের সমস্যায় আবার কাজ দেয় বেকিং সোডা।
ছোট একটি পাত্রে পরিমাণ মতো বেকিং সোডা এবং জল ভাল করে মিশিয়ে নিন। খেয়াল রাখবেন মিশ্রণ যেন খুব পাতলা না হয়ে যায়। এ বার ওই মিশ্রণ পায়ের পাতার তলার খসখসে, পুরু অংশগুলোয় মাখিয়ে রাখুন। মিনিট ১৫ পর ঈষদুষ্ণ জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
৩) শুধু শীতে নয়, ফাটা গোড়ালির সমস্যা সারা বছরই দেখা দিতে পারে। খালি পায়ে হাঁটাচলা করলে কিংবা অতিরিক্ত দেহের ওজনের কারণেও গোড়ালি ফাটতে পারে। ঠান্ডার সময়ে এই ফাটল আরও গভীর হয়। রক্তপাত হওয়ার আশঙ্কাও থাকে। বাজারে নানা ধরনের ‘ক্র্যাক ক্রিম’ কিনতে পাওয়া যায়। তবে ঘরোয়া উপায়ও রয়েছে।
ছোট একটি পাত্রে ২ চেবিল চামচ মধু এবং ১ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল মিশিয়ে নিন। রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে ওই মিশ্রণ পায়ে মেখে রাখুন। ধোয়ার প্রয়োজন নেই। পারলে মোজা পরে নিন। পরের দিন সকালে উঠে পায়ের পাতা ধুয়ে ফেলুন। কয়েক দিন এই নিয়ম মেনে চলতে পারলে ফাটা গোড়ালির সমস্যা উধাও হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy